শিরোনামঃ-

» সিসিক-এ উপজেলা নির্বাচনের প্রতিশোধ নিচ্ছেন জুবায়ের

প্রকাশিত: ১০. জুলাই. ২০১৮ | মঙ্গলবার

নিজস্ব রিপোর্টারঃ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম প্রধান শরিক দল জামায়াতে ইসলামী কি প্রতিশোধের রাজনীতিতে মাঠে নেমেছে?

বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দক্ষিণ সুরমায় তৎকালীন চেয়ারম্যান জামায়াতের মাওলানা লোকমান আহমদ থাকা সত্ত্বেও ২০ দলীয় জোট থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি তাঁকে।

বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আলী আহমদও প্রার্থী হওয়ার কারণে নিশ্চিত জয় থেকে বঞ্চিত হন জামায়াতের লোকমান। সেই নির্বাচনে আলী আহমদ ৩য় স্থান লাভ করেন, লোকমান ছিলেন ২য় অবস্থানে।

একইভাবে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারেও জামায়াতের আব্দুল কুদ্দুস চেয়ারম্যান থাকা সত্ত্বেও বিএনপি সেখানে প্রার্থীতা ঘোষণা করে।

সেখানেও বিএনপির প্রার্থীও ৩য় স্থান অর্জন করে।

নগরীতে গুঞ্জন উঠেছে উপজেলা পরিষদে সেই পরাজয়ের প্রতিশোধে মাঠে নেমেছে জামায়াতে ইসলামী।

জানা যায়, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমান আহমদ ২য় মেয়াদে প্রার্থী হন। এর আগে তিনি এই পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।

এই নির্বাচনে বিএনপির সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদও প্রার্থী হন।

নির্বাচনে দুজনই ফেল করেন। এরপর থেকে জামায়াত তাদের প্রার্থী ফেল করার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে আসছে। জামায়াতের দাবি, বিএনপি তখন ছাড় দিলে তাদের প্রার্থীকে ফেল করতে হতো না।

এদিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই দুই দলের অনৈক্য এখন দৃশ্যমান।

অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে জামায়াত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে শুরু থেকে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম প্রধান শরিক দল জামায়াতে ইসলামী মেয়র পদে প্রার্থী দেয়ার দাবি তুলে।

কিন্তু যেখানে বর্তমান মেয়র রয়েছে সেখানে অন্য দলের প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন বিএনপি নেতারা। বসে থাকেনি জামায়াত। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়েরকে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে পুরোদমে এখন মাঠে। টেবিলঘড়ি প্রতীক নিয়ে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন মেয়রপদে।

বিএনপির মেয়র থাকা সত্ত্বেও জামায়াত নিজেদের প্রার্থীকে ২০ দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণারও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আরিফের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে বিএনপি ২০ দলীয় জোটের ব্যানারে সভা আহ্বান করলেও জামায়াত সেই সভায় আসেনি। উল্টো ২০ দলীয় জোটের ব্যানারে জামায়াত ‘মতবিনিময় সভা’ আহবান করে এবং সেখানে বিএনপি ছাড়া বাকি সবদলই অংশ নিয়ে জুবায়েরকে সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

এ বিষয়ে ২০ দলীয় জোট সিলেটের সদস্য সচিব জামায়াত নেতা হাফিজ আব্দুল হাই হারুন বলেন, সিলেট সিটি জামায়াতকে ছেড়ে দেয়ার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রার্থী হয়েছেন এবং থাকবেন।

২০ দলীয় জোট সিলেটের আহ্বায়ক ও সিলেট মহানগর সভাপতি নাসিম হোসেইন বলেন- স্থানীয় ও কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় করার চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো ফলাফল আসেনি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৯৮৫ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930