শিরোনামঃ-

» সালমান শাহ্ আত্মহত্যা করেনি, হয়েছে খুন! (ভিডিও)

প্রকাশিত: ০৭. আগস্ট. ২০১৭ | সোমবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ ‘সত্য কখনো চাপা থাকেনা। এবার রুবি নিজ মুখে শিকার করলেন সালমান শাহ্ আত্মহত্যা করে নাই’- শিরোনামের একটি ভিডিও রবিবার ইউটিউবে প্রকাশের পর তা ফেসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্যাক্ট-সালমান শাহ’র আত্মহত্যা না মার্ডার।
‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই, সালমান শাহ খুন হইছে। আমার হাজব্যান্ড করাইছে এটা আমার ভাইরে দিয়ে, এটা সামিরার (সালমানের স্ত্রী) ফ্যামিলি করাইছে। আর সব ছিল চাইনিজ মানুষ।’ প্রকাশিত ভিডিওতে এমন দাবি করলেন রুবি নামের এক নারী।
রুবির দাবি, তিনি একমাত্র জীবিত ব্যক্তি যার কাছে প্রমাণ আছে, সালমান আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। রুবির পুরো নাম রাবেয়া সুলতানা রুবি। তিনি দীর্ঘদিন যাবত আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়াতে চাইনিজ স্বামী ও ২ সন্তান সহ বসবাস করছেন।
জানা গেছে- সালমান শাহ্‌ ঐ নারীকে আন্টি ডাকতেন। রুবির বিউটি পার্লার ছিল। সালমান ও সামিরার সাথে তার বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল। সালমান মারা যাওয়ার পর অনেকের মতো রুবিকেও পুলিশ সন্দেহ করে। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সালমান মারা যাওয়ার পর থেকে রুবি বিদেশে আছেন। এর আগে অনেকবার দাবি করেন, সালমানের মৃত্যুর ব্যাপারে কিছু জানেন না তিনি।
তবে ভিডিওতে তিনি আতঙ্কের কথা বলছেন। রুবি জানান, জীবন হারানোর আশঙ্কায় আছেন তিনি। তার দাবি, সালমান শাহ্’কে যে হত্যা করা হয় তার প্রমাণ তার কাছে আছে। তাই তাকেও মেরে ফেলা হতে পারে। কেন খুন করা হতে পারে রুবিকে? তার ভাষ্যে, ‘কারণ আবার (সালমানের মৃত্যুরহস্য) কেস ওপেন হইছে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ১১/বি নিউইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার বাসার নিজ কক্ষে সালমান শাহকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে প্রথমে হলি ফ্যামিলি ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। মামলা প্রথমে রমনা থানা পুলিশ পরে ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির তদন্ত করেন। তদন্তকালে সালমান শাহর মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
প্রতিবেদনে তারা সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে বর্ণনা করে। পরে সালমান শাহর পরিবার ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দিলে মরদেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্ত করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। তাদের প্রতিবেদনে মরদেহ অত্যাধিক পঁচে যাওয়ার কারণে মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪০০ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930