- জৈন্তাপুরে ছাত্রদলের সাথে হাকিম চৌধুরীর মতবিনিময়
- সোনালী প্রজন্ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
- সিলেট জেলা শ্রমিক দলের কর্মী সভা
- সিলেটে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে ধানের পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত
- জুলাই বিপ্লবে জন্ম নেওয়া ‘টিম অনওয়ার্ড’ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
- মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে সিলেট মহানগর জামায়াতের শোক
- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর গণসমাবেশ শায়খ জিয়া উদ্দীন
- আগামীকাল ২৪ নভেম্বর জনসভা ও গণমিছিল সফল করুন : বাসদ
- ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাথে প্রবাসী আজমের মতবিনিময়
- সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষনা হলে সংশয় দূর হবে
» মৌলভীবাজার পৌর আ.লীগের সেক্রেটারীর মিন্টুর বিরুদ্ধে ক্লিনিক দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশিত: ২৯. এপ্রিল. ২০১৮ | রবিবার
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল রোডস্থ গ্রীণ হেলথ্ প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে মৌলভীবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী এমদাদুল হক মিন্টুর বিরুদ্ধে।
রবিবার (২৯ এপ্রিল) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হোল্ডার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, মৌলভীবাজার শহরের শ্রীমঙ্গল রোডস্থ এমদাদুল হক মিন্টুর মালিকানাধীন ভবনস্থিত মৌলভীবাজারের সুনামধন্য গ্রীণ হেলথ্ প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যৌথ অংশীদারী ব্যবসা করার জন্য বিগত ০৪/০১/১৬ইং প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত নীতিমালা বা ব্যবসায়িক অংশীদারী চুক্তিপত্র সম্পাদন পূর্বক আমরা শেয়ার হোল্ডারগণ ব্যবসার অংশীদার হই এবং বিনিয়োগ করে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম।
কিন্তু, ভবন মালিক এমদাদুল হক মিন্টুর সাথে প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল তালুকদারের ভাড়াটিয়া চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায়, চুক্তি নবায়নকে কেন্দ্র করে বিগত ১০ জুলাই ২০১৭ইং সালে আমাদের প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়িক দ্বন্ধ সৃষ্টি হলে ভবন মালিক এমদাদুল হক মিন্টু প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে ১৭ জুলাই সন্ধায় ভবন মালিক এমদাদুল হক মিন্টুর বাসায় বেলাল তালুকদার ছাড়া আমরা কয়েকজন পরিচালক বৈঠকে বসি। উক্ত বৈঠকে গ্রীণ হেলথ্ প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়। এমদাদুল হক মিন্টু উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ক্রয় করার জন্য আমাকে সুপারিশ করেন। আমি এতে সম্মত হওয়ায় নতুন চুক্তির মাধ্যমে বিগত ১৭ জুলাই ২০১৭ইং সালে আমি উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি এবং ০১/১০/২০১৭ইং হতে ৩১/১২/১৮ইং পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা জামানতের ভিত্তিতে একটি চুক্তিনামা সম্পাদন করি। সেই চুক্তির ভিত্তিতে আমি নতুন করে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ২ জন শেয়ার হোল্ডারের টাকা ফেরৎ প্রদানসহ ১৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। পরে ভবন মালিক এমদাদুল হক মিন্টুর প্ররোচণায় আমি উক্ত প্রতিষ্ঠানের নতুন নামকরণ করি- যাহা গ্রীন লাইফ প্রাঃ হাসপাতাল নামে পরিচিত। এমতাবস্থায় এমদাদুল হক মিন্টু এবং তার সহযোগী মোঃ ফাহাদ এ আলম, হোসাইন আহমদ ও মোঃ মজনু মিয়া আমার জামানত ৫ লাখ টাকা ও মূলধন ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে পরস্পর একদলভুক্ত হয়ে আমাকে বিতাড়িত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ৩০/১১/১৭ইং সন্ধ্যা ৭টা দিকে আমি প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দেখি প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শেয়ার হোল্ডার হোসাইন আহমদ আমার অর্থাৎ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চেয়ারে বসে আছে। আমার চেয়ারে বসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে আমার সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। আমি প্রতিষ্ঠানের বাইরে গিয়ে অন্যান্য পরিচালকগণকে বিষয়টি অবহিত করি। তখন এমদাদুল হক মিন্টু এবং তার সহযোগী মোঃ ফাহাদ এ আলম, হোসাইন আহমদ ও মোঃ মজনু মিয়া আমার বিনিয়োগকৃত সাকুল্য অর্থ ফেরত নিয়ে আমাকে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে প্রস্তাব দেয়। আমি এতে সম্মত না হলে তারা নানা রকম হুমকি দিতে থাকে। এ নিয়ে বিরোধের একপর্যায়ে বিগত ০১/১২/২০১৭ইং শুক্রবার সন্ধা ৬টার দিকে এমদাদুল হক মিন্টু ফোন করে আমাকে তার বাসায় যেতে বলে। আমি তার বাসায় গিয়ে দেখি মোঃ ফাহাদ এ আলম ও হোসাইন আহমদসহ অপরিচিত আরো ১০/১২ জন লোক বসে আছে। মিন্টুর নির্দেশে মোঃ ফাহাদ এ আলম ও হোসাইন আহমদসহ অপরিচিত ওই ১০/১২ জন লোক আমাকে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাবার জন্য প্রাণনাশের হুমকীসহ ভয়ভীতি দেখায়, এতে আমি সম্মত না হওয়ায় মিন্টু আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ও অন্যান্যরা ধারালো ছুরি দিয়ে প্রাণে শেষ করার ভূমিকায় অবতীর্ন হয়ে ১শত টাকা মূল্যের ৩টি অলিখিত ষ্ট্যাম্পে জোরপূর্বক আমার স্বাক্ষর নেয় এবং দুইটি চেকের পিছনে জোরপূর্বক আমার স্বাক্ষর নেয়। এরপর এ বিষয় কাউকে জানালে কিংবা মামলা মোকদ্দমা করলে প্রাণে শেষ করে ফেলার হুমকি দিয়ে আমাকে সেখান থেকে বের করে দেয়। এমতাবস্থায় আমি প্রাণভয়ে সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হই। এভাবেই এমদাদুল হক মিন্টু এবং তার সহযোগী মোঃ ফাহাদ এ আলম, হোসাইন আহমদ ও মোঃ মজনু মিয়া আমার ব্যবস্থাপনা পরিচালনাধীন গ্রীন লাইফ প্রাঃ হাসপাতালটি জবরদখল করে নেয়। সেই থেকে তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীদের দৌড়াত্বে আমি আমার ব্যবস্থাপনা পরিচালনাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারছিনা। বিষয়টি আমি মৌলভীবাজার শহরের গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে জানাই এবং মৌলভীবাজার পৌরমেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ (ডকেট নং- ১৭/২৫১৯, তাং- ১০/১২/২০১৭) করি। কিন্তু, দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও পৌরমেয়রের কাছে কোন সুরাহা না পেয়ে গত ০৭/০৩/১৮ইং মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১নং আমল আদালতে মামলা (নং- ১৫৭/২০১৮ইং (সদর) দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসিকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। এছাড়া আমি স্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করি, মামলা নং- ১১৫/২০১৮।
পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি আমাকে স্বাক্ষী প্রমান সহ তার কার্যালয়ে উপস্থিত হবার জন্য জানালে, আমি আমার মানিত দুইজন স্বাক্ষীকে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে যাই। জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি একজনের স্বাক্ষ্য নেন এবং অন্যান্য স্বাক্ষ্যিদেরকে নিয়ে ১৫/০৪/২০১৮ইং তারিখে যাওয়ার জন্য বলেন। তার কথা মত ১৫/০৪/২০১৮ইং সকাল ১১ঘটিকায় স্বাক্ষ্য প্রদানের জন্য কার্যালয়ের বাইরে অপেক্ষমান থাকাবস্থায় এমদাদুল হক মিন্টু ও তার সহযোগীরাসহ একদল সন্ত্রাসী সেখানে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষীগণকে হুমকী-ধমকী দিয়ে আক্রমনাত্বক পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে আমার স্বাক্ষীগণ ছত্রভঙ্গ হয়ে প্রাণভয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার কার্যালয় ত্যাগ করে। ফলে, কোন স্বাক্ষীকে স্বাক্ষ্য প্রদান সম্ভব হয়নি।
এছাড়া এমদাদুল হক মিন্টু এভাবেই একের পর এক জবরদখল ও আত্বসাৎ করে আসছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, আমি নিজে ভূক্তভোগী হবার আগে একইভাবে গ্রীণ হেলথ্ প্রাইভেট হাসপাতালের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল তালুকদারের সাথে একই আচরণ করেন। এতে বেলাল তালুকদার বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রিট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ইহার মামলা নং- পি৩৬৪-২০১৭।
এছাড়া ইতিপূর্বেও এমদাদুল হক মিন্টু নিজে উপস্থিত থেকে শহরের সৈয়ারপুরস্থ নদীরচরে জনৈক প্রবাসী সংখ্যালঘুর ভোগদখলে থাকা ভূমি জবরদখল করিয়েছে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবু সাইদ চৌধুরী বলেন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল তালুকদারের সাথে জোর পূর্বক বিতাড়িত করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হলে আমি প্রতিষ্ঠানটি ক্রয় করতে সম্মত হই। কেননা এই প্রতিষ্ঠানে আগেও আমার একটা শেয়ার ছিল। সেগুলো পাওয়ার আশায় আমি আবার টাকা বিনিয়োগ করি।
অপর এক প্রশ্নে তিনি জানান, দ্বন্ধ নিরসনের উদ্দেশ্যে আমি মৌলভীবাজারের জেলা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র সহ গণ্যমান্য আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের শরনাপন্ন হই। কিন্তু সবাই সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
উল্লেখ্য যে, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর ভাই সৈয়দ নওশের আলী খোকনের শরনাপন্ন হলে তিনিও সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে সময় ক্ষেপন করেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৮৪ বার
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক