শিরোনামঃ-

» সাংবাদিক আজাদের শয্যাপাশে ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক

প্রকাশিত: ১৬. এপ্রিল. ২০১৮ | সোমবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক হাবিব সরোয়ার আজাদকে সন্ত্রাসীরা ধরে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে গুরুতর আহত করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে তিনি সিলেট এসএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাবিব সরোয়ার আজাদ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার।

সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিক আজাদকে হাসপাতালের ৯নং ওয়ার্ডে দেখতে গেলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কে এম মাহবুবুল হক। এ সময় সাংবাদিক আজাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন তিনি। চিকিৎসায় যেন কোনো ধরনের গাফিলতি না হয়, এজন্য চিকিৎসকদের নির্দেশনা প্রদান করেন পরিচালক।

এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন- ব্রাদার ইনচার্জ ইসরাইল আলী সাদেক, ওয়ার্ড মাস্টার রওশন হাবীব, সাংবাদিক আজিজুর রহমান ও আনছার সদস্য নাছির উদ্দীন।

প্রসঙ্গত, তাহিরপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হাবিব সরোয়ার আজাদকে গত ১৩ এপ্রিল শুক্রবার রাতে বাদাঘাট বাজারের মেইন রোডে মানিকের ফ্ল্যাক্সিলোডের দোকান থেকে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুক মিয়া তার সহযোগী পৈলনপুর গ্রামের ফারুক মিয়া, হযরত আলী, ইকবাল হোসেন সহ ১০/১২ জন ধরে নিয়ে গিয়ে মাসুক মিয়ার বাড়িতে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়।

এ সময় স্থানীয় জনতা পুলিশকে বিষয়টি তাৎক্ষনিক অবহিত করলে পুলিশ অদৃশ্য ইশারায় তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে। পরে মাসুক মিয়া সুকৌশলে উত্তর বড়দল ইউনিয়নের কাশতাল চরগাও রহিছ মিয়ার বাড়ীর বাঁশঝারের পিছনের রাস্তার পার্শে নিয়ে গিয়ে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরদিন থানা থেকে ছাড়া পেয়ে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শুক্রবার ওসমানী হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করান পরিবারের সদস্যরা।

এর আগে সাংবাদিক আজাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর ও বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমান, এএসআই পিযুষ দাসকে মাসুক মিয়া সহ তার লোকজন ধরে নিয়ে গেছে বলে জানানো হলেও তারা বিষয়টি আমলে না নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট নাটক সাজিয়ে আজাদকে বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পে আটক করে রাখে।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর রাতে জানান, তাকে স্থানীয় লোকজন ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

তবে, বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন রাতেই জানিয়েছিলেন, স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী মাসুক জনসম্মুখে সাংবাদিক আজাদকে বাজার থেকে ধরে নিয়ে তার বাড়িতে যান। মাসুক মিয়ার সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা থাকায় আজাদকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে পুলিশে দেয়া হয়। সাংবাদিক আজাদ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নয় বলেও জানান ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব।

জানা যায়, হাবিব সরোয়ার আজাদ দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক যুগান্তর সহ স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং তার আশির্বাদপুষ্টদের সহ তাহিরপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে তাদের ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ ও তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে সংবাদ পরিবেশন করে আসছিলেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৬৯ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30