শিরোনামঃ-

» বড়লেখার চান্দগ্রামে মাদ্রাসায় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত: ১১. ফেব্রুয়ারি. ২০১৮ | রবিবার

বড়লেখা প্রতিনিধিঃ বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম আনোয়ারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বড়লেখা ছাত্র ঐক্যপরিষদের ব্যানারে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে চান্দগ্রাম মাদ্রাসায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশের আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল মাদ্রাসা থেকে চান্দগ্রাম বাজার প্রদক্ষিণ করে মাদ্রাসায় এসে শেষ হয়।

ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী মো. আলমগীর হোসেন, আমির হোসেন, গুলজার আহমদ, জুবেদ আহমদ, মাহমুদুর রশিদ, রহমানিয়া ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সাহেদ আহমদ, ভিপি সুরমান আলী, জিএস জয়নুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষার্থী মো. ফজলে রাব্বি, আলাউর রহমান, শিক্ষার্থী আলী হোসেন, জুনেদ আহমদ, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

সমাবেশের শুরুতেই হামলার প্রতিবাদে ৫টি দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পাঠ করেন বড়লেখা ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. ইকাবাল হোসেন। তারা দাবিতে উল্লেখ করেন মাদ্রাসাটি দ্রুত উন্নতি ও স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে দেখে কিছু কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এসে কলেজে যে নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তা দ্রুত বিচার আইনে সমাধান করে দিতে হবে এবং চিহ্নিত করে দোষিদের অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় কঠিন কর্মসুচির দিকে যাবেন বলে হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে নানা অনিয়মে সদ্য সাময়িক বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমদ এলাকার বেশ কয়েকজন মানুষ নিয়ে মাদ্রাসায় হামলা চালায়। এ সময় তারা উপাধ্যক্ষ মো. ওহীদুজ্জামান চৌধুরীর উপর তার নিজ কক্ষে হামলা চালায়। মারধরের একপর্যায় অফিস কক্ষ ও বিভিন্ন কক্ষে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে এবং উপাধ্যক্ষকে একটি কক্ষে তালা বদ্ধ করে রাখে। এসময় হামলায় মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মো. আছহাব উদ্দিন ও সহকারি শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলামসহ ১২ জন আহত হন। খবর পেয়ে বড়লেখা থানার এসআই দেবাশিষের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও এলাকাবাসি মিলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। উপাধ্যক্ষ মো. ওহীদুজ্জামান চৌধুরী বাদী হয়ে মৌলভীবাজার জেলা দ্রুত বিচার আদালতে ২০ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৫০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে আহত শিক্ষক মো. আছহাব উদ্দিন বাদী হয়ে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
আহত উপাধ্যক্ষ ওহীদুজ্জামান জানান, মাদ্রাসার ঐতিহ্য বিনষ্টকারীদের কঠিন শাস্তি চাই এবং মাদ্রাসার ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতা চাই।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমদ চৌধুরী জানান, তিনি আইনী পরামর্শ করে উনার বরখাস্তের লিখিত নিয়ে আসতে মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন। এলাকার মুরব্বি দেখে তিনি শিক্ষক মিলনায়তনে অপেক্ষা করছিলেন। কিছুক্ষণ পরে দেখেন মারামারি। তাই তিনি দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৫৪ বার

Share Button

Callender

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031