শিরোনামঃ-

» চাল কিনতে গিয়ে টাকার হিসাবে হিমশিম

প্রকাশিত: ২৮. আগস্ট. ২০১৭ | সোমবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ মো. শহীদের ঘরে প্রতিদিন ২ কেজি চালের ভাত রান্না হয়। প্রতিদিন ৬ সদস্যের পরিবারের জন্য চাল কিনতেই শ’ খানেক টাকা চলে যায়। কিন্তু রিকশাচালক শহীদকে চাল কিনতে গিয়ে টাকার হিসাবে হিমশিম খেতে হয়। রায়ের বাজারে থাকেন, ঘরভাড়া ছাড়াও পরিবারের অন্য খরচ আছে। চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় শহীদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ বেশ বিপাকেই পড়েছেন।

গত মে-জুনে চালের দাম বেড়ে যায়। এরপর বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে হাওরে ফসল নষ্ট হওয়ায় চালের সংকট দেখা দেয়। যদিও চালের আমদানি শুরু হয়েছে, তবে দাম এখনো কমেনি।

রোববার (২৭ আগস্ট) মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের ব্যবসায়ী ইলিয়াস মোল্লা বলেন, দাম এখনো স্থির আছে। ভারত থেকে মোটা চালের আমদানি শুরু হওয়ায় এ চালের দাম সামান্য পরিমাণ কমেছে।

টাউন হল ঘুরে দেখা গেল, দোকানভেদে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা, বিআর আটাশ ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৫৫ এবং নাজিরশাইল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কয়েক মাস আগেও চান মিয়া ৩৫ টাকা কেজিতে চাল কিনেছেন। কিন্তু এখন কিনতে হচ্ছে ৪২ টাকায়। পেশায় দিনমজুর চান মিয়া ঢাকায় মেসে থাকেন। সাতক্ষীরার মানুষ চান মিয়া বলেন, ‘খাই কয়ডা ভাত। হেই ভাতেও কত দাম। চাউল কিনতেই যদি ৪০-৫০ ট্যাকা যায়, আমরা গরিবেরা কই যাইমু।’ জানালেন, একবেলা ভাত খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন।

শুধু নিম্নবিত্ত নয় চালের বাড়তি দাম মধ্যবিত্তের কপালেও ভাঁজ ফেলেছে। ধানমন্ডি ৮/এ-তে একটি মুদি দোকানে কেনাকাটা করছিলেন শাহানা বেগম। পাঁচজনের সংসারে স্বামীই উপার্জন করেন। গৃহিণী শাহানা বলেন, ‘বাঙালিদের সারা দিন নানা জিনিস খেলেও একবার ভাত না খেলে শান্তি লাগে না। আমাদের রুটি খাওয়া হয় বেশি।

কিন্তু পাশাপাশি ভাতটাও রান্না করতে হয়। ভালো চাল না হলে আবার বাচ্চারা খেতে চায় না। হিসাব করে চলতে হয়। তাই দাম বেশি হওয়ায় গত মাস থেকে একটু কম দামের চাল কিনছি।’

বাবু বাজার ও বাদামতলী চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের বাজার একই রকম আছে। ভারত থেকে এখন আমদানি হচ্ছে স্বর্ণা চাল। এর পাইকারি মূল্য ৪১-৪২ টাকা।

অন্যদিকে, বিআর আটাশ ৪৬-৪৭ টাকা, মিনিকেট ৫২ টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। দাম কমার বিষয়ে বলেন, ‘হাওরাঞ্চলের ধান নষ্ট হয়েছে। এরপরেই আবার বন্যা- দুইটা ধাক্কা গেছে।

এখন চাল আমদানিটা ঠিকমতো থাকলে দাম আর বাড়বে না। তবে আসছে মৌসুমে কেমন ধান ওঠে, সেটা দেখে বলা যাবে দাম আদৌ কমবে কি না।’

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৮৪ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30