শিরোনামঃ-

» বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে সিলেটে জেলা ও মহানগর বিএনপির লিফলেট বিতরণ

প্রকাশিত: ১১. মার্চ. ২০১৮ | রবিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে, ষড়যন্ত্রমুলক মামলার ফরমায়েসী রায়ে কারান্তরীণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে নগরীতে লিফলেট বিতরণ করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।

শনিবার (১০ মার্চ) বিকেল ৫টায় দলীয় নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে নগরীর টিলাগড় এলাকায় ও বিভিন্ন বিপনী বিতানে চলমান লিফলেট বিতরণ কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট মহানগর বিএনপির উপদেষ্ঠা অধ্যাপক মকসুদ আলী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহ জামাল নুরুল হুদা, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আজমল বক্ত সাদেক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মহানগর বিএনপি নেতা মিনহাজ উদ্দিন মুসা, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না, মহানগর বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি জয়নাল আহমেদ সহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের অসংখ্য নেতৃবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন।

লিফলেটে বলা হয়েছে, প্রতিহিংসা ও জিঘাংসার বশবর্তী হয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এক সাজানো কাল্পনিক মামলায় তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং ৭২ বছরের বয়োজ্যৈষ্ঠ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অর্থ আত্মসাতের ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো পরিত্যক্ত স্যাঁতসেঁতে জরাজীর্ণ ভবনে নির্জন কারাবাসে পাঠানো হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। অথচ উক্ত ট্রাস্টের কোন অর্থই আত্মসাৎ হয়নি। বরং সেই ২ কোটি টাকা এখন সুদে আসলে ৬ কোটি হয়ে ট্রাস্টের নামেই ব্যাংকে পড়ে আছে। উক্ত ট্রাস্টের গঠন এবং পরিচালনার সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পর্ক নেই বা ছিল না।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় যাওয়ার প্রাক্কালে ১/১১ এর সেনা সমর্থিত জরুরি সরকার বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনা উভয়ের নামে মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা ক্ষমতার অপব্যহারের মাধ্যমে প্রত্যাহার কিংবা অনুগত বিচারকের মাধ্যমে বাতিল করিয়ে নেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সৎ হবেন, সেটাই সকল বাংলাদেশীর কামনা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নামে চেকের মাধ্যমে সরাসরি ঘুষ নেয়ার মামলা যদি রাষ্ট্রীয় প্রভাব বিস্তার করে প্রত্যাহার করা হয়- তাহলে দেশে আইনের শাসন আর থাকে কিভাবে? দলের জেলা সভাপতিকে হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগ করে তারই কোর্টে ৩ মাসের কম সময়ে ৫টি মামলা প্রত্যাহার করা কি নৈতিকতা সমর্থন করে? এরপরেও আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতারা সাফাই গান আর চিৎকার করে বলেন, আদালতের মাধ্যমে শেখ হাসিনার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নয়! বাংলাদেশের জনগণ কি এতই বোকা? তারা কি কিছু বোঝেনা।

এক টাকাও দুর্নীতি না করে বেগম খালেদা জিয়াকে যদি জেলে যেতে হয়, হবে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার ও অন্যান্যদের কি শাস্তি হওয়া উচিত তা ভবিষ্যতে জনগণের আদালতেই নির্ধারিত হবে ইন্শাআল্লাহ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৫৬ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30