শিরোনামঃ-

» আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন এবং ওয়াদা কারালেন প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)

প্রকাশিত: ৩১. জানুয়ারি. ২০১৮ | বুধবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ বিএনপি ধ্বংসাত্বক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়, বিএনপি আসলে শুরু হয় হাহাকার। আমরা গাছ লাগাই, বিএনপি জামায়ত জোট গাছ কাঁটে, রাস্তা বানালে রাস্তা কাটে। বিএনপি উন্নয়নের নয় ধ্বংসের রাজনীতি করে, আওয়ামীলীগ ভাগ্য উন্নয়নের রাজনীতি করে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর চৌহাট্টাস্থ আলিয়া মাদরাসা মাঠে সিলেট মহানগর ও জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন- বিএনপি সহ সবাই দেশের উন্নয়নের চেয়ে তাদের নিজেদের উন্নয়ন করেছে। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আওয়ামীলীগ উন্নয়ন করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় এসে নেতাকর্মীদের হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ক্লিন হার্ট অপারেশনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। ২০১৪ ও ১৫ সালে রাজনীতির নামে দেশে বিএনপি-জামায়ত জোট জ্বালাও পোড়াও করেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন- বিএনপি দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। আমরা ৪৫ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছি। তিনি বলেন একসময় দেশে বিদ্যুত ছিল না। এখন ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুত পাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন- আমরা ক্ষমতায় এসে মোবাইল ফোন মানুষের হাতে হাতে দিয়েছি। কম্পিউটারের উপর থেকে ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি। দেশে স্বাক্ষরতা ৭২ শতাংশে উন্নীত করেছি। বিনামূল্যে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বই পৌঁছে দিয়েছি। ৪০ হাজার স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুম করে দিয়েছি। প্রত্যকটি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। ফ্যাশন ডিজাইন বিশ্ববিদ্যালয় করেছি।

তিনি বলেন- আজ দেশে আট কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যববহার করে। ইন্টারনেট আরো ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করছি। আমরা কৃষকদের জন্য ১০ টাকার বিনিময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণ সুদ মওকুফ করে দিয়েছি। সিলেটের চা খাতে উন্নয়নের জন্য থোক বরাদ্দ দিচ্ছি। চা যেন সিলেট থেকেই নিলাম হতে পারে সেই জন্য আমরা নিলাম কেন্দ্র করে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন- আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের সুনাম হয়। বাংলাদেশ পুরস্কার পায়। আর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বেড়ে যায়, দুর্নীতি বেড়ে যায়। ২০১৪ সালে আমরা ক্ষমতায় না আসলে এতো উন্নয়ন হতো না। কারণ লুটেরা আসলে লুটপাট করত। ধ্বংস করত।

তিনি বলেন- ২০২১ সালে আমরা উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হবো। আর ২০৪১ সালে আমরা হবো উন্নত দেশ। ভিক্ষুক জাতির কোন ইজ্জত থাকে না, বলেছেন জাতির পিতা।

এরপর প্রধানমন্ত্রী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে জনসভায় উপস্থিত জনতাকে হাত তুলিয়ে প্রতিজ্ঞা করান।

এর আগে সিলেট সার্কিট হাউস থেকে বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় উপস্থিত হন। এ সময় নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে প্রিয় নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। তিনিও হাত নেড়ে শুভেচ্ছার জবাব দেন। বিকেল ৪টায় তিনি বক্তব্য দেয়া শুরু করেন।

সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের যৌথ পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি, আহমদ হোসেন ও মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান প্রমুখ।

এদিকে, জনসভা উপলক্ষে সকাল থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে আসেন। দুপুরের আগেই কাণায় কাণায় পূর্ণ হয়ে যায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ। মাদ্রাসা মাঠ ছাপিয়ে জনস্রোত মিশেছে আশপাশে সড়কে। হাতে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে তারা স্লোগানের পর স্লোগানে গোটা এলাকা মুখরিত করে তোলেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫০৫ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30