শিরোনামঃ-

» পাউবো ঠিকাদার ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৬. আগস্ট. ২০১৭ | বুধবার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামী ঠিকাদার ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপলকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। খায়রুল হুদা চপল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নূর ট্রেডিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী। এ নিয়ে দুদকের মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হল।

গ্রেফতারকৃত খায়রুল হুদা চপল বর্তমানে সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের ছোট ভাই। বছর দু’য়েক আগে চপল জেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পান।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, বিদেশ (সিঙ্গাপুর) যাওয়ার চেষ্টাকালে রাত পৌনে ১২টার দিকে বিমান বন্দরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সাহায্যে খায়রুল হুদা চপলকে গ্রেফতার করা হয়। এপিবিএন পুলিশই তাকে গ্রেফতার করে। পরে দুদকে সোপর্দ করে।

জানা যায়- হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি, অনিয়ম ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে গত ২ জুলাই সুনামগঞ্জ সদর থানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদার সহ মোট ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ৪৬ জন ঠিকাদার রয়েছেন। ঠিকাদার খায়রুল হুদা চপল ওই মামলার অন্যতম আসামী।

আসামীদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অভিযোগ- প্রতি বছর বন্যা আসার সময় ও আশঙ্কা সম্পর্কে অবহিত থাকার পরও তারা পরস্পর যোগসাজশে মৌলিক চুক্তি ভঙ্গ করেছে। ওই চুক্তিতে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের অসমাপ্ত ৮৪টি প্যাকেজের বাঁধ নির্মাণ শেষ করতে ঠিকাদারদের অনুমতি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পরে আর দরপত্র আহ্বান না করে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে আগের ঠিকাদারদেরই ১৬০টি প্যাকেজে নতুন কাজ দেওয়া হয়। নতুন প্যাকেজের মধ্যে ৯টির কাজ শুরু না করে এবং ১৫১টি প্যাকেজের কাজ আংশিক সম্পন্ন করার মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে ভবিষ্যতে প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করার সুযোগ সৃষ্টি করেছেন আসামীরা।

এসব কারণে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও দন্ডবিধির ৪০৯, ১৬৬, ৫১১ ও ১০৯ ধারায় এই মামলা করা হয়েছে বলে দুদক উপ পরিচালক প্রণব কুমার জানিয়েছেন।

অন্যদিকে- হাওরের বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল হক বাদী হয়ে গত ৩ আগস্ট মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় ১৪০ জনকে। যার মধ্যে ঠিকাদার ৪৬ জন। এ মামলায় ঠিকাদার খায়রুল হুদা চপলও একজন আসামী।

মামলায় অভিযোগ করা হয়- ঠিকাদাররা ৮৪টি প্যাকেজের কাজ দরপত্রের শর্ত মোতাবেক সম্পন্ন করেননি। শুধু চলতি বছর নয়, আগের বছরেও তারা একই কাজ করেছেন। পাউবো কর্মকর্তারা এ কাজে সহযোগিতা করেছেন। এর মাধ্যমে তারা অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তদন্তকালে এদের অবৈধ সম্পদ জব্দ করার আবেদনও জানানো হয় এজাহারে।

বিচারক মো. মুজিবুর রহমান তা গ্রহণ করে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানোর আদেশ দেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৬৫৫ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930