শিরোনামঃ-

» কুলাউড়ায় দারুল ক্বেরাতে ছাত্রী ধর্ষনের চেষ্টা

প্রকাশিত: ১৬. জুন. ২০১৭ | শুক্রবার

কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ কুলাউড়া উপজেলার কমর্ধা ইউনিয়নের পূর্ব ফটিগুলী জামে মসজিদ সেন্টারে ৮ বছরের পিতৃহীন এক ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্ঠা করেছেন দারুল ক্বেরাত মাজিদিয়া ফুলতলি ট্রাষ্টের ক্বারী ও মাওলানা মোজাম্মেল আহমদ। ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে তার সহপাঠিরা এগিয়ে আসলে সটকে পড়ে অভিযুক্ত ক্বারী মোজাম্মেল। ভোক্তভোগির পরিবার অসহায় হওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দারুল ক্বেরাত কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠা করছেন।

ভোক্তভোগির স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- রোববার (১১ জুন) ভোরে দারুল ক্বেরাত মাজিদিয়া ফুলতলি ট্রাষ্টের কুলাউড়ায় উপজেলার কমর্ধা ইউনিয়নের পূর্ব ফটিগুলী মসজিদ সেন্টারে পড়তে আসে পিতৃহীন এক ছাত্রী (৮)। এ সময় ছাত্রছাত্রী উপস্থিতি কম থাকায় কৌশলে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে ঐ ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্ঠা চালায় দারুল ক্বেরাতের প্রধান ক্বারী ও ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাম্মেল আহমদ। ঐ শিক্ষার্থীর চিৎকারে কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে আসলে সটকে পড়ে মোজাম্মেল। বিকেলে ঐ ছাত্রী তার মাকে ঘটনাটি জানালে লোকলজ্জার ভয়ে তার মা বিষয়টি গোপন রাখেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। ভোক্তভোগির পরিবার অসহায় হওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। পরে বিষয়টি অন্যান্য ক্বারী ও  দারুল ক্বেরাত ফুলতলি ট্রাষ্টের কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। উত্তেজিত জনতার চাপের মুখে ধামাচাপা দিতে না পেরে ওই ক্বারীকে তার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন।

শুক্রবার (১৬ জুন) জুম্মার পর দারুল ক্বেরাত ও মসজিদ কতৃপক্ষ ওই ছাত্রীর চাচাকে ডেকে নিয়ে বলেন- সোমবার (১৯ জুন) অথবা মঙ্গলবারের (২০ জুন) দিকে বিষয়টি দেখে দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে দারুল ক্বেরাত ফুলতলি ট্রাষ্টের পূর্ব ফটিগুলী জামে মসজিদ সেন্টারে নাজিম দিলু মিয়া ও ক্বারী নুরুল ইসলাম শেফুল মোবাইলফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- আমরা তাৎক্ষনিক ক্বারী মোজাম্মেলকে দারুল ক্বেরাত থেকে বহিস্কার করেছি। এবং তার সনদ বাতিল করার জন্য ক্বারী সোসাইটিতে সুপারিশ করেছি।

ভোক্তভোগি ঐ ছাত্রীর চাচা বলেন- মসজিদ পবিত্রতম জায়গা। সেখানে গিয়েও যদি ছাত্রীরা নিরাপদ না থাকে তাহলে আমরা যাবো কোথায়। একজন ইমাম ও ক্বারী যদি মসজিদের ভেতর রোজা রেখে এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায় তাহলে সাধারণ মানুষ কি করবে! আমরা ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুক মিয়া বলেন- আমি বিষয়টি জানিনা। তবে দরুল ক্বেরাত ও মসজিদ কর্তৃপক্ষ আমাকে আজ সেখানে যাওয়ার জন্য বলেছিলেন, আমি যেতে পারিনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৯৪৫ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930