- সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষনা হলে সংশয় দূর হবে
- সিলেটে জমিয়তের গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে মহানগর জমিয়তের প্রচার মিছিল
- সাহায্য সংস্থা “হেল্প দ্য পুওর ফাউন্ডেশন ” এর কমিটি গঠন
- মুহিন খাঁন এর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- ইকরা ট্রাভেলস-সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
- ২৪ নভেম্বর রেজিষ্ট্রারি মাঠে জমিয়তের গণসমাবেশ সফল করুন মুফতি মুজিবুর রহমান
- বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী, সিলেট শাখার কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে র্যালি ও সভা
- ৩ শতাধিক মানুষের মাঝে খাবার ও শতাধিক মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করলো ক্লীন সিলেট
- আকবেটের ইউনিভার্সাল চিলড্রেনস্ ডে পালিত; শিশুদের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে কাজ করতে হবে
- হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে ‘হিজড়া যুব কল্যাণ সংস্থার’ উদ্যোগে স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
» সিলেটে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান শিক্ষায় জাস্ ইনস্টিটিউট
প্রকাশিত: ০২. জুন. ২০১৯ | রবিবার
ড. এম শহীদুল ইসলাম এডভোকেটঃ বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ। এদেশের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করছে। তাঁরা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে দারিদ্রের বিরুদ্ধে এবং অনেকই আবার দারিদ্রের ভেড়াজাল থেকে মুক্ত হতে দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ শিক্ষিত বেকার জীবন যাপন করছে যথাযথ বাস্তবমুখী শিক্ষা গ্রহণ না করার কারণে।
তাই বেকার জনগোষ্ঠী জাতীয় উন্নয়নের অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। দেশের শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ২ কোটির মতো, তাঁদের কোন কর্মের সংস্থান নেই। দুরন্ত গতিতে “চাকুরী” নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুঁটতে ছুঁটতে আজ তাঁরা অনেকেই ক্লান্ত ও হতাশায় নিমজ্জিত।
বাংলাদেশ বাস্তবতার প্রেক্ষিতে চাকুরী যেখানে সোনার হরিণের চেয়ে মূল্যবান; হোক তা সরকারী বা বেসরকারী সেখানে বিভিন্ন গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্র বা ঐ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের চাকুরীর সম্ভাবনা খুব উজ্জ্বল। দেশের প্রায় বেশীর ভাগ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসায় (আলিম, ফাজিল ও দাখিল রয়েছে, সেখানে বেশীর ভাগ লাইব্রেরীয়ান/সহকারী লাইব্রেরীয়ান, ক্যাটালগার/লাইব্রেরী সহকারী অনেক পদ খালি পড়ে আছে শুধুমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান কর্মীর অভাবে।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রন্থাগার ও তথ্যকর্মী অনায়াসে সে সুযোগ গ্রহণ করে বেকারত্বের অভিশাপ হতে মুক্ত হতে পারে।
উপরোক্ত বিষয় হলো উপলদ্ধি থেকে বিশেষ করে বাংলাদেশের বেকারত্বের কথা বিবেচনা করে, সিলেটে গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান শিক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ২০০০ সালে, মদন মোহন কলেজ ক্যাম্পাসে ইনষ্টিটিউট ফর লাইব্রেরী এন্ড এডুকেশন (আই এল আই ই) প্রতিষ্ঠা মাধ্যমে।
যাঁরা এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাঁরা হলেন- অধ্যক্ষ লে, কর্ণেল (অব:) আতাউর রহমান পীর, মদন মোহন কলেজের গ্রন্থাগারিক (অব:) কবি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু তাহের, এম শহীদুল ইসলাম শহীদ।
সিলেটে গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞানের শিক্ষা সূচনা করেন এই প্রতিষ্ঠানটি সার্টিফিকেট কোর্স এর মাধ্যমে। ১৯৫২ সালে বাংলাদেশে সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা হয় আর প্রায় ৪৮ বছর পর সিলেট এ কোর্স চালু করা হয়। এর মেয়াদ ছিল ৬ মাস মেয়াদী, সিলেট বিভাগের প্রায় কয়েক শত ছাত্র-ছাত্রী এ কোর্স করে বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করছেন।
এ প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সাল পর্যন্ত কোর্সটি চালু রাখে। পরবর্তীতে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স বাধ্যতামূলক করায় কোর্সটি বন্ধ হয়ে যায়।
২০০৫ সালে মোহাম্মদ আবু তাহের ও এম শহিদুল ইসলাম শুরু করেন পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স চালুর চিন্তা ভাবনা। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কলেজ অব এডুকেশন সায়েন্স এন্ড টেকনোলজী নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত পাওয়ার জন্য সকল ধরনের কার্যক্রম শুরু করেন।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগীতা করেন সিলেট বিভাগের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারিকগণ। দু’বার পরিদর্শন হলেও পরবর্তীতে অনুমোদন পায়নি। নানান হতাশায় বিলুপ্ত হয়ে যায় এ প্রতিষ্ঠানটি।
সিলেটে গ্রন্থাগার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় এম শহীদুল ইসলাম শহীদ হাল ছাড়লেও মোহাম্মদ আবু তাহের হাল ছাড়েননি। তিনি নতুন চিন্তা ভাবনা শুরু করেন। যুক্ত করেন আরো কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগীকে। তাঁরা হলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিসিবির পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মদন মোহন কলেজের সিনিয়র প্রভাষক আবুল কাসেম, শরীরচর্চা শিক্ষক বাবু যীশুতোষ দাস ও শিক্ষানুরাগী জাহাঙ্গীর আলমকে আবারও যুক্ত হয় এম শহীদুল ইসলাম শহীদ।
২০১৪ সালে সিলেটে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান শিক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ হয় প্রতিষ্ঠা হয় জাস্ ইনষ্টিটিউট সিলেট। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল চাহিদা পূরণ করে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এর সহযোগীতায় এই প্রতিষ্ঠানটি অধিভুক্তির প্রত্যাশায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফাইল জমা প্রদান করা হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের ভিসি ড. অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ ও তৎকালীন কলেজ পরিদর্শক ড. অধ্যাপক শামছুউদ্দিন ইলিয়াস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালার আলোকে ২০১৫ সালে জাস্ ইনষ্টিটিউট সিলেট বিভাগের একমাত্র গ্রন্থাগারিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি লাভ করে। সিলেট শহরের জেলরোডে আনন্দ টাওয়ারের ৮ম তলায় শুরু হয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
এ সময়ে আনন্দ টাওয়ারের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জলিল এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার সাথে অনেক সহযোগীতা করেন।
২০১৬-২০১৭ সেশনে ১৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে প্রথম ব্যাচ শুরু করেন। ২০১৭-১৮ সেশনে আসন বৃদ্ধি পেয়ে ৩০০ আসনে উন্নীত করা হয়। ২০১৭-১৮ সেশনে ৩০০ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। ২০১৮-১৯ সেশনে ভর্তি হয় ২৬৮ জন, বর্তমানে ২০১৯-২০ সেশনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ বছর ভর্তির যোগ্যতা হল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ও ইউজিসি স্বীকৃত যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩ বছর মেয়াদী স্নাতক পাস অথবা ৪ বছর মেয়াদী (সম্মান) পরীক্ষায় নূন্যতম ৪০% নম্বর অথবা সিজিপিএ ২.০০ পেতে হবে। জাস্ ইনস্টিটিউট সিলেট প্রতিষ্ঠার পর থেকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
বর্তমানে এডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. হাসান জাকিরুল ইসলাম।
জাস্ ইনস্টিটিউট বর্তমান সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্র দরগা গেইটস্থ মুসলিম সাহিত্য সংসদের বাণিজ্যিক ভবনের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
বাংলাদেশের গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান শিক্ষার ধারাবাহিকতায় দেখা যায় বর্তমানে নিম্নলিখিত কোর্সগুলোতে এ বিষয়ে অধ্যয়ন করে ছাত্র-ছাত্রী সনদ অর্জন করছে;
(১) সার্টিফিকেট কোর্স, (২) পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স, (৩) বিএ/বিএসএস সম্মান কোর্স, (৪) এমএ/এমএসএস, (৫) সান্ধ্যকালিন এম এ, (৬) এম ফিল ও (৭) পি এইড ডি।
সার্টিফিকেট কোর্সঃ গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান শিক্ষার সূচনা হয়েছিল সার্র্টিফিকেট কোর্স দিয়ে। ১৯৫২ সালে ৩ মাসের সার্টিফিকেট কোর্স দিয়ে এ শিক্ষার সূচনা হলেও ১৯৫৬ সালে ৬ মাসের সার্টিফিকেট কোর্স দিয়ে পরিপূর্ণভাবে তা শুরু হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নূন্যতম যোগ্যতা ছিল এইচ এস সি পাশ। এইচ এস সি পাশ হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী এ কোর্স করে সফল হয়েছেন।
পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স: ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান নামে একটি বিভাগ চালু করা হয়। লন্ডন স্কুর অব লাইব্রেরীর এর আদলে এতে পোষ্ট গ্রাজুয়েট কোর্স চালু হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৯-৯০ সেশনে বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি ১৯৯১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরবর্তীতে ১৯৯৭-৯৮ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত ইনষ্টিটিউট সমূহে এ কোর্স চালু করা হয়।
ইনস্টিটিউট সমূহ হলঃ (১) ইনস্টিটিউট অব লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট ইউসুফ হাই স্কুল ধানমন্ডি ঢাকা, (২) ইনস্টিটিউট অব লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স, নীলক্ষেত, শাহবাগ, ঢাকা, (৩) ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন, লাইব্রেরী এন্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজ, খুলনা, (৪) ইনস্টিটিউট অব লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন স্টাডিজ (ইলিস) রাজশাহী, (৫) ইনস্টিটিউট অব লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স, ময়মনসিংহ, (৬) গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, বরিশাল, (৭) বগুড়া লাইব্রেরী সায়েন্স কলেজ, বগুড়া, (৮) বাংলাদেশ সাউথ ওয়েস্ট মডেল ইনস্টিটিউট, যশোহ, (৯) পটুয়াখালি গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান কলেজ, পটুয়াখালী, (১০) হাজীগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ অব এডুকেশন হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর, (১১) ইনস্টিটিউট অব লাইব্রেরী আর্টস, কমার্স এন্ড সায়েন্স, (১২) জাস্ ইনস্টিটিউট, কেমুসাস বাণিজ্যিক ভবন, দরগা গেইট, সিলেট, (১৩) গাজীপুর লাইব্রেরী সায়েন্স এনড প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট, গাজীপুর, (১৪) সুন্দরবন কলেজ অব টেকনোলজি, সাতক্ষীরা, (১৫) গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, মাদারীপুর, (১৬) ড. এম মিজানুর রহমান প্রফেশনাল কলেজ, ঢাকা, (১৭) উপমা ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেনলোলজি, রংপুর, (১৮) প্রফেশনাল কলেজ, বগুড়া, (১৯) মর্ডান পলিটেকনিক এন্ড ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরী সায়েন্স ইনস্টিটিউট, জয়পুরহাট, (২০) কলেজ অব এডুকেশন, সাতক্ষীরা, (২১) পপুলার লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স কলেজ, বগুড়া, (২২) কোহিনুর বেগম লাইব্রেরী সায়েন্স কলেজ, বগুড়া, (২৩) রংপুর ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজী, রংপুর, (২৪) এস এম গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান কলেজ, দিনাজপুর, (২৫) নোয়াখালী মর্ডান ইনস্টিটিউট মাহদী কোর্ট, নোয়াখালী, (২৬) ঢাকা ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজী, ঢাকা। তাছাড়াও অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়েও এ কোর্স চালু আছে।
বিএ/বিএসএস সম্মানঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান এ কোর্স চালু করা হয়। ১৯৮৭-৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কোর্স চালু করে এবং তার সাথে সাথে চালু হয় গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগ। এ কোর্স প্রথমে ৩ বছর মেয়াদী হলেও পরবর্তীতে অর্থ্যাৎ ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ হতে ৪ বছর মেয়াদী করা হয়। ২০০১ সালে বিভাগের নাম পুণরায় পরিবর্তন করে তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ করা করা । ১৯৯২-৯৩ সালে বিএ সম্মান চালু করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে তা ৪ বছর মেয়াদী বিএসএস (সম্মান) কোর্স হিসেবে চালু আছে। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অনেক কলেজে ৪ বছর মেয়াদী এ কোর্স চালু আছে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে এর মধ্যে খাজা ইউনুস বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয় চালু আছে।
এমএ/এমএসএসঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৬২ সালে এ কোর্স চালু করা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে স্নাতক (বিএ পাস) ডিগ্রীধারীদের জন্য ২ বছর মেয়াদী মাষ্টার্স কোর্স চালু হয়। ১৯৯৪-৯৫ সালে এ বিভাগে স্নাতক সম্মান কোর্স চালু হলে ২ বছর মেয়াদী এ কোর্সটি বন্ধ হয়ে যায়। আবার দিকে ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক সম্মান ডিগ্রীধারীদের জন্য ১ বছর মেয়াদী মাষ্টার্স কোর্স চালু করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৯৫-৯৬ সালে ১ বছর মেয়াদী মাষ্টার্স কোর্স চালু করা হয়। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে লালমাটিয়া মহিলা কলেজে ২ বছর মেয়াদী মাষ্টার্স কোর্স চালু আছে।
সান্ধ্যকালীন এম এ কোর্সঃ ২০০৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে ১ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারীদের জন্য ২ বছর মেয়াদী সন্ধ্যাকালীন মাষ্টার্স কোর্স চালু করেন পরবর্তীতে ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধতা না রেখে স্নাতক ডিগ্রীধারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ২০১৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ বছর মেয়াদী মাষ্টার্স কোর্স চালু করা হয়।
এম ফিলঃ ১৯৭৪-৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম ফিল প্রোগ্রাম অনুমোদন লাভ করে ১৯৭৬-৭৭ সালে বাস্তবায়ন করে আজ তা চালু আছে।
পি এইচ ডিঃ ১৯৭৮-৭৯ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিষয় পি এইচ ডি প্রোগ্রাম অনুমোদন পায় এবং ১৯৭৯ সালে তা বাস্তবায়নের পর আজ এ প্রোগ্রামটি চালু আছে।
লেখক: আইনজীবী, আইনের অধ্যাপক ও উপাধ্যক্ষ, মেট্রোপলিটন ল’ কলেজ, সিলেট।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৩৫৫ বার
সর্বশেষ খবর
- সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষনা হলে সংশয় দূর হবে
- সিলেটে জমিয়তের গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে মহানগর জমিয়তের প্রচার মিছিল
- সাহায্য সংস্থা “হেল্প দ্য পুওর ফাউন্ডেশন ” এর কমিটি গঠন
- মুহিন খাঁন এর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- ইকরা ট্রাভেলস-সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক
এই বিভাগের আরো খবর
- দুর্নীতিবাজ শিক্ষক প্রত্যাহারের দাবীতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বিয়ানীবাজারের খলাগ্রামবাসীর স্মারকলিপি
- লায়ন্স ক্লাব অব সিলেট সুরমা’র ডেন্টাল ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- ‘মার্সেল হা-শো’র সিলেট অডিশন ৫ অক্টোবর
- কানাইঘাট অ্যাসোসিয়েশন ইউকে’র এসজিএম ও পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন
- এলজিইডি কন্ট্রাকটর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন