শিরোনামঃ-

» আমিরুল হত্যাকান্ডের ১২ দিন পর মামলা; এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি

প্রকাশিত: ২৩. জুন. ২০১৭ | শুক্রবার

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে আমিরুল হত্যাকান্ডের ১২দিন পর মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ১২ জনের বিরুদ্ধে এ হত্যামামলা করা  হয়েছে।

নারী ও বিয়ে ঘটিত বিরোধের জের ধরে আমিরুল ইসলামকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ থানার পাড়ুয়া নোয়াগঁওয়ের মৃত আরফান আলীর পুত্র হজর আলী, হজর আলীর পুত্র জমির হোসেন ও আক্তার হোসেন, একই গ্রামের মৃত সমুুজ আলীর পুত্র আব্দুল লতিফ ও একই গ্রামের জাবেদ মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৭ জন।

অভিযোগে প্রকাশ, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার পাড়ুয়া নোয়াগাঁওয়ের হজর আলীর মেয়ে রুবেনা বেগমেকে বিয়ে করা নিয়ে বিরোধ বাঁধে একই গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র আমিরুর ইসলামের সাথে।

আমিরুল ইসলাম রুবেনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে রুবেনার স্বজনরা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। পরে থানার দলইরগাঁওয়ের অন্য বরের সাথে রুবেনার বিয়ে ঠিক হলে তা আবার ভেঙ্গে যায়।

বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার জন্য রুবেনার স্বজনরা প্রথম প্রস্তাবকারী আমিরুল ইসলামকে দায়ী করে তাকে দেখে নেয়ার এমনকি হত্যার হুমকি দেয়।

গত ১০ জুন রাতে আমিরুল তার এক আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে যাওযার পথে রুবেনার স্বজনরা আমিরুলকে আটক করে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর একই গ্রামের ইউনুস আলীর বাড়ির পেছনের কবরস্থানে একটি গাছের ডালের সাথে বসানো অবস্থায় আমিরুলের লাশ বেঁধে রাখে।

খবর পেয়ে পরদিন সকালে আমিরুলের স্বজন ও পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে যায়। এসময় আমিরুলের গোপনাঙ্গ সহ দেহের অনেক স্থানে ফুলা চেছা ও রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়। কিন্তু থানা পুলিশ তাদের চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী সাদা কাগজে লোকজনের স্বাক্ষর নিয়ে লাশের একটি মনগড়া সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে। পরে হত্যা মামলা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে থানার ওসি আলতাফ হোসেন আমিরুলের পিতা আব্দুল মালিককে থানায় নিয়ে যান এবং আরেকটি সাদা কাগজে  আব্দুল মালিকের স্বাক্ষর গ্রহন করেন।

কিন্ত পরে কথামতে হত্যা মামলা না লিখেই নিহতের পিতার দস্তখতী কাগজে প্রতারনামূলক একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেন এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেন।

ওসি আলতাফের এহেন প্রতারনা ও কৌশলী তথ্য গোপনের ঘটনায় নিহতের স্বজন সহ এলাকার লোকজন প্রতিবাদী হয়ে উঠলেও ওসির বিরুদ্ধে কারো কিছু করার ছিল না।

নিরুপায় হয়ে নিহতের পিতা আব্দুল মালিক বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে একটি নালিশা মামলা (নং-৬২/১৭) করেন।

আদালত এ ঘটনায় নিয়মিত হত্যা মামলা রুজু করে ফের লাশ কবর থেকে উত্তোলন ও পুনঃময়না তদন্তের জন্য ওসি কোম্পানীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন। আদালতের ৫০০নং প্রসেসে ২২ জুন মামলাটি কোম্পানীগঞ্জ থানায় প্রেরন করা হয়েছে।

থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আশরাফ আদেশসহ আদালত থেকে মামলা প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫২১ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30