শিরোনামঃ-

» ‘আবার বিদেশ সফর নয়, অনেক কাজ জমে আছে’ : প্রধান বিচারপতি (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১০. অক্টোবর. ২০১৭ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অস্ট্রেলিয়ায় আইনজীবীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যেতে চাননি।

অবসরে যাওয়ার আগে কাজের চাপ থাকায় ফের ছুটিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। রোহিঙ্গা ইস্যুটি বিশ্বের প্রধান বিচারপতিদের নজরে আনার জন্য উদ্যোগী ছিলেন।

শনিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে এসব কথা বলেন হিউম্যান রাইটস ব্যুরোর মহাসচিব এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটসের কনভেনার অ্যাডভোকেট ড. মোহাম্মদ শাজাহান। তিনি প্রধান বিচারপতির জাপান সফরের সঙ্গী ছিলেন।

ড. শাজাহান বলেন, ‘জাপান থেকে ফেরার পর আবার বিদেশ সফর যেতে চাননি প্রধান বিচারপতি। অস্ট্রেলিয়ায় আরেকটি কনভেনশন হওয়ার কথা ছিল ইন্টারন্যাশনাল বারে।

সেখানে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বেশ কয়েকটায় অংশ নিয়েছি সম্ভবত আমার অবসরে যাওয়ার আগে আর এইরকম কনফারেন্সে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

অনেক কাজ জমে আছে। এগুলো ঠিক করে যেতে হবে। প্রথাগত ভাবে আমাদের দীর্ঘ অবকাশকালীন সময় পরে গেট টুগেদার হয়। সেটির দাওয়াত তিনি দিয়েছেন। কিন্তু সেটি একদিনের মাথায় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়ার মত অসুস্থতা আমার মনে হচ্ছে না।’

শাজাহান বলেন, ‘জাপান সফরের সময় হোটেল ওতানিওতে দ্বিতীয় দিনে আমরা যখন মিটিং শেষ করলাম তখন প্রধান বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের প্রধান বিচারপতিদের নজরে আনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ফিরে যখন দেখা করতে গেলাম তখন আমাকে বলা হল, আগামীকাল কোর্ট শুরু হচ্ছে তখন আপনি আসলে কথা হবে। এর পরই তিনি ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।’

টকশোতে আরেক আলোচক সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রাক্তন আইনজীবী সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দন বলেন, ‘আমাদের সব কিছুতেই আমরা রাজনীতি খুঁজি। যৌক্তিক কারণ থাকুক আর না থাকুক এটা ঠিক না। আর প্রধান বিচারপতিদের ছুটি দিতে হয় না।

তারা নিজেরাই ছুটিতে যেতে পারেন সেটি রাষ্ট্রপতিকে জানিয়ে রাখা হয় চিঠির মাধ্যমে। এটি নিয়ে আলোচনা না হওয়াই ভালো। মনে রাখা দরকার একজন প্রধান বিচারপতিকে চাপ দেয়া যায় না।’

ড. মোহাম্মদ শাজাহান বলেন, ‘অন্যদেশের প্রধান বিচারপতিরা বলেছেন তোমাদের প্রধান বিচারপতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি রায় দিয়েছেন। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি যা করেছি তা ইতিহাস একদিন এটাকে বিচার করবে।

আমি বিশ্বাস করি আমি আমার সর্বোচ্চ বিবেক এবং দায়বদ্ধতার আলোকে করেছি। এ কথাটি স্পষ্ট শুনেছি, বলেন ড. মোহাম্মদ শাজাহান।’

ড. মোহাম্মদ শাজাহান বলেন- আনাম কমিশনের রিপোর্টের পর কূটনৈতিক তৎপরতায় দৃশ্যত সফলতা দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই রিপোর্টের পরে সীমান্তে আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ছিল না।

ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারে গিয়ে তাদের পাসে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই ঘোষণাটি বাংলাদেশের পক্ষে আসেনি। সরকারের আন্তরিকতা রয়েছে তবে কোথাও যেন আমাদের কূটনৈতিক ব্যর্থতাও রয়েছে।

ভারতের অর্থ ও কর্পোরেট-বিষয়ক মন্ত্রী অরুণ জেটলির বাংলাদেশ সফরে রোহিঙ্গা বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি। মোদির মিয়ানমারের পাসে থাকার ঘোষণা, চীন, রাশিয়ার নিরবতা সব কিছু কূটনৈতিক ব্যর্থতার জন্যই হচ্ছে বলেন ড. মোহাম্মদ শাজাহান।

অনুষ্ঠানে আরেক আলোচক সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রাক্তন আইনজীবী সম্পাদক এ এম আমিন বলেন- আমরা মানবিক দিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। চীন, ভারত চুপ আছে তাদের ব্যবসায়ীক স্বার্থে।

আমরা এখানে ভিকটিম। তবে সরকার কূটনৈতিকভাবে ভারত ও চীনকে পক্ষে আনার জন্য তৎপর রয়েছে। আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধে জড়াতে চেয়েছিল মিয়ানমার। বাংলাদেশ শক্তহাতে সেটি মোকাবেলা করছে। গোটা বিশ্ব আমাদের পক্ষে রয়েছে তাই সরকারকে কূটনৈতিক ভাবে ব্যর্থ বলা যায় না।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৩০ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30