শিরোনামঃ-

» রাজশাহীতে বিয়ে করলেন রাউধার বাবা

প্রকাশিত: ০৮. জুন. ২০১৭ | বৃহস্পতিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ সম্প্রতি মারা যাওয়া মালদ্বীপের মডেল ও রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী রাউধা আতিফের বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ রাজশাহীতে বিয়ে করেছেন।

মেয়ের মৃত্যুর দুই মাস পর বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মালদ্বীপের চিকিৎসক মোহাম্মদ আতিফ।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকালে রাজশাহী আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রে হয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নুরুন্নাহার লাবলি রত্মা।

রাউধা মারা যাওয়ার পর দেশে ব্যাপক আলোচনা হয়। ময়নাতদন্তে প্রথমে আত্মহত্যা বলা হলেও তার বাবা এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে মামলা করেন। পরে লাশ তুলে আবার ময়নাতদন্ত করা হয়।

ডা. আতিফের নতুন স্ত্রীর নাম কনকলতা খাতুন (৩০)। তিনি জেলার পবা উপজেলার নওহাটা পিল্লাপাড়া এলাকার মো. বদিউজ্জামানের মেয়ে। কনকলতারও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার নয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। দুই বছর আগে কনকলতার চিকিৎসক স্বামী জয়নাল আবেদিন ক্যানসারে মারা যান।

এছাড়া সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে বলে আতিফ জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়- বিয়ের সময় ডা. আতিফের ঠিকানায় ক্রটির বিষয়টি ধরা পড়ে। সে কারণে তাকে রবিবার আবার আদালতে যেতে হবে। বিয়েতে ডা. আতিফের মালদ্বীপের ঠিকানা দেয়া হয়েছে বুলুকিয়া মেজো/১, মালদ্বীপ। নগরীর উপরভদ্রাকে রাজশাহীর ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইনজীবী নুরুন্নাহার বলেন- পাঁচ লাখ টাকা দেন-মোহরে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কাবিনে ডা. আতিফ তার মালদ্বীপের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। এছাড়া রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার উপরভদ্রা এলাকাকে অস্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেন।

বিয়ের সময় স্ত্রী কনকলতার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও আতিফের পরিবারের কেউ ছিল না। বিয়ের পর ডা. আতিফ লক্ষ্মীপুরে তার নতুন স্ত্রীর বাসায় ওঠেন বলে নুরুন্নাহার জানান।

তিনি বলেন- শরিয়া মোতাবেক তাদের বিয়ে ও নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিড সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (১১ জুন) তারা আদালতে হাজির হয়ে বিয়ে করার মতামত জানাবেন।

2রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন- ডা. মোহাম্মদ আতিফ বিদেশী হলেও বাংলাদেশে বিয়ে করতে আইনগত কোনো বাধা নেই। এরপরও তিনি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানিয়ে বিয়ে করেছেন।

চলতি বছরের ২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতে নগরীর শাহ মখদুম থানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। পরে রাউধার বাবা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।

রাউধার মৃত্যুর খবর পেয়ে পরদিন রাজশাহীতে আসেন ডা. মোহাম্মদ আতিফ। এরপর থেকে তিনি রাজশাহীতে রয়েছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৮১ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30