- জৈন্তাপুরে ছাত্রদলের সাথে হাকিম চৌধুরীর মতবিনিময়
- সোনালী প্রজন্ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
- সিলেট জেলা শ্রমিক দলের কর্মী সভা
- সিলেটে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে ধানের পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত
- জুলাই বিপ্লবে জন্ম নেওয়া ‘টিম অনওয়ার্ড’ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
- মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে সিলেট মহানগর জামায়াতের শোক
- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর গণসমাবেশ শায়খ জিয়া উদ্দীন
- আগামীকাল ২৪ নভেম্বর জনসভা ও গণমিছিল সফল করুন : বাসদ
- ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাথে প্রবাসী আজমের মতবিনিময়
- সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষনা হলে সংশয় দূর হবে
» সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক সহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা; গ্রেফতার ২
প্রকাশিত: ০৩. জুলাই. ২০১৭ | সোমবার
সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ সুনামগঞ্জ হাওর রক্ষাবাঁধের টাকা আত্মসাৎ সহ নানা দূর্ণীতির কারনে জেলা যুবলীগের আহবায়ক সুনামগঞ্জ চেম্বার্স অফ কমার্সের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল সহ ৪৬ জন ঠিকাদার তৎসহ ৬১ জনকে আসামী করে মামলা করেছে দুর্ণীতি দমন কমিশন দুদক।
আসামিদের মধ্যে সুনামগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরখাস্তকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফছার উদ্দীন সহ দুই জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীরা আছেন গ্রেফতার আতংকে। যেকোন মূর্হুতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হতে পারে একটি সূত্র জানিয়েছে।
জানা যায় , ঠিকাদার, পিআইস সদস্য ও পনি উন্নয় বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও গাফিলতির কারণে গত মার্চের শেষ দিকে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিস্তীর্ণ হাওর এলাকা তলিয়ে যায়। অনেক বাঁধে কাজ শুরু না গওয়ায়, দুর্বল ও অসমাপ্ত বাঁধ ভেঙে প্লাবন ও ফসলহানির পেছনে বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, ঠিকাদার ও পিআইস সদস্যদের দুর্নীতিকে দায়ী করে সুনামগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশও হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, বাঁধ নির্মাণে কারও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই প্রেক্ষাপটে হাওর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক। দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। তারা ওই এলাকায় গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্ত চলার মধ্যেই সিলেটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (উত্তর-পূর্বাঞ্চল) মো. আব্দুল হাই এবং সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফসার উদ্দীনকে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়।
রোববার (২ জুলাই) দুদকের পক্ষ থেকে ৬১ জনকে আসামী করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে ১৫ জন সিলেট বিভাগ ও সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা। বাকি ৪৬ জন ঠিকাদার। পাউবো কর্মকর্তাদের মধ্যে আফছার উদ্দীন ছাড়া বাকিরা হলেন- সিলেট অঞ্চলের বরখাস্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম সরকার, সিলেট উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বরখাস্ত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই, সুনামগঞ্জ জেলা পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস, সুনামগঞ্জের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী খলিলুর রহমান।
এছাড়া সুনামগঞ্জের সেকশন কর্মকর্তা মো. শহিদুল্লা, ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ খান, খন্দকার আলী রেজা, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শাহ আলম, মো. বরকত উল্লাহ ভূঁইয়া, মো. মাহমুদুল করিম, মো. মোছাদ্দেক, সজীব পাল ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়। আসামিদের মধ্যে ৪৬ ঠিকাদার হলেন- জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক খাইরুল হুদা চপল, সুনামগঞ্জ চেম্বার্স অফ কমার্সের সহ-সভাপতি সজীব রঞ্জন দাস, পার্থ সারথী পুরকায়স্থ,মো. আফজালুর রহমান, খন্দকার শাহীন আহমেদ, মো. জিল্লুর রহমান, হান্নান আহমেদ, কামাল হোসেন, কাজী নাজিমুদ্দিন, খন্দকার আলী হায়দার, মো. আকবর আলী, মো. রবিউল আলম, মো. আবুল হোসেন, শিবব্রত বসু, মোজাম্মেল হক মুন, মো বাচ্চু মিয়া, শেখ মো. মিজানুর রহমান, আবুল মহসীন মাহবুব।
এছাড়া ঠিকাদার বিপ্রেশ তালুকদার বাপ্পি, মো. জামিল ইকবাল, চিন্ময় কান্তি দাস, নিয়াজ আহমেদ খান, মিলন কান্তি দে, খান মো. ওয়াহিদ রনি, মো. সোয়েব আহমেদ, মো. ইউনুস, মো. আব্দুল কাউয়ুম, মো. আতিকুর রহমান, মো. গোলাম সরোয়ার, মো. খাইরুজ্জামান, মো. মফিজুল হক, মোখলেছুর রহমান, নুরুল হক, মো. রেনু মিয়া, মো. শাহরিন হক মালিক, শামসুর রহমান, আব্দুল মান্নান, মোকসুদ আহমেদ, মো. সাইদুল হক, মো. মাহতাব চৌধুরী, কাজী হাসিনা আফরোজ, শেখ আশরাফ উদ্দিন, লুৎফুল করিম, মো. কেফায়েতুল্লা, হুমায়ুন কবির ও ঠিকাদারের সহযোগী মো. ইকবাল মাহমুদকেও আসামি করা হয়েছে।
দুদক এ ধরনের মামলার ব্যাপারে আসামীদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তরে জনৈক দুদক কর্মকতা জানান, যাদের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয় তারা টের পায় কতদিনে মাস যায়! পাবলিক সার্ভেন্ট যারা তারা এরেষ্ট হবে নইলে কোর্টে সারেন্ডার করবে। এরেষ্ট হওয়া বা সারেন্ডার করার দিন থেকে মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা সাসপেন্ড থাকবেন। এরমধ্যে যদি পেনশনে যান তাহলে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পেনশন বাবত কোনো টাকা পয়সা পাবেননা। কন্ট্রাক্টরদের লাইসেন্স বাতিল হবে। মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুদক প্রয়োজনে তাদের একাউন্ট জব্দ করতে পারে। তাদের কালো তালিকাভুক্ত করতে পারে। দুদকের মামলা জামিন অযোগ্য মামলা। আদালত জেনুইন গ্রাউন্ডে জামিন দিতে পারে। দুদকের মামলা স্পেশাল জজ আদালতে বিচার হবে। বিচারে আসামী খালাস পেলেও দুদক আপীল করবে। কথায় আছে পুলিশ ধরলে ১৮ ঘা । দুদক ধরলে ৩৬ ঘা ! দুদকের মামলায় কোনো পাবলিক সার্ভেন্টের এক বৎসরের উপরে সাজা বা ১০ হাজার টাকার বেশী জরিমানা হলে যেদিন রায় হবে ধরে নিতে হবে সেদিন থেকেই তাকে চাকুরী থেকে বরখাস্থ করা হবে। খালি হাতে বাড়ী চলে যেতে হবে! যদি কোন জন প্রতিনিধির দুই বৎসরের সাজা হয় তবে তিনি নৈতিক স্খলন জনিত কারনে পরবর্তি একবার নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। যদি পাঁচ বছরের উপরে সাজা হয় তবে পরবর্তি দুই টার্ম নির্বাচনের অযোগ্য হবেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৬১ বার
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক