শিরোনামঃ-

» গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের রজত জয়ন্তী ও পূণর্মিলনী উদযাপন

প্রকাশিত: ২৪. ফেব্রুয়ারি. ২০২০ | সোমবার

একজন ব্যর্থ মানুষের অনুভূতি বা মূল্যায়ন

মো. আব্দুল মালিকঃ

গত ২৫ জানুয়ারি শনিবার গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজেরে ২৫ বছর পূর্তিতে রজতজয়ন্তী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূণর্মিলনী অত্যন্ত ঝাঁকঝমকপূর্ণ, সুন্দর ও সাবলিলভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। বাংলা বিভাগের প্রধান সহযোগি অধ্যাপক বন্ধুবর শামীম আহমদ এর বিশেষ আমন্ত্রণে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান উপভোগের আমার দূর্লভ সুযোগ হয়েছিল বিধায় অনুভূতি প্রকাশ না করে পারছিনা। তাই এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

তুলনামূলকভাবে পশ্চাৎপদ উত্তর-পূর্ব সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রথম কলেজ গোয়াইনঘাট কলেজ যা বর্তমানে গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজ। কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে। তখন ঐ এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন জনাব ইমরান আহমদ। রজতজয়ন্তী ও পূণর্মিলনী উদযাপনের সময়ও তিনি ঐ এলাকার সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও কর্ম-সংস্থান মন্ত্রী।

গোয়াইনঘাট কলেজের কয়েকজন অধ্যাপক বন্ধু ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে কলেজ সম্পর্কে আমার জানার সুযোগ থেকে দেখার আগ্রহ ছিল বহুদিনের। কিন্তু সময় এবং সুযোগ হচ্ছিল না। তাই যখন শুনলাম কলেজটির রজত জয়ন্তী ও পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান হবে তখন আশায় বুক বাঁধলাম- এবার হয়ত কলেজটি দেখার সুযোগ হবে। কিন্তু কারো কাছ থেকে নিমন্ত্রণমূলক কোন সাড়া না পেয়ে অনেকটা হতাশ ছিলাম। এমন সময় আমার সিনিয়র সহকর্মী অত্যন্ত কাছের মানুষ ইংরেজির স্বনামধন্য শিক্ষক বাবু সুজিত ভট্টাচার্যের নিকট থেকে একটি নিমন্ত্রণ আসল। নিমন্ত্রণ তাঁর জৈষ্ঠ্য সন্তান আমার অত্যন্ত সুমন ছাত্র সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা ‘পিনাক পানি ভট্টাচার্য’ এর বউভাতের।

অনুষ্ঠান হবে ২৫ জানুয়ারি দুপুরে সিলেট শহরের অভিজাত হোটেল ‘নির্বানা ইনে’। তখন আবার মনে মনে ভাবতে থাকি এবার যদি গোয়াইনঘাট কলেজের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ না পাই তাহলে বাঁচি। কিন্তু না, ২২ জানুয়ারি সকাল ১০ টার পর নিমন্ত্রণ পত্রসহ বন্ধুবর সহযোগি অধ্যাপক শামীম আহমদ আমার কর্মস্থলের পাশে এসে ফোন দিলে আমি সাক্ষাৎ করি। দুজন চা-পানে বসলাম। শামীম ভাই নিমন্ত্রণ পত্র দিলেন আর বললেন, গতকাল নিমন্ত্রণপত্র ছাপা হয়ে এসেছে আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ শুরু হবে। যেহেতু আমি আজ কলেজে যাব না, তাই গতকাল উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক, কলেজ অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক স্যারকে বলে ২টি নিমন্ত্রণপত্র নিয়ে এসেছি। একটি আপনার জন্য, অন্যটি আরেকজনের জন্য।

যেহেতু এটি একটি বিশেষ অনুষ্ঠান এবং অনেক বিশিষ্ট অতিথি উপস্থিত থাকবেন তাই আমরা খুবই স্বল্প সংখ্যক অতিথিকে নিমন্ত্রণ দিচ্ছি। আপনি গেলে খুশি হবো ইত্যাদি। এমতাবস্থায় সিদ্ধান্ত নিলাম কলেজের অনুষ্ঠানে যাবো। ২৫ তারিখ সিলেট শহরে দুপুরে ১টি ও বিকালে আরেকটি সভা রেখে গোয়াইনঘাটের উদ্দেশ্যে সকাল ৯ টার পূর্বে বটেশ্বর থেকে বাসে চড়লাম। সারিঘাটে নেমে ফোর ট্রোকে গোয়াইনঘাট এবং সেখান থেকে রিকসা করে কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হলাম। কলেজ গেটে নিমন্ত্রণপত্র প্রদর্শন করে ভিতরে ঢুকলাম-দেখলাম অতিথিবৃন্দ কলেজ অফিস থেকে বের হয়ে কলেজ গেটের দিকে আসছেন আমিও তাঁদের অনুগামী হলাম। প্রধান অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি মহোদয় ফিতা কেটে নব নির্মিত সুরম্য গেইটের শুভ উদ্বোধন করলেন। পরে তিনি নব নির্মিত শহীদ মিনারের উদ্বোধন ও পতাকা উত্তোলন করে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।

এ সময় বন্ধুবর অধ্যাপক শামীম আহমদ, অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বাবর ভাইদের সাথে দেখা হয় এবং আমার উপস্থিতিতে উনারা খুবই উৎফুল্ল হন। শরিফুল ইসলাম ভাইয়ের দায়িত্ব ছিল অতিথিদের পরিচয় পত্র প্রদানের, তিনি আমার গলায় একটি পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে দিলেন।

বিশাল দৃষ্টি নন্দন মঞ্চ ও প্যান্ডেলে অতিথিসহ অন্যান্যরা যার যার নির্ধারিত আসনে বসলেন। শুরু হলো বাংলা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপিকা দিলরুবা বেগমের সু-ললিত কণ্ঠের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা।

উক্ত অনুষ্ঠানে দুইজন পূর্ণমন্ত্রী, তি নজন সংসদ সদস্য, একজন সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রো-ভিসি, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, সিলেট বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তা সহ অন্যান্য উর্ধ্বতন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় তিনজন (বর্তমান) উপজেলা চেয়ারম্যান, কয়েকজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের প্রধান, উক্ত সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের প্রধান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

একই মঞ্চে এত গুণির উপস্থিতি খুব কমই হয়ে থাকে। সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খুবই সুশৃঙ্খল ও প্রাণবন্ত ছিল। এ উপলক্ষে খুবই তথ্য বহুল সুপাঠ্য একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। পূণর্মিলনীর জন্য যেসব প্রাক্তন শিক্ষার্থী নাম রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন তাদেরকে বিভিন্ন স্মারক বস্তু উপহার দেয়া হয়।

এই অনুষ্ঠানের যেসব দিক আমাকে আকৃষ্ট করেছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-আত্মত্যাগ, শৃঙ্খলা ও দলমত নির্বিশেষে সকলের অবদানকে সম্মান করা। যেমন এই রজতজয়ন্তী ও পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক বর্তমান অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুল হক। পদাধিকার বলে তার সভাপতিত্ব করার কথা। একই ভাবে প্রতিষ্ঠাকালীন গভর্নিং বডির সভাপতি এবং যিনি বর্তমানেও সভাপতি, এলাকার সংসদ সদস্য ও মাননীয় মন্ত্রী তাঁরই প্রধান অতিথি হওয়ার কথা। কিন্তু দুজনই তাঁদের আসন স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেন। সভাপতিত্ব করেন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ, প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি মহোদয়। একইভাবে স্মারক গ্রন্থে কলেজের প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমান পর্যন্ত দলমত নির্বিশেষে সকলের অবদানকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং অনুষ্ঠানে ও দলমত নির্বিশেষে প্রতিষ্ঠা থেকে যারা জড়িত ছিলেন তাদেরকে উপস্থিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে।

যা আজকাল সচরাচর চোখে পড়ে না। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে প্রবেশাধিকার কড়াকড়িভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কারণ এ পর্বে আসন ও আপ্যায়নের সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু দ্বিতীয় পর্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবেশাধিকার সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যাতে সকলেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন। এখানে কোন কার্পণ্য করা হয়নি। যা সাধারণত করা হয় না। এই কলেজের উক্ত অনুষ্ঠান থেকে অন্যদের অনেক কিছু শিখার আছে বলে আমি মনে করি। এলাকার জনপ্রতিনিধি জনবান্ধব ও এলাকার উন্নয়নে আন্তরিক হলে কিভাবে কতটুকু উন্নয়ন করা যায় তা অবলোকন করার জন্য যে কেউ সিলেটে ইমরান আহমদ এমপি, মৌলভীবাজারে শাহাব উদ্দিন আহমদ এমপি ও সুনামগঞ্জে এম এ মান্নান এমপি মহোদয়ের এলাকা ঘোরে দেখতে পারেন। উনাদের নির্বাচনী এলাকার শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল কোথায় ? পৌঁছেছে কোথায় ? শিক্ষা ও যোগাযোগের উন্নয়ন হলে অন্যান্য উন্নয়ন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হতে বাধ্য।

গোয়াইনঘাট কলেজ প্রতিষ্ঠার মাত্র ২৫ বছরের মধ্যেই ৪টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করেছে, ৫টি সুরম্য অট্টালিকা ক্যাম্পাসের পশ্চিম-উত্তর ও পূর্ব দিকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে অবস্থিত সুবিশাল কলেজ ক্যাম্পাস যে কারো হৃদয়কে আকর্ষণ না করে পারে না। শিক্ষা ও সম্পদে উন্নত সিলেট বিভাগের অনেক উপজেলা, জেলায় অবস্থিত অনেক স্কুল-কলেজের ৫০/১০০ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু এ ধরনের অনুষ্ঠান করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিক দিয়ে গোয়াইনঘাট কলেজ পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছে বলে আমি মনে করি। আজকাল অনেক প্রতিষ্ঠান ৫০/৭৫/১০০ বছর পূর্তি পালন করতে গিয়ে নানা তথ্য বিভ্রাটে পড়ছে। কারণ প্রতিষ্ঠানটির প্রথম দিকের সঠিক তথ্য উপাত্ত দিতে পারছে না। এদিক থেকে ব্যতিক্রম হয়ে থাকল গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজ। কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত সকল তথ্যই সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। কারণ কলেজ প্রতিষ্টার সাথে জড়িত প্রায় সকলেই এখনো জীবিত আছেন।

নিবন্ধনটির শিরোনামে আছে একজন ব্যর্থ মানুষের অনুভূতি বা মূল্যয়ন। পাঠকের মনে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। সেজন্য এর কারণ ব্যাখ্যা করছি। এই নিবন্ধকার ও কোন না কোন স্কুল-কলেজের ছাত্র ছিলেন। তার অধীত স্কুলেরর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের জন্য ২০০৬ সালে স্মারকগ্রন্থ ছাপানোর পরও উদযাপিত হয় নি। কলেজের ৫০ বছর পূর্তি পেরিয়েছে ২ বছর পূর্বে।

সামর্থ অনুযায়ি চেষ্টা করেও উদ্যোগ নিতে পারেন নি। তার গ্রামে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধিত একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান আছে। ঐ প্রতিষ্ঠানটির ৫০ বছর পূর্তি ৩ বছর আগে পেরিয়ে গেছে। ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও উদযাপন করা সম্ভব হয় নি। তাই নিজেকে একজন বর্থ্য-মানুষ মনে করেন। যদিও বন্ধু বান্ধব এবং পরিচিতজনদের ধারণা অন্য রকম। আসলে কবির ভাষায় বলতে হয় ‘সুজনে সুরব করে, কুরব ঢাকিয়া,’ বন্ধু-বান্ধবরা সুজন বিধায় সুরবই করেন। যার প্রমাণ গোয়াইনঘাট কলেজের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে পেয়েছি। পরিচিতজনেরা যখন অপরিচিতজনদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন তখন অনেকেই বলেছেন ‘ও আপনার নাম অনেকবার শুনেছি, আপনার সম্পর্কে জানি, ইত্যাদি। এমন প্রমাণ অন্যত্রও বহুবার পেয়েছি।

সে যাই হইক আমার দৃষ্টিতে টুকিটাকি যে ঘাটতি রয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে তা সম্পর্কে কিঞ্চিত আলোচনা করছি। সমালোচনার জন্য নয়, ভবিষ্যতে যদি অন্যদের কাজে লাগে সেজন্য।

১। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন একজন মাত্র অধ্যাপিকা। আরো একজন অধ্যাপক সাথে থাকলে বৈচিত্র আসত, প্রাণবন্ত হতো। কোন কারণে এক জনের সমস্যা হয়ে গেলে অন্যজন চালিয়ে যেতে পারবেন এতে ঝুঁকি কমে।
২। অনুষ্ঠান সূচিতে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা ও উত্তরিয় পরিয়ে দেয়ার কর্মসূচি ছিলো না। হয়ত পরে এটি সংযোজিত হয়েছে। কিন্তু কে কাকে ফুল দিয়ে বরণ করবেন, উত্তরিয় পরিয়ে দিবেন তা সুনির্দিষ্টি ছিল না বিধায় এ পর্বে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে।
৩। স্মারক গ্রন্থটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয় নি। মোড়ক উন্মোচনের নামে এক মিনিটের একটি ফটো সেশন করা হলে অনাদিকাল এই স্মৃতি থেকে যেতো।
৪। স্মারকগ্রন্থে শোক প্রস্তাব ছিলো। অনুষ্ঠানে এক মিনিট সময় নিয়ে শোক প্রস্তাবটি পাঠ করা হলে ব্যাপক প্রচার হতো।
৫। স্মারকগ্রন্থে সিলেট বা গোয়াইনঘাটকে প্রতিনিধিত্ব করে এমন কোনো কিছু স্থান পায়নি। যেমন হযরত শাহজালাল, শাহপরানের মাজার, ক্বীনব্রিজ, চা বাগান, জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, সাদা পাথর ইত্যাদি। এসব থাকলে গ্রন্থটি দূত হিসেবে কাজ করতো।
৬। অতিথিদের সাথে কোন এক ফাঁকে কলেজের সকল শিক্ষক কর্মচারিদের একটি ফটো সেশন করা হলে স্মৃতিময় হয়ে থাকতো।
৭। কলেজকে দৃষ্টিনন্দন ও সবুজাভ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে খুবই সুন্দর বিদেশি প্রজাতির এক সারি বৃক্ষ লাগানো হয়েছে। যা কলেজের সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তবে এসব গাছে ফুল ফল হয় না। আমার কাছে এই প্রজাতির গাছের তুলনায় দেশিয় প্রজাতি এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে সর্ম্পকিত গাছই পছন্দের। কারণ শিক্ষাঙ্গন যদি ইতিহাস-ঐতিহ্য, পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষনে অগ্রণী ভূমিকা পালন না করে তবে কে করবে ? আমার পছন্দ ছাতিম, কদম, হিজল, জারুল, বকুল, বট ইত্যাদি। এসব গাছে ফুল ফল হয় যা মানুষকে বিমোহিত করে, পাখি, কীটপতঙ্গের অভয়াশ্রম, কবি সাহিত্যিকদের সাহিত্য চর্চার উপাদান ইত্যাদি সরবরাহ করবে।
৮। মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধনের ১৫দিন পর অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হয়েছে। তথাপি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সম্পর্কে তেমন কিছু পরিলক্ষিত হয় নি। অবশ্য স্মারকগ্রন্থে বাইরের দুজন অধ্যাপকের দুটি রচনায় কিছুটা আলোকপাত করা হয়েছে।
পরিশেষেঃ যাদের শ্রম, ঘাম, অর্থায়ন ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সর্বাঙ্গ সুন্দর ও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং আমাদেরকে উপভোগের সুযোগ করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

শিক্ষক ও কলামিস্ট

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৭০৫ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930