শিরোনামঃ-

» বালাগঞ্জ তাজপুর সড়কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে নেই গতি নিয়ন্ত্রক বাঁধ; বাড়ছে দূর্ঘটনা

প্রকাশিত: ১১. সেপ্টেম্বর. ২০১৮ | মঙ্গলবার

মোমিন মিয়াঃ তাজপুর থেকে বালাগঞ্জ বাজারের দুরত্ব ১৩ কিলোমিটার। এই সড়কে পাশে রয়েছে কিন্ডার গার্ডেন স্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে কোন স্পিড ব্যাকার (গতি নিয়ন্ত্রক বাঁধ) না থাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা। সেই সাথে গাড়ি চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চলাচল করায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের গভীর উৎকন্ঠা নিয়ে সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে হয়।
গত ৭ আগষ্ট তাজপুর বালাগঞ্জ রোডের বোয়ালজুর বাজারে বালাগঞ্জগামী সিএনজি অটোরিকশা নিয়ন্ত্রনণ হারিয়ে আফরোজ খান কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ৩ শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিলে ৩ জন মারাত্মক আহত হয়।
এ বিষয়ে আহত এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মতিউর রহমান জানান- বোয়ালজুর বাজারে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালজুর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, শাহ মকসুদ শাহ মনির উদ্দিন রহ. হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা, আফরোজ খান কিন্ডারগার্টেন স্কুল সহ এ বাজারে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও এখানে নেই কোন স্পিড বেকার (গতি নিয়ন্ত্রক বাঁধ)।
যার ফলে এরুপ দূর্ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাজপুরগামী সিএনজি অটোরিকশা বোয়ালজুর বাজারস্থ বোয়ালজুড় বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিলে মারাত্মক আহত হয়।
এ দূর্ঘটনার পর অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। তাজপুর বালাগঞ্জ রোডের সবচেয়ে যুকিপুর্ণ এই ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও পাঁচপাড়া মোহাম্মাদীয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষিন রাইগদারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লামাপাড়া শাহ গরীব এমদাদীয়া মাদ্রাসা, ময়নাবাজার আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়নাবাজার কে এ জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, আদিত্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামিয়া মোহাম্মাদিয়া আলীম মাদ্রাসা তিলকচাঁনপুর, পশ্চিম গৌরিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তার পাশে থাকায় যেকোন সময় বড় দূর্ঘটনা ঘটে যাবার আশংকা রয়েছে।
অভিভাবকরা বলছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে গতি নিয়ন্ত্রক বাঁধ থাকলে দূর্ঘটনা কিছুটা লাগব হবে।
এ বিষয়ে ইসলামীয়া মোহাম্মাদিয়া আলীম মাদ্রাসার পিন্সিপাল আব্দুল জব্বার বলেন- আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামনে বাধ দেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
কে এ জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাহানা আক্তার সুমি ও তিলকচাঁনপুর মাদ্রাসার ছাত্র সিরাজুল ইসলাম সিলেট বাংলা নিউজকে বলেন- আমরা আমাদের স্কুলে যাওয়া আসা করতে এবং রাস্তা পারাপার হতে খুব ভয় লাগে কারণ চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চলাচল ও প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটার কারণ ভয়ে ভয়ে স্কুলে আসতে হয় যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানে সামনে গতি নিয়ন্ত্রক বাধ হয় তাহলে হয়তো এ সমস্যা থেকে আমরা কিছুটা পরিত্রাণ পাব।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা একটাই দাবি সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গতি নিয়ন্ত্রক বাধ দিয়ে দূর্ঘটনা রোধে কাজ করেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১১৬৮ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930