শিরোনামঃ-

» জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ১০. সেপ্টেম্বর. ২০১৭ | রবিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত শুধু সিলেটের নয় তিনি দেশের একজন নক্ষত্র ছিলেন। একজন দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে সারা দুনিয়াব্যাপী তাঁর সুনাম ছিল। তিনি  শুধু সিলেটের নেতা ছিলেন না, সমগ্র বাংলাদেশের নেতা ছিলেন সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্মরণ সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব বলেছেন।

শনিবার (০৯ সেপেটম্বর) সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে দিরাই-শাল্লা সম্প্রীতি পরিষদ আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, ছাতক-দোয়ারা নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, দিরাই-শাল্লার সংসদ সদস্য ও সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্ত্রী ড. জয়াসেন গুপ্ত, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আবুল কালাম মো. আবদুল মোমেন।

সভায় অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয় নেতা মারা গেলে আমরা সিলেটে স্মরণ সভা করি। কিন্তু সুরঞ্জিত সেন মারা গেছেন প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হয়েছে, আমরা তাঁর স্মরণে কোন সভা করতে পারিনি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। এর জন্য আমরা সবাই দায়ী।

তিনি বলেন- দেশের সংবিধান প্রণয়ন ও সাংবিধানিক সংকটে প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেন ছিলেন আমাদের ভরসা।

মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের বক্তৃতার প্রশংসা করে বলেন- তিনি পার্লামেন্টে এক ঢংয়ে এবং পার্লামেন্টের বাইরে অন্য ঢংয়ে বক্তৃতা করতেন।

যেকোন বিষয়ে রং-রস লাগিয়ে তিনি মজাদারভাবে উপস্থাপনা করতে পারতেন। যেটা আমরা অনেকেই পারি না। সিলেট- সুনামগঞ্জ সড়কের তেমূখী পয়েন্টের গোল চত্বর প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের নামে করা হবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন- সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পর যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত থাকলে এই সমস্যা তিনি সুন্দরভাবে সমাধান দিতে পারতেন।

তাঁর দুরদর্শী নেতৃত্বে আমরা সিলেটে প্রথম পৌরসভা নির্বাচন করি এবং জয়লাভ করি। দল ও শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে তিনি সবসময় রাজনীতি করেছেন।

বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন- তিনি ছিলেন স্পষ্টবাদী ও সাহসী। তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।

মুহিবুর রহমান মানিক এমপি বলেন- স্বাধীনতার পুর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে তিনি জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন।

একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে একটি সাব সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বঙ্গবন্ধুর অনুগত ছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু তাকে ভাল বাসতেন।

ড. জয়াসেন গুপ্ত এমপি বলেন- ছোট বেলায় বাবা মা হারানো সুরঞ্জিত সেনের কোন আত্বীয়স্বজন ছিলেন না। যাদের কাছে তিনি ভালবাসা পাবেন। ভাটির আলো বাতাসে বেড়ে ওঠা সুরঞ্জিত হাওরের মানুষের ভালবাসা মমতা নিয়ে জাতীয় নেতা হয়েছেন। এ জন্য তিনি দিরাই শাল্লার মানুষকে তার আপনজন ভাবতেন। মানুষও তাকে ভালবেসে নিজেদের ছেলের মতো মনে করতো।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশফাক আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ইকবাল আহমদ, মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, অধ্যাপক বিজিতি কুমার দে, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আরিফ আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এডভোকেট রাজ উদ্দিন ও সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিকন্দর আলী, মহানগর আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জগদীশ দাশ, দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট শামসুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এডভোকেট রঞ্জিত সরকার, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক তপন মিত্র, সুদীপ দে, শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, ছাতক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক সৈয়দ আহমদ, ছাতক পৌর সভার সাবেক মেয়র আব্দুল ওয়াহিদ মজনু, সিলেটস্থ ছাতক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এম রশিদ আহমদ, ছাতক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল আবেদীন আবুল প্রমুখ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫০৩ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930