- জৈন্তাপুরে ছাত্রদলের সাথে হাকিম চৌধুরীর মতবিনিময়
- সোনালী প্রজন্ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
- সিলেট জেলা শ্রমিক দলের কর্মী সভা
- সিলেটে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে ধানের পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত
- জুলাই বিপ্লবে জন্ম নেওয়া ‘টিম অনওয়ার্ড’ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
- মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে সিলেট মহানগর জামায়াতের শোক
- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর গণসমাবেশ শায়খ জিয়া উদ্দীন
- আগামীকাল ২৪ নভেম্বর জনসভা ও গণমিছিল সফল করুন : বাসদ
- ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাথে প্রবাসী আজমের মতবিনিময়
- সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষনা হলে সংশয় দূর হবে
» আয়কর রিটার্ণ পদ্ধতি আরো সহজীকরণ করা দরকার : মেয়র আরিফ
প্রকাশিত: ৩১. জুলাই. ২০১৯ | বুধবার
নিজস্ব রিপোর্টারঃ
আয়কর ব্যক্তি ও পরিবারকে সুরক্ষা দিতে পারে বলে মন্তব্য করে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আয়কর সনদ সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আয়কর দেওয়ার অর্থ এই নয় যে, আপনার উপর আয়করের বুঝা বেড়ে যাবে। আয়কর দিয়ে নিজে নিশ্চিত হন, দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যান।
তিনি বলেন- সহজে কর আদায় করতে হলে মানুষের মধ্যে থেকে ভীতি কাটাতে হবে। আয়কর বিষয়ে এখনো মানুষের মধ্যে পুরোনো সেই ভীতির ভ্রান্ত ধারণা বিরাজমান রয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) সিলেট সিটি করপোরেশনের ৭,৮,৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডে আয়কর জরিপ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন- সিলেটে শতকরা ৭০ ভাগ বাড়িঘর প্রবাসের টাকায় নির্মিত। তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠায়। প্রবাসীদের রেমিটেন্সের টাকা দেশের ব্যবসা বানিজ্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই প্রবাসীদের আইনগতভাবে কিভাবে সহায়তা করা যায়, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, অনেকে পরিবার নিয়ে অভিজাত রেস্টুরেন্টে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করেন। অথচ সিসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স ও ২০০ টাকা পানির বিল কমাতেও দৌড়ঝাপ শুরু করেন। আসলে ট্যাক্স না দেওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। বুঝতে হবে ট্যাক্সের টাকা রাষ্ট্রের উন্নয়নে জনগণের জন্যই সরকার ব্যয় করে থাকে।
নিজেকে সরকারের একজন ট্যাক্স কালেক্টর দাবি করে মেয়র বলেন- এখনো সিসিকের ৬০ ভাগ ট্যাক্স পাওনা রয়েছে। অনেকে ১৬ বছর ধরেও ট্যাক্স দেন না। এটা সহজীকরণ প্রক্রিয়ায় আদায় করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অন্য অঞ্চলের তুলনায় সিলেটের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখানে লোকজনকে বুঝিয়ে বললে সহজে করনেটে বাড়াতে পারবেন। তেমনী এখন পুরুষ থেকে নারীরা অধিক সচেতন। তাই কর আদায়ে ডোর টু ডোর গিয়ে নারীদের উদ্যোগী করতে হবে। নারীদের বুঝাতে পারলে তারাই পরিবার প্রধানকে বুঝাতে সক্ষম হবেন।
আয়কর আইনজীবিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- আয়কর সম্পর্কে সরকারের যে প্রক্রিয়া রয়েছে, বুঝিয়ে বললে হয়তো মানুষ এতো ভয় পেতো না। যে কারণে কর প্রদানে মানুষের অনীহা (কনফিউজ) থাকে। সাধারণ মানুষ যেন সহজভাবে বুঝতে পারে, আইনজীবিদের কাছ থেকে এ ধরণের সহজ পদ্ধতি প্রণয়ন দরকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিলেট কর অঞ্চলের কর কমিশনার রনজীত কুমার সাহা বলেন- জরিপ কার্যক্রম চলাচালে কেউ তথ্য দিয়ে সহায়তা না করলে আমরা ধরে নেবো এই লোকের কোনো ট্যাক্স ফাইল নাই। তাই জরিপ চলাকালে সবাইকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া কেউ বাসা-বাড়িতে অনুপস্থিত থাকলে প্রয়োজনে আয়কর জরিপের লোকজন আবার যাবে। এক্ষেত্রে সহায়তা না পেলে কাউন্সিলরদের দ্বারস্থ হবো।
তিনি বলেন- সম্প্রতি যেমন অপ্রদর্শিত স্বর্ণ বৈধ করতে সরকার সুযোগ দিয়েছে। তেমনী অর্থ আইন পরিবর্তনের ফলে রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে অনেক বাধা দূর করে দিয়েছে। কেউ যদি রেমিটেন্সের টাকা আগে প্রদর্শন করে না থাকেন, এখন করে ফেলতে পারবেন।এতে বিনাবাক্যে সেটা গ্রহণ করা হবে। কেবল একটিমাত্র প্রমাণ দিতে হবে, এটা রেমিটেন্সের টাকা। এই একটি মাত্র প্রমাণের উদ্দেশ্য হলো কালো টাকার মালিকরা যাতে এটা রেমিটেন্সের টাকা বলে চালিয়ে দিতে না পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সিসিকের ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান, ৮নং ওয়াডে কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, ১০নং ওয়ার্ডে কাউন্সিল তারেক উদ্দিন তাজ ও সিলেট কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবুল ফজল।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- সিলেট কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, প্রবীণ সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবীর, অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মুহিত চৌধুরী ও করদাতা স্বপন বর্মন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সিলেটে রাজস্ব ভবনের দাবি তোলেন কর আইনজীবীরা।
সহকারি কর কমিশনার মো. নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বগত বক্তব্য দেন- সিলেট কর অঞ্চলের যুগ্ম-কর কমিশনার পঙ্কজ লাল সরকার।
উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম-কর কমিশনার সাহেদ আহমদ চৌধুরী ও উপ-কর কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) কাজল সিংহ।
সিলেট কর অঞ্চল সূত্র জানায়, জরিপে ২০১৭-১৮ সালে ৩৮ হাজার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৫ হাজার ২৭৮ জন করদাতা সনাক্ত করা হয়। আর ২০১৮-১৯ সালে ২৭ হাজার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৭ হাজার ৯২০ জন করদাতা সনাক্ত করা হয়। ২০১৯-২০ সালে করদাতা বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ২৮ হাজার থাকলেও তা ৫০ হাজারে উন্নীত করা হবে জানান সিলেট কর অঞ্চলের কর কমিশনার রনজীত কুমার সাহা।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৬৬৮ বার
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক
এই বিভাগের আরো খবর
- দুর্নীতিবাজ শিক্ষক প্রত্যাহারের দাবীতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বিয়ানীবাজারের খলাগ্রামবাসীর স্মারকলিপি
- লায়ন্স ক্লাব অব সিলেট সুরমা’র ডেন্টাল ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- ‘মার্সেল হা-শো’র সিলেট অডিশন ৫ অক্টোবর
- কানাইঘাট অ্যাসোসিয়েশন ইউকে’র এসজিএম ও পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন
- এলজিইডি কন্ট্রাকটর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন