শিরোনামঃ-

» ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন

প্রকাশিত: ০৩. ডিসেম্বর. ২০১৭ | রবিবার

হেল্থ রিপোর্টারঃ ‘স্বাস্থ্য আমার অধিকার’- এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইউনিসেফ এর সহায়তায় বাস্তবায়িত ‘এইচআইভি সেবা জোরদারকরণ কার্যক্রম’-এর আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপিত হয়েছে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর)  সকালে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। হাসপাতালের পরিচালকের নেতৃত্বে র‌্যালীটি হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লক থেকে শুরু হয়ে রিকাবী বাজার ঘুরে ফের মেডিকেল কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে কলেজ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

‘এইচআইভি সেবা জোরদারকরণ কার্যক্রম’র ব্যবস্থাপক মো. মোতাহের হোসনের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে মাহবুবুল হক। সভার শুরুতে আবাসিক চিকিৎসক (মেডিসিন) ও হাসপাতাল এআরটি সেন্টারের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. আবু নাঈম মোহাম্মদ এইচআইভি/এইডস ও  এআরটি সেন্টারের মাধ্যমে এইচআইভি আক্রান্তদের সরকারী সেবা প্রদান বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

মূল আলোচনা পর্বে  বিশ্ব এইডস দিবস ও এইচআইভি সংক্রমন প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি মেডিসিন বিভিাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শিব্বির আহমেদ, পর্যায়ক্রমে বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক ডা. মামুন মোহাম্মদ আলী আহাদ, অধ্যাপক ডা. এএফএম নাজমুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. জাহানারা বেগম, অধ্যাপক ডা. দিলিপ কুমার ভৌমিক, ডা. এফএমএ মুসা চৌধুরী প্রমুখ।

সভায় আলোচকগণ সিলেট অঞ্চলে এইডস এর বিস্তারে ঝুঁকিপূর্ণতা এবং তা প্রতিরোধে করনীয় ও সিওমেক হাসপাতাল কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ্যের উপর আলোকপাত করেন। এইচআইভি সংক্রমনের অন্যতম ঝুঁকি প্রবন এলাকা হিসেবে সিলেট অঞ্চলে এব্যপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

পাশাপাশি সরকাররে সংক্রমণ প্রতিরোধ নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে এইচআইভি আক্রান্তদের সেবাদান করলে সেবাদানকারীদের সংক্রমণের  ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

সভায় বক্তারা আরো বলেন, এইচআইভি আক্রান্তদের সেবা প্রদানে অবশ্যই সেবা প্রদানকারীগন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোন রোগী যদি চিকিৎসা বঞ্চিত  হয়ে ফেরত যায় তার দায়ভার সেবা প্রদানকারীরা কোন অবস্থাতেই এড়াতে পারবেন না। আর এ ধরনের  ঘটনা ঘটলে সেবাদানকারীদেরই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। মনে রাখতে হবে একজন চিহ্নত আক্রান্ত ব্যাক্তি কখনোই সেবাদানকারীদের জন্য ঝুকিপূর্ণ নয়, তাইসেবা প্রদানের কোন ধরনের বৈষম্য করা উচিত নয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এইচআইভি আক্রান্তদের প্রতিনিধি, বন্ধু সোস্যাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির ম্যানেজার চাঁদনী অক্তার, হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক শিউলি আক্তার, বিডিএনএ’র সাধারন সম্পাদক রেখা রানী বণিক, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির সভাপতি খায়ের আহমেদ চৌধুরী, চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী সমিতির সভাপতি ইমরান হোসেন সহ সিওমেক হাসপাতাল এর বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, সরকার ইতিপূর্বে বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার মাধ্যমে এইচআইভি সেবা প্রদান করে আসলেও চলতি বছরের পহেলা অক্টোবর হতে দেশের পাঁচটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এআরটি সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে এইচআইভি আক্রান্তদের ঔষধ সরবরাহ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান শুরু করেছে। সিলেট বিভাগের এইচআইভি আক্রান্তগন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে বিনামূল্যে সবধরনের চিতিৎসা সেবা পাচ্ছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪০০ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930