শিরোনামঃ-

» কোন জনপ্রতিনিধি না হয়েও মানুষের কল্যাণে জাপা নেতার প্রশংসনীয় সেবা

প্রকাশিত: ১৬. সেপ্টেম্বর. ২০১৭ | শনিবার

জকিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সোনাসার বাজারের বিভিন্ন সড়ক সংস্কারের অভাবে চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।  হাজারো মানুষের যাতায়াত এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কাদামাটিতে পরিপূর্ণ সড়কের কোন কোন অংশ দেখলে বোঝার উপায় নেই যে সেটি একসময়ে পাকা রাস্তা ছিল। ভাঙা এই সড়কে স্কুল-কলেজগামী পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী সহ রোগীগের চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে

প্রয়োজনীয় মেরামত ও সংস্কারের অভাবে সড়কটির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়েছে। জনগণের সমস্যার সময় দায়িত্বশীলরা যখন দায়িত্ব ভূলে থাকেন তখন সবাই সেই উক্তিটি ধার করে বলেন ‘ঐতিহাসিক রোম নগরী যখন পুড়ছিল সম্রাট নিরো তখনও বাঁশি বাজাচ্ছিল’। প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী সহ বৃদ্ধ, যুবক সবার যাতায়াত বাজারের এই সড়ক দিয়ে।

বৃষ্টিতে দীর্ঘদিন থেকে এই সড়কে প্রায় হাটু সমান পানি জমে রয়েছে। এই এলাকার জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যক্তিগণ, ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সবাই ব্যস্ত রয়েছেন নিজস্ব নেতৃত্ব আর পদ-পদবি নিয়ে, এলাকার উন্নয়ন আর অবনতির দিকে কারো কোনো নজর নেই। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে জমে থাকা কাদাপানির কোন সংস্কার হচ্ছে না, দূর্ভোগে ভূগছেন স্থানীয় এলাকার জনসাধারণ।

সম্ভাব্য ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের এই কর্মকান্ড ভাল চোখে দেখছেন না স্থানীয় এলাকার জনসাধারণ। প্রকাশ্যেই তারা অনেকেই ক্ষোভ ঝাড়ছেন এই বলে যে, ‘এই নেতারা নাকি আমাদের সমস্যার সমাধানের জন্য জনপ্রতিনিধি হতে চান।

আমাদের এই দুঃসময়ে যদি তাদের দেখা না পেলাম তাহলে তারা কখন জনগণের পাশে থাকবেন?’ দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় লোকজনের এই কষ্ট দেখে গত সোমবার সকাল থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সোনাসার বাজারে কাদাপানি পরিষ্কার করতে শুরু করেন সাত্তার অ্যান্ড কোং-এর সত্তাধিকারী এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির জকিগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং কসকনকপুর ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সাত্তার মঈন।

তিনি কোন জনপ্রতিনিধি না, তিনি জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর ইউনিয়নের একজন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ঠিকাদারি কাজ করে থাকেন।

তিনি সোনাসার বাজারের ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি। তিনি সোনাসার বাজার সরকারিভাবে নামকরণ করতে তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তির প্রায় ৭ শতক জমি দিয়েছেন। তিনি ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ পুলিশের এএসআই হিসেবে নিয়োগ পান, পরে ঘুষ নেবেন না দেকে তিনি চাকুরী ছেড়ে দেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে- জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যক্তিগণ, ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সবাই ব্যস্ত রয়েছেন নিজস্ব নেতৃত্ব আর পদ-পদবি নিয়ে।

এলাকার কি উন্নয়ন হচ্ছে বা কি অবনতি হচ্ছে তা দেখার কোন নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন এই এলাকার এই দু:সময়ে কেউ তাদের পাশে নেই, সবাই ব্যস্ত তাদের পদ-পদবি উদ্ধার করতে।  নেতারা গ্রামের মানুষদের পাশে না থেকে তাঁরা শহরে অবস্থান করছেন।

সোনাসার বাজারের ব্যবসায়ী তারু মিয়া  বলেন, ‘আজকের রাজনীতিতে কোনো ধরনের জনসেবা নেই। সবাই নিজের পেটের রাজনীতি করেন। এলাকার এই অবস্থায় তাদের পাশে থাকার কোনো প্রয়োজনই বোধ করেন না তারা। রাজনৈতিক দলের জনেসবা অনুবিক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খোঁজে বের করতে হবে। রাজনীতি এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। ভোটের রাজনীতি এখন অর্থ ও লাঠিতে চলে।’

অলিম্পিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফুয়াদ আল-আমিন বলেন- এলাকার উন্নয়ন আর অবনতি নিয়ে কারো কোন খেয়াল নেই। সবাই ব্যস্ত তাদের নেতৃত্ব নিয়ে। নির্বাচন এলে তখন জনপ্রতিনিধির অভাব হয় না। এলাকার দু:সময়ে কেউ পাশে নেই কিন্তু নির্বাচন এলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চান।

সাত্তার অ্যান্ড কোং-এর সত্তাধিকারী আব্দুস সাত্তার মঈন বলেন- তিনি দীর্ঘদিন থেকে এই দূর্ভোগ দেখছেন। বিভিন্ন সময় তিনি বিভিন্ন নেতাকর্মীকে বলেছেন, জনপ্রতিনিধিদের বলেছেন কিন্তু তিনি তেমন সহনশীল উত্তর না পেয়ে নিজে থেকে এই কাজের উদ্যোগে নেন। তাঁর এই কাজ হয়তো তেমন বেশি কিছু না তবে তাঁর দ্বারা যতটুকু সম্ভব তিনি এলাকার উন্নয়ন করতে প্রস্তুত আছেন।

তিনি আরো বলেন, ১৯৯০ সালে তিনি সরকারি চাকুরী ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির জকিগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং কসকনকপুর ইউনিয়নের সভাপতি। বর্তমানে সাত্তার অ্যান্ড কোং নামে তাঁর নিজের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৫৫ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30