শিরোনামঃ-

» সিলেট জৈন্তাপুরে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী

প্রকাশিত: ২৯. মার্চ. ২০১৮ | বৃহস্পতিবার

সিলেট বাংলা নিউজ, জৈন্তপুর প্রতিনিধিঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বিরাইমারা হাওড় (গড়েরপাড়) গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম এর মেয়ে জৈন্তিয়াপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী রোমেনা আক্তার (১৫) এর সহিত একই উপজেলার ২নং লক্ষীপুর গ্রামের মৃত আবু মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ (২৩) ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়।

এদিকে বাল্য বিয়ের বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে প্রতিষ্ঠান সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা স্যারকে অবহিত করে এবং শতাধীক শিক্ষার্থীরা বাল্য বিয়ে বন্ধের জন্য মিছিল সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সম্মুখে অবস্থান নেয়।

এ সময় শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান হোসেন শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন এবং বিয়ে বন্ধের আশ্বাস দিলে ছাত্রীরা উপজেলা প্রাঙ্গন ত্যাগ করে।

অপরদিকে সন্ধ্যা ৭ টায় নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে শুনানি হয়। জন্ম নিবন্ধন ইস্যুকারী ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহমদ আলী, ইউপি সচিব আবুল হোসেন এবং ইউপি সদস্য বিলাল আহমদ সটিক কারন তুলে ধরতে পারেনি এবং রেজিষ্টারে জন্ম তারিখ কাটাছিড়া পাওয়া যায়।

ফলে প্রতিয়মান হয় যে ইউনিয়ন পরিষদ হতে পূর্বে ইস্যুকৃত জন্ম নিবন্ধনের সাথে বর্তমান ইস্যুকৃত জন্ম সনদের ৩ বৎসরের অমিল দেখতে পান।

পূর্বের জন্ম নিবন্ধন সনদের সাথে পিএসসি এবং জেএসসি সনদের মিল থাকায় বয়স পরিপূর্ণ হয়নি মর্মে বাল্য বিবাহ হিসাবে চিহ্নিত করে বিয়েটি বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মৌরীন করিম।এসময় কন্যের পিতা মো. জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি সদস্য বিলাল আহমদ, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ আলী নিকট হতে ৩ শত টাকার ননজুডিশিয়াল ষ্টাম্পে লিখিত অঙ্গীকার নেন।

এছাড়া বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে কোন প্রকার ছল ছতুরীপনার মাধ্যমে অন্যত্র বিয়ের আয়োজন করলে ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও কন্যার অভিভাবক কে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে মর্মে লিখিত অঙ্গীকার নামায় নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট সম্মুখে স্বাক্ষর প্রদান করেন অভিযুক্তরা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিম বলেন- স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার অভিযোগের ভিত্তিত্বে কন্যা সহ অভিভাবকদের নির্বাহী কার্যালেয় হাজির করি।

পরে ছাত্রীর পরিবার তাঁদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ ক্রটি পাওয়ায় বিয়েটি বন্ধ করা হয়। চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অঙ্গীকার নামা নিয়ে ছাত্রীকে পরিবারের জীম্মায় দেওয়া হয়েছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪১৫ বার

Share Button

Callender

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031