শিরোনামঃ-

» মওদুদ সাহেব, ৮২ সালের উচ্ছেদ ভুলি নাই : শাওন মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৮. জুন. ২০১৭ | বৃহস্পতিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ রবিবার (৪ জুন) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চ মওদুদ আহমদকে তার গুলশানের বাড়ি ছাড়তে হবে বলে নির্দেশ দেন।

তবে এই রায়ের পর মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের জানান- তিনি বাড়িটি ছাড়বেন না এবং এ বিষয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। পরে বুধবার (৭ জুন) দুপুর ১টার দিকে মওদুদ আহমদের বাড়ি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করে রাজউক। বিকাল ৪টা নাগাদ তারা বাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। মওদুদের বাড়ির সরঞ্জাম গুলশানে তার একটি ফ্ল্যাটে পৌঁছে দেয়া হয়।

2এ বিষয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ (৮ জুন) ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন- ‘অনেক শরীর খারাপেও এই ছবিটা আমাকে সকাল সকাল সোজা করে দাড়িয়ে দিলো। দেশ স্বাধীন হবার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শহীদ পরিবারদের বেশ কিছু বাড়ি নামমাত্র অর্থের বিনিময়ে উপহার দিয়েছিলেন। তার মধ্যে আমাদের বাড়িটি ছিল ১ নং মালীবাগ।

১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারীতে একদিনের নোটিশে সে বাড়িটি থেকে আমাদের উচ্ছেদ করা হয়। একটা কৃষ্ণচূড়া গাছের নীচে স্যুটকেসের ওপর মা বসিয়ে রেখেছিলেন আমায়। বসে বসে পুলিশের তান্ডব দেখেছিলাম সেদিন। দোতলা থেকে বাবার ব্যাগ ফেলছিল ওরা। এলপি রেকর্ডগুলা চূর্ণ বিচূর্ণ করে ফেলছিল বারান্দা থেকে। নীচের তলার সংগীত স্কুলের হারমোনিয়াম তবলা তানপুরা উঠোনের এখান ওখানে ছুড়ে ছুড়ে ফেলছিল ওরা। আমি জানতাম না রাতে কোথায় থাকবো সেদিন।

সেই উচ্ছেদ প্রকল্পের প্রধান উদোক্তা মওদুদকে স্যুট পরে মাধবীলতা গাছের নীচে দাঁড়িয়ে তার উচ্ছেদ হওয়া বাসার সামনে বলতে শুনলাম যে তিনি ফুটপাতে থাকবেন। হা হা হা মউদুদ সাহেব ১৯৮২ সালের উচ্ছেদ ভুলি নাই। ভুলবো না। ইটটি মারিলে পাটকেলটি খাইতে হয়। ওহ্ আরেকটা কথা- সেদিন আমরা যদিও জানতাম না কোথায় থাকবো তারপরও ফুটপাতে থাকবার কথা ভাবিনি। প্রতিবেশীর খালি বাসাটা তাৎক্ষনিক ভাড়া নিয়ে নিয়েছিলাম আমরা।

আমি একশো বছর বাঁচবো।

হিসাব নিয়ে তারপর যাবো।’

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৬০২ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30