শিরোনামঃ-

» বাদ পড়াদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলা হবে : আসামের অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২. সেপ্টেম্বর. ২০১৯ | সোমবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) থেকে বাদ পড়াদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

আসামের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলব এবং তাদের লোকদের ফিরিয়ে নিতে বলব। কিন্তু যত দিন ফিরিয়ে না নেওয়া হচ্ছে, তত দিন আমরা তাদের ভোটাধিকার দেব না, তবে বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার ভারতের বন্ধু। তারা আমাদের সহযোগিতা করছে।

এনআরসি তালিকায় নাম না থাকা লোকেদের ফেরত পাঠাতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলেও জানান ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এই নেতা। তিনি বলেন, ‘এনআরসি তালিকায় নাম নেই মানে এটা নয় যে তাদের বিদেশি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। তাদের ব্যাপারে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। কিন্তু তত দিন পর্যন্ত ভারতের কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রমে তাদের অংশ নিতে দেওয়া হবে না।’

গতকাল শনিবার চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশ করে আসাম। ওই তালিকায় চূড়ান্তভাবে ঠাঁই হয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখ লোকের। আর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ ৬ হাজার মানুষ। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগের দিন শুক্রবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল রাজ্যবাসীকে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়ে বলেন, কেউ যেন আতঙ্কগ্রস্ত না হন। যাঁদের নাম তালিকায় থাকবে না, তাঁদের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে (এফটি) আবেদন জানাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নাগরিকত্ব প্রমাণে সরকার তাঁদের সব রকমের সহায়তা দেবে।

আসাম রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, এনআরসিতে নাম না ওঠা ব্যক্তিরা এফটিতে আবেদনের জন্য ১২০ দিন সময় পাবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রাইব্যুনালে ব্যর্থ হওয়ার অর্থও বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত হওয়া নয়। ব্যর্থ নাগরিকেরা প্রথমে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন, তারপর সুপ্রিম কোর্টের। আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হলে কাউকেই ডিটেনশন ক্যাম্পে (ডি-ক্যাম্প) পাঠানো হবে না।

১৯৮৫ সালের আসাম চুক্তিতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির কথা বলা ছিল। ভিত্তি বর্ষ ধরা হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ। কিন্তু দীর্ঘ টালবাহানায় নাগরিক পঞ্জি তৈরি করা হয়ে ওঠেনি। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এনআরসি তৈরির কাজ হাতে নেওয়া হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪১৮ বার

Share Button

Callender

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031