শিরোনামঃ-

» সিলেট চেম্বারের উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে তামাবিল স্থলবন্দর সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত: ২৪. আগস্ট. ২০১৭ | বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে তামাবিল স্থলবন্দর সংক্রান্ত বিষয়ে কাস্টম্স, এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট কশিনারেট সিলেট, কর অঞ্চল-সিলেট ও তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চেম্বার কনফারেন্স হলে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর অঞ্চল-সিলেট এর কর কমিশনার মোহাম্মদ আবু দাউদ বলেন- তামাবিল স্থল শুল্ক স্টেশন পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তরিত হচ্ছে এটি ব্যবসায়ীদের জন্য আনন্দের বিষয়। একটি স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে অনেক সুযোগ-সুবিধা গড়ে উঠে।

তিনি বলেন- পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর চালুর ক্ষেত্রে তামাবিলে সোনালী ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকের শাখা চালু করা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে এ বন্দর দিয়ে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটন খাতের বিকাশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, করদাতাদের আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য কর বিভাগ হেল্প লাইন চালু করেছে। করদাতাগণ আয়কর সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে ০১৭৯৬৯৫৫৯৫০ নম্বরে যোগাযোগ করে সহযোগিতা নিতে পারেন বলে তিনি জানান।

কাস্টম্স এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর অতিরিক্ত কমিশনার মো. নিয়াজুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, তামাবিল এলসি স্টেশন আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করবে। এই স্থলবন্দরে আমদানী-রপ্তানীকারকদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা রাখা হবে।

তিনি জানান- স্থলবন্দরে ব্যাংকের ব্যবস্থা করার জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আলোচনা হয়েছে। বন্দরের ওয়্যার হাউজে পণ্য রাখার জন্য তিনটি স্লেভ এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান।

তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে পণ্য পরিবহন ও পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য আলাদা রাস্তা রাখার ব্যাপারে তার পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

এছাড়াও তিনি বন্দরের অন্যান্য বিষয়ে সিলেট চেম্বার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের নিয়ে পরিদর্শনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, তামাবিল স্থল শুল্ক স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তরের কার্যক্রম চলছে। আমদানী-রপ্তানীকারকদের স্থল শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দরের মধ্যে পার্থক্য ও ব্যবহারের নিয়মাবলী জানা একান্ত জরুরী।

বিভিন্ন পণ্য ট্রাক টু ট্রাক লোডিং, পাথর-কয়লা ইত্যাদি ডাম্পিং এর জন্য কতটুকু জায়গা থাকবে, ডাম্পিংকৃত মালামাল অতিরিক্ত চার্জ ব্যতিরেকে কয়দিন রাখা যায় ইত্যাদি বিষয়ে আমদানী-রপ্তানীকারকদের ধারণা থাকা প্রয়োজন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট চেম্বারের সহ-সভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক জিয়াউল হক, পরিচালক পিন্টু চক্রবর্তী, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, চন্দন সাহা, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্ আলম, সদস্য লিয়াকত আলী, মো. আবুল কালাম ও মো. জালাল উদ্দিন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট চেম্বারের পরিচালক মো. হিজকিল গুলজার, এহতেশামুল হক চৌধুরী, মুকির হোসেন চৌধুরী, মুশফিক জায়গীরদার, আব্দুর রহমান, চন্দন সাহা, মো. আব্দুর রহমান (জামিল), হুমায়ুন আহমেদ, আলহাজ্ব মো. আতিক হোসেন, কাস্টম্স এর সহকারী কমিশনার আহমেদুর রেজা চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম, অতিরিক্ত উপ পরিচালক সুলতান মাহমুদ ভূইয়া, তামাবিল স্থলবন্দরের ওয়্যারহাউজ সুপারিনটেনডেন্ট এম এম ফারুক, সিলেট চেম্বারের সদস্য হিমাংশু কুমার দত্ত (মিন্টু), জুবায়ের রকিব প্রমুখ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১০৩৬ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930