শিরোনামঃ-

» ‘ফরহাদ মজহার আমার সামনে দিয়ে যখন বেড়িয়ে যান তখন আমি তাকে চিনতে পারিনি’ : অতিরিক্ত ডিআইজি

প্রকাশিত: ০৫. জুলাই. ২০১৭ | বুধবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ র‌্যাব ৬-এর পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারে সোমবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যার আগে কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোড এলাকায় র‌্যাব সদস্যরা অভিযান শুরু করে। তখনই ফরহাদ মজহার আমার সামনে দিয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু আমি তাকে চিনতে পারিনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘কোথায় যাচ্ছেন- তা জানতে চাইলে বলেন, ঘুরতে বাইরে যাচ্ছি। এই বলে রিকশায় ওঠেন। কিন্তু তিনিই যে ফরহাদ মজহার তা জানতাম না। রাতে নওয়াপাড়া থেকে উদ্ধারের পর তাকে দেখেই চমকে উঠি। চিনতে পারলে অভিযানের শুরুতেই ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার সম্পন্ন হয়ে যেত।’

এদিকে, যশোর থেকে উদ্ধারের পর সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে আদাবর থানায় আনা হয়। সোয়া ১০টার দিকে তাকে আদাবর থানা থেকে বের করে তাকে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, সোমবার (৩ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। নিখোঁজের আধা ঘণ্টা পর ফরহাদ মজহারের মোবাইল ফোন থেকে তার স্ত্রীর কাছে টেলিফোন আসে। ফোনে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এ কথা বলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন। এর পর বিষয়টি আদাবর থানার পুলিশকে জানানো হয়।

তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ফোনের অবস্থান শনাক্ত করে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারে খুলনা মহানগরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তল্লাশি চালায় র‌্যাব-৬। সেখানে তাদের অভিযান চলাকালে নিউমার্কেট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে সাড়ে ৮টার দিকে ফরহাদ মজহারকে দেখতে পাওয়ার খবর মেলে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আর পায়নি। অতঃপর রাত সোয়া ১১টার দিকে যশোরের নোয়াপাড়া এলাকায় হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে মজহারকে উদ্ধার করা হয়।

এরপর ফরহাদ মজহারের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি অপহরণ নয় বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ ও র‌্যাব -৬ এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম। রাতেই ফুলতলা থানায় প্রেস ব্রিফিং করে তারা এ কথা বলেন। তবে এ বিষয়ে ফরহাদ মজহারকে প্রশ্ন করা হলেও মিডিয়ার সামনে তিনি কোনও কথা বলেননি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪০৪ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30