- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হচ্ছে গণতন্ত্রের নির্যাস
- সিলেট মহানগর শ্রমিক কল্যাণের ট্রেড ইউনিয়ন কর্মশালা
- বিমানবন্দরে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের সংবর্ধনাকালে মুশাহীদ তালুকদার
- বন্ধ কল-কারখানা চালু এবং বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে নিম্নতম মজুরি ঘোষণার দাবিতে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সমাবেশ
- শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে ২৭নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের বিক্ষোভ মিছিল
- সিলেট জেলা ও মাহানগর পূজা উদ্্যাপন পরিষদের বার্ষিক প্রতিনিধি সভা
- এসএমপি‘র ট্রাফিক বিভাগের অফিসার ও ফোর্সদের সাথে নব-যোগদানকৃত পুলিশ কমিশনারের ব্রিফিং সভা অনুষ্ঠিত
- চা বাগানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে রাখার প্রতিবাদে বুরজান চা বাগানে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও কর্ম বিরতি করেছে
- সিসিক’র ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধনকালে জাহিদ
- যুবদলের কমিটিতে স্থান পাওয়ায় সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে ৫ জনকে অব্যাহতি
» যেকোন সংকটে আইনজীবী সমিতি সিনিয়র আইনজীবীদের পরামর্শ চাইতে পারে : শ.ম রেজাউল করিম
প্রকাশিত: ০৫. অক্টোবর. ২০১৭ | বৃহস্পতিবার
সিলেট বাংলা নিউজ ল’ ডেস্কঃ অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক। একই সঙ্গে তিনি আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য। এছাড়াও তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ছিলেন। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটি নিয়ে চলমান বিতর্ক নিয়ে সাংবাদিকের সাথে মুখোমুখি হয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি চাপের মুখে ছুটি নিয়েছেন এমন অভিযোগে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ক্ষোভ বা বিক্ষোভের বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
শ. ম. রেজাউল করিম : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তাঁর অসুস্থতার কথা ব্যক্ত করে নিজ স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন। সেই প্রেক্ষিতেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি তাঁর কোনো সহকর্মী, আইনজীবী কিংবা গণমাধ্যম কাউকেই বলেননি যে তিনি চাপের মুখে ছুটি নিয়েছে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এবং সম্পাদক একই দলের যুগ্ম-মহাসচিব। ফলে তাঁরা সুপ্রিম কোর্ট বারের ব্যানারকে ব্যবহার করে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে দলীয় উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছেন। আমার মনে হয় বিএনপি সকল আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে এমন অভিযোগ তুলে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সিনিয়র আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ করে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেছেন, এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি?
শ. ম. রেজাউল করিম : যেকোন সংকটে আইনজীবী সমিতি সিনিয়র আইনজীবীদের পরামর্শ চাইতে পারেন। তবে এখনো তেমন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত বা শঙ্কাজনক ঘটনা ঘটেনি যে সিনিয়র আইনজীবীদের পরামর্শের দরকার পড়েছে। আমি মনে করি বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গন উত্তপ্ত করে সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে একটা খারাপ বার্তা পৌঁছানোর অপপ্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। আমি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক হিসেবে চ্যালেঞ্জ করে বলছি প্রধান বিচারপতির ছুটি নিয়ে বিএনপি’র আনিত অভিযোগের পক্ষে তাঁদের কাছে কোনো তথ্য, উপাত্ত কিছুই নাই যে তাঁরা প্রমাণ করবেন উনি (প্রধান বিচারপতি) ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছুটি নিয়েছেন। আইনজীবী সমিতির কল্যাণকর যে কোনো উদ্যোগের প্রতি আমরা স্বাগত জানাই কিন্তু উদ্যোগের উদ্দেশ্য যদি অসৎ হয় তাহলে সে জাতীয় উদ্যোগের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাধারণ আইনজীবীরা বাধ্য হবেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের রাজনৈতিক অপচেষ্টা ভেস্তে যাবে।
প্রধান বিচারপতিকে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে বিএনপি’র এমন অভিযোগের ব্যাপারে কি বলবেন?
শ. ম. রেজাউল করিম : প্রধান বিচারপতি ছুটি চাপ বা বাধ্য হয়ে নেননি। তিনি অসুস্থ সেজন্য বিশ্রাম চেয়েছেন। অনেকেই এই ছুটির সঙ্গে ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের ইস্যুটি টেনে আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই যে রায়কে ঘিরে আলাপ আলোচনা-বিতর্ক শুরু হয়েছে সেই রায় কিন্তু প্রধান বিচারপতি একা দেননি। সেখানে অপর ৫ জন বিচারপতিও স্বাক্ষর করেছেন। যারা এখনো স্বপদে আছেন এবং বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ফলে চাপ প্রয়োগ যদি করা-ই হয় তবে শুধু একজনের বিরুদ্ধে চাপ কেন করা হবে? সবার বিরুদ্ধেই তো চাপ সৃষ্টি করা হতো। ফলে এটা একটা হাস্যকর অভিযোগ। এছাড়া চাপ প্রয়োগের কোনো প্রশ্নই আসে না কারণ, রায়ের পরে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি, আইনমন্ত্রীর সাথে দেখা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথেও ইদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন তিনি। তাছাড়া জাতীয় সংসদে এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে মোকাবেলা করার প্রস্তাব পাস হয়েছে। সেখানেও কিন্তু আইন বহির্ভূত কোন পদক্ষেপ গ্রহণের প্রসঙ্গ আসেনি।
প্রধান বিচারপতি ক্যান্সার আক্রান্ত সে বিষয়ে সন্দেহের আবকাশ আছে কি-না?
শ. ম. রেজাউল করিম : প্রধান বিচারপতি ক্যান্সারের রোগী এটা অনেকের চেয়ে আমি ভালো জানি। দীর্ঘদিন যাবত তিনি ক্যান্সারে ভুগছেন। ক্যান্সারের চিকিৎসায় তিনি সরকারী সহযোগিতাও নিয়েছেন। এছাড়া গত ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে সুপ্রিম কোর্টে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন তিনি ক্যান্সারের রোগী। উনি (প্রধান বিচারপতি) তাঁর ছুটির আবেদনেও উল্লেখ করেছেন তিনি ক্যান্সারসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত। আর এসব যদি অসত্য হত তাহলে প্রধান বিচারপতি নিজেই কিন্তু তাঁর রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে পারতেন। প্রধান বিচারপতি গ্রেপ্তারকৃত বা অন্তরীন না। তিনি মুক্ত অবস্থায় থাকা মুক্ত মানুষ।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৭৩২ বার
সর্বশেষ খবর
- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হচ্ছে গণতন্ত্রের নির্যাস
- সিলেট মহানগর শ্রমিক কল্যাণের ট্রেড ইউনিয়ন কর্মশালা
- বিমানবন্দরে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের সংবর্ধনাকালে মুশাহীদ তালুকদার
- বন্ধ কল-কারখানা চালু এবং বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে নিম্নতম মজুরি ঘোষণার দাবিতে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সমাবেশ
- শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে ২৭নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের বিক্ষোভ মিছিল
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক
এই বিভাগের আরো খবর
- সিলেট জেলা ও মাহানগর পূজা উদ্্যাপন পরিষদের বার্ষিক প্রতিনিধি সভা
- এসএমপি‘র ট্রাফিক বিভাগের অফিসার ও ফোর্সদের সাথে নব-যোগদানকৃত পুলিশ কমিশনারের ব্রিফিং সভা অনুষ্ঠিত
- ৩৪নং ওয়ার্ডে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
- সিলেটে মানববন্ধনে বক্তারা তুরাব হত্যাকারীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে কঠোর আন্দোলন
- ৩৪নং ওয়ার্ডে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন