শিরোনামঃ-

» তপন দাশ সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক হতে চান

প্রকাশিত: ২৮. অক্টোবর. ২০১৭ | শনিবার

সিলেট বাংলা নিউজ স্টাফ রিপোর্টারঃ বিশ্বনাথের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে যে নামটি ঘুরে ফিরে আলোচিত হয়, সেই নাম তপন দাশ।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৬নং বিশ্বনাথ ইউনিয়নের পুরান বাজারে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা বিশ্বনাথ পুরান বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মৃত ঠাকুর মনি দাশ, ঠাকুর মনি মহাজন নামে পরিচিত।

তাঁর মামা মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র দাশ দিরু। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় পাকিস্তানী পাক বাহিনীরা বিশ্বনাথ পুরান বাজার বর্তমান আল হেরা শপিং সিটির পিছনে নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে পাকিস্তানী ক্যাম্পে গুলি করে হত্যা করে।

তপন দাশের দাদার বাড়ী ৮নং দশঘর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে। বর্তমানে তিনি তিন যুগ ধরে পূর্ব জানাইয়ার বাসিন্দা হিসেবে পূর্ব জানাইয়া রোডস্থ সেলিম মঞ্জিলে বসবাস করছেন। তপন দাশ হাই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নকালীন সময়েই তিনি জয় বাংলা শ্লোাগান কণ্ঠে ধারণ করে আওয়ামীলীগের তৎকালীন সভাপতি মরহুম মনু মিয়ার হাত ধরে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

T-2তখন থেকেই তিনি সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে থাকেন। ১৯৮৫ সালে তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাউরের অধীন বিশ্বনাথ থানা ছাত্রলীগের ২১নং সদস্যপদ লাভ করেন।

পরবর্তীতে তিনি দ্বিধা বিভক্ত ছাত্রলীগের একাংশের নেতৃত্ব দেন সভাপতি মাসুক আহমদ ও সাধারন সম্পাদক শেখ আজাদ অন্য অংশে নেতৃত্ব দেন এম আর লিলু ও তপন দাশ।

এম আর লিলু ও তপন দাশের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগ ১৭ অক্টোবর ১৯৮৭ সালে তৎকালীন নতুন বাজার জামাল হোটেলে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। সেই ইফতার মাহফিলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এ টি এম  ফয়েজ, ছাত্রনেতা মিসবাহ্ উদ্দিন সিরাজ, শাহ মো. মোসাহিদ আলী সহ জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন।

৬ জুলাই ১৯৮৯ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে রন বিজয় পুরস্ককায়স্থ-কে সভাপতি, আখদ্দুস আলীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয় এবং এর কিছু দিন পর ৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৯০ সালে বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগ স্থানীয় ডাক বাংলায় মো. সেলিম আহমদ এর সভাপতিত্বে এক কর্মী সভায় মো. এমদাদুর রহমান এমদাদকে আহ্বায়ক ও তপন দাশ, ফারুক আহমদ, মাহবুবুর রহমান লিলু, ভাষ্কর জ্যোতি দে-কে যুগ্নআহ্বায়ক করা হয় এবং ১৫ আগষ্ট ১৯৯০ সালে ছাত্রনেতা তপন দাশের সভাপতিত্বে বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগ এক শোকসভা ও গরীব অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরনের জন্য এক কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করে।

সেই শোক সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মাস্টার আফছর মিয়া, বজলুর  রশিদ, এডভোকেট আব্দুর রশিদ লাল মিয়া, বাবুল আক্তার, সাজিদ আলী, ফারুক আহমদ, ইমরান হোসেন, মইনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

১৮ অক্টোবর ১৯৯০ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী কয়েছ, সাধারণ সম্পাদক এ টি এম ফয়েজ, আশিকুর রহমান আশিককে সভাপতি ও ফারুক আহমদকে সাধারণ সম্পাদক ও আব্দুল হাইকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।

পরবর্তীতে ২৯ জুলাই ১৯৯২ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে কলিম আলী খসরুকে সভাপতি ফারুক আহমদকে সাধারন সম্পাদক ও ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করে তপন দাশকে  সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।

২০০৪ সাল হইতে ৭ জুন ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

৩২ বছরের এই রাজনৈতিক জীবনে তিনি হরিপুর তৈল ক্ষেত্র আন্দোলন, সিলেট বিভাগ বাস্তবায়ন আন্দোলন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, খালেদা জিয়া বিরোধী আন্দোলন, রশিদপুর, রামপাশা, জগন্নাথপুর রাস্তা সংস্কার ও মেরামত করার আন্দোলন, বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ আন্দোলন সহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

তিনি বিশ্বনাথের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর নেতা ছিলেন। সিলেট বিভাগ বাস্তবায়ন, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, বিশ্বনাথ থানা শাখার সদস্য সচিব ছিলেন।

ছাত্র কল্যাণ পরিষদ বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজ শাখার সাধারন সম্পাদক ও বিশ্বনাথ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ন-আহ্বায়ক এর দায়িত্ব পালন করেন।

তার এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ৪টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইনামুল হক চৌধুরী বীর প্রতিক, ১৪ দলীয় প্রার্থী বাকশালের লুৎফুর রহমান, শাহ আজিজুর রহমান ও শফিকুর রহমান চৌধুরী সাবেক এমপির নির্বাচনে জীবনের ঝুকি নিয়ে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন ও নির্বাচনে ভোট গণনা শেষে ভোট কেন্দ্রের প্রধান প্রিজাইটিং অফিসারের নিকট হইতে মূল রেজাল্ট শীট গ্রহন করেন।

জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সমকাল ২৩ জুলাই ২০১১ সালে প্রকাশিত বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মজম্মিল আলী ও সাধারন সম্পাদক বাবুুল আক্তার স্বাক্ষরিত সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক খুনি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ ইলিয়াস আলী ঢাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার পর তিনি স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসী রাজনীতি শুরু করেন।

তাঁর আশ্রিত সন্ত্রাসী বিধান সাহা বিশ্বনাথ কলেজ ছাত্রলীগের মিছিলে হামলার জন্য যে গ্রেনেড বহন করেছিল সেই গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়ে সে মারা যায়।

T-1আত্মঘাতি গ্রেনেড বিস্ফোরনে তৎকালীন ছাত্রদলের ছাত্রনেতা ইউসুফ আলী বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা মইনুল হোসেন আঙ্গুর, আশিকুর রহমান, তপন দাশ, ফারুক আহমদ সহ মোট ১৭ জন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।

বিশ্বনাথ উত্তরপার উপজেলা পরিষদের কোর্ট প্রাঙ্গনে জামাত শিবির নেতা সামসুলের উপর হামলার দায়ে রাজনগর, মোল্লারগাঁও এর জনৈক ব্যক্তি ১ নভেম্বর ১৯৯৩ সালে সাবেক আওয়ামীলীগ সভাপতি মরহুম মনু মিয়ার ভাতিজা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বর্তমান বার্মিংহাম যুবলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সফিক, মোক্তাদির হোসেন শামীম, আফছর মিয়া ও তপন দাশকে ৪নং এজাহারভূক্ত আসামী করা হয়।

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ব্যবসা ও সামাজিক সংগঠনের সাথেও জড়িত। তিনি সুন্দরবন কুরিয়ার এন্ড পার্শ্বেল সার্ভিস (প্রাঃ) লিঃ এর এজেন্সী ওনার। ন্যাশনাল সঞ্চয় ঋণ দান সমবায় সমিতি (প্রাঃ) লিঃ এর চেয়ারম্যান, আদর্শ শিশুনিকেতন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য।

ছায়াতরু সমাজকল্যাণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা, বিশ্বনাথ উপজেলা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি। এই সংগঠনের উদ্যোগে ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন, প্রবাসী সংবর্ধনা ও গরীব অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিরতন করেন এবং আগামী শীত মৌসুমীও ৪/৫ শতাধিক কম্বল বিতরন করবেন।

তপন দাশ ১৯৮৯ সালে বিশ্বনাথ রামসুন্দর অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগে এস এস সি, ১৯৯১ সালে বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচ এস সি ও ১৯৯৩ সালে সিলেট মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

পরবর্তীতে ঢাকা ল’ কলেজ ও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি থেকে এল এল বি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি সিলেট জেলা বারের বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবি জেলা আইনজীবি সমিতির নব নির্বাচিত যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আকমল খাঁন এডভোকেটের জুনিয়র হিসেবে আইন পেশায় জড়িত আছেন।
বিগত ৮ জুন ২০১৫ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট মিসবাহ্ উদ্দিন সিরাজের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি মূল ধারার সাথে ছিলেন।

T-3৯০’ গণআন্দোলনের নেতা আওয়ামীলীগের দু:সময়ের কান্ডারী দক্ষ সংগঠক, রাজপথের হরতাল, অবরোধ, মিছিল-মিটিং-এ বড় হওয়া তপন দাশ একজন পরিক্ষিত মুজিব সৈনিক।

তিনি বলেন- রাজনীতি তার পেশা নয়, নেশা। তিনি রাজনৈতিক জীবনে অনেক অত্যাচার, নিপীড়ন সহ্য করেছেন। কোন ভয়-ভীতি হুমকি তাঁকে মুজিব আদর্শ থেকে সরাতে বা বিচ্যুত করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও ইতিহাসের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক সাবেক তুখোর ছাত্রনেতা যোগাযোগ সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সিলেট বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন সহ কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা কমিটি যদি তপন দাশকে যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করেন তাহলে তিনি দলের ত্যাগী নিবেদিত সবাইকে নিয়ে দল মতের উর্ধ্বে উঠে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাবেন।

5এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে সাবেক মেধাবী ছাত্রনেতা বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিবিআর ৮৬’ এর চীফ ডাইরেক্টর আলহাজ্ব এমদাদুর রহমান এমদাদ বলেন- তপন দাশ একজন সৎ, ত্যাগী ও আপাদমস্তক পরিক্ষিত রাজনীতিবিদ।

দীর্ঘদিন ধরে জীবন বাজি রেখে নিঃস্বার্থভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যে শ্রম দিয়েছেন তার স্বীকৃতি হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটি, সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, অসীম কুমার উকিল সহ সিলেট জেলা কমিটি তপন দাশকে দলের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করলে আমরা ও যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা সব সময় তপন দাশের পাশে থাকব।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২৪০৯ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30