শিরোনামঃ-

» দণ্ডপ্রাপ্ত এক সৌদি নারীর দুঃসহ অভিজ্ঞতা

প্রকাশিত: ০৯. জুলাই. ২০১৭ | রবিবার

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সৌদি আরবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গাড়ি চালানোর জন্য কারাদণ্ড পাওয়া এক নারী তাঁর দুঃসহ অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন।

মানাল আল-শরিফ নামের ওই নারী বলেছেন, এখনকার সময়েও সৌদি আরবে নারীদের সঙ্গে ঠিক ক্রীতদাসের মতো আচরণ করা হয়।

নিষেধাজ্ঞা ভেঙে গাড়ি চালানোয় মানালকে নয় দিন কারাভোগ করতে হয়েছিল। পরে দেশ ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। সেখানে লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালাতে পারছেন মানাল।

এখন নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন মানাল। জানালেন, তিনি সৌদি আরবে প্রথম নারী আইটি নিরাপত্তা কনসালট্যান্ট হন। প্রায় এক দশক ধরে সৌদি তেল কোম্পানি আরামকোতে কাজ করেছেন।

ডেইলি মেইল অস্ট্রেলিয়াকে মানাল বলেছেন, একটি রক্ষণশীল সমাজ থেকে উঠে এসেছেন তিনি। তাদের ঘরের জানালা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হতো। বাড়ির চারদিক উঁচু দেয়ালে ঘেরা। নারীদের ঢেকে রাখা হতো। পুরুষ অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়া সৌদি আরবে নারীদের জন্য কিছু করা খুবই কঠিন।

২০১১ সালে মানাল তাঁর গাড়ি চালানোর একটি ভিডিও ইউটিউবে তোলেন। ভিডিওটি ব্যাপক সাড়া ফেলে। এক দিনে সাত লাখ মানুষ ভিডিওটি দেখে।

ভিডিও প্রকাশের পর জীবননাশের হুমকি পান মানাল। তাঁকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে অভিহিত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মুসলমানদের ভুল পথে নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। যত ধরনের গালি আছে, তা তাঁকে শুনতে হয়।

কারাদণ্ড হওয়ার পর মানাল তাঁর বাড়ি, সন্তান ও চাকরির হারান। শেষে দেশত্যাগ করেন। দ্বিতীয় স্বামী ও ছোট সন্তানকে নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হন।

মানাল একটি স্মৃতিকথা লিখেছেন। নাম ‘ডারলিং টু ড্রাইভ’। এতে তাঁর অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে।

নারী অধিকারকর্মী মানাল সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পেয়েছেন। এতে তিনি ভীষণ খুশি। তিনি এখন মুক্তির স্বাদ উপভোগ করছেন।

বিখ্যাত টাইম সাময়িকীর বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির একজন মানাল। নারীদের গাড়ি চালানোর বিষয়ে তিনি সরব।

‘ওমেন টু ড্রাইভ’ আন্দোলনের মাধ্যমে নারীদের গাড়ি চালানোর জন্য লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করতে আহ্বান জানাচ্ছেন মানাল।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৪১ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930