শিরোনামঃ-

» জাতীয় যুব পুরস্কার পেলেন সিলেটের নজরুল ইসলাম

প্রকাশিত: ০৬. নভেম্বর. ২০১৮ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজ বিশেষ রিপোর্টারঃ গত ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ঢাকা থেকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত আত্মকর্মসংস্থান  কর্ম সৃজন ও বেকারত্ব দুরিকরনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন সিলেটের নজরুল ইসলাম।

মো. নজরুল ইসলামের পিতা মো. লাল মিয়া ও মাতা মোছাঃ হাবিবা খাতুন। ৬ ভাই-বোনের মধ্যে নজরুল ইসলাম ২য়।

আলাপকালে নজরুল ইসলাম তার সফলতার পেছনের গল্প  বলেন, জন্মমাত্রই প্রতিটি মানুষ সফল। কারন স্বয়ং স্রষ্টা মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পাঠিয়েছেন এই পৃথিবীতে।

সুতরাং সফলতার জন্যই মানুষের জন্ম। সাফল্য-কৃতিত্বের মূল উৎস হলো বিশ্বাস। আর বিশ্বাস হচ্ছে এক বিপুল শক্তি, এটা কোন ম্যাজিক বা অলৌকিক ব্যাপার নয়। সাফল্য প্রত্যাশীরা আশা করে একদিন সাফল্যের শীর্ষে পৌছবে আর যে কোন কাজকে ভালোবাসতে পারলে সফলতা আসবেই। যারা মনে প্রাণে সাফল্য কামনা করে এবং সেভাবে কাজ করে যায় তারা সাফল্যের চুড়ায় আরোহণ করবেই।

আমিও বিশ্বাস, চেষ্টা ও পরিশ্রম দিয়ে সামান্য পুজি হাতে নিয়ে সফলতার জন্য সংগ্রাম করে  আজ সফলতাকে স্পর্শ করতে পেরেছি।

আর্থিক  অসচ্ছলতা ও বাবার সাথে সংসারের কঠিন দারিদ্রতাকে দূর করতে গিয়ে খুব বেশি লেখাপড়া করতে পারিনি।অল্প বয়সেই  পিতার সাথে নামতে হয় অর্থনৈতিক যুদ্ধে । নিজের মধ্যে কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করত সব সময় চাকুরী নয় উদ্ভাবনী কিছু যেখান থেকে হবে দরিদ্র বিমোচণ,বেকারের জন্য কর্মসংস্থান।চাকরি নেই একটি খামারে তিন বছরের অভিজ্ঞতাকে পুজি করে মায়ের দেয়া ৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেমে পড়ি আত্মকর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে।

নিজেই প্রকল্পের নামকরণ করি ইনসাফ পোল্ট্রি ফার্ম  কিন্ত দক্ষতার অভাবে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি, তখন সন্ধান পাই যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের। সেখানেই পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। জেগে উঠি নতুন করে। বাড়তে থাকে আমার প্রতিদিনের আয়। আমার এই প্রকল্প বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শন করে  আমাকে  উৎসাহিত করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সিলেট এর কর্মকর্তাগন।

পরবর্তীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সিলেট থেকে ৫০ হাজার ও পরে ৭৫ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা পাই এবং পোল্ট্রীর পাশাপাশি শুরু করি কয়েকটি পুকুর লিজ নিয়ে  মাছ চাষ ও হাসের খামার শুরু করি।

আয় থেকে সংসারের খরচে অংশগ্রহণ ও ভাই বোনের লেখাপড়ার ব্যায় সানন্দে বহন করে ব্যবসার কাজে প্রায় ২৫ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি ৫ টন ওজনের ট্রাক গাড়ি ক্রয় করি এবং নিজেদের কাচা ঘর ভেংগে ৩ তলা ফাউন্ডেশন পাকা ঘর নির্মাণ করি যার নিচ তলায় থাকার ঘর  ও উপর তলায় ব্যবসায়ের অফিস ব্যবহার করি।

যার স্বীকৃতি স্বরুপ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সিলেট  আমাকে ২০১৩ সালে সিলেট বিভাগ থেকে সফল  আত্বকর্মির সম্মানে ভুষিত করে।

জেগেছে যুব গড়বে দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ
আমি বিশ্বাস করি যুবরা লড়ছেে সোনার বাংলা গড়ছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৭৪৭ বার

Share Button

Callender

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031