শিরোনামঃ-

» শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার শিক্ষক শফিউলের জীবন আজ অন্ধকারাচ্ছন্ন

প্রকাশিত: ১৫. জুন. ২০১৭ | বৃহস্পতিবার

সালমান কাদের, গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে বেছে নিয়ে যিনি শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ব্যস্ত ছিলেন সেই শিক্ষক জনাব শফিউলের জীবনেই নেমে এসেছে অন্ধকার।

শিক্ষক শফিউলের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার চন্দরপুর গ্রামে। পিতার নাম মরহুম ডা. আবু বকর। তাঁর পিতা পাকিস্তান আমলে Health Assistant পদে নামকরা সরকারী ডাক্তার ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১ স্ত্রী ও ১ পুত্রের জনক।
দীর্ঘ থেকে শিক্ষক শফিউল আলম নিজ গ্রামের চন্দরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
এর পূর্বে তিনি আইন পেশায় পড়ালেখা করে বার কাউন্সিলর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিজ গ্রামে ছুটে আসেন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার মহান উদ্দেশ্য নিয়ে।
তিনি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষার একজন নিবেদিত প্রাণ। যিনি ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোজ খবর নেয়া ছাড়াও বিদ্যালয় ছুটিকালীন সময়ে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পাঠদান করাতেন। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবেই তিনি সর্বজন স্বীকৃত ছিলেন।
কিন্তু এই আদর্শ শিক্ষকের জীবনই আজ অন্ধকারে আচ্ছন্ন। একবছর পূর্বে তাঁর বামপায়ে একটি লোহার আলপিন ঢুকে গেলে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
এদিকে তিনি দীর্ঘদিন থেকে উচ্চ ডায়াবেটিসে ভোগছিলেন। উচ্চ ডায়াবেটিসের ফলে ক্ষতের স্থানে মারাত্মক ইনফেকশন হয়ে আলসারের সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় তিনি প্রায় ছয়মাস সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল হাসপাতালে নিজের উপার্জিত টাকা এবং বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের সাহায্যে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্ত অবস্থার কোন উন্নতি না হয়ে বরং পা-খানা বিকল হয়ে যায়।
অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না দেখে এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসার ব্যয় সামলাতে না পেরে হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে এসে স্ট্রেচারে ভর করে তাঁর মহান পেশাটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গত কয়েকমাস থেকে তাঁর পায়ের ইনফেকশনে প্রয়োগকৃত ঔষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়ার কারণে দু’চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া এ শিক্ষকের দুটি চোখ বর্তমানে অন্ধ হওয়ার উপক্রম।
এমতাবস্থায় তিনি চোখের ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার জানান- অতি দ্রুত রাজধানীস্ত আই হসপিটাল অথবা ইস্পাহানী ইসলামী চক্ষু হাসপাতাল কিংবা দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। যা বেশ ব্যয় সাপেক্ষ। চোখের এই কঠিন রোগের চিকিৎসা করতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এই ব্যয় সাপেক্ষ চিকিৎসা গ্রহণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তিনি সকল সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীদের নিকট সাহায্য ও দোয়া প্রার্থী।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৮৬ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30