শিরোনামঃ-

» আমেরিকার করোনা পরিস্থিতি; চিকিৎসাধীন ৫ লাখ ৭০ হাজারের উপরে

প্রকাশিত: ১৬. এপ্রিল. ২০২০ | বৃহস্পতিবার

আবারো রাজ্যে রাজ্যে মৃত্যুর মিছিল, চলছে গণকবর, আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক!

নিউইয়র্ক থেকে এমদাদ চৌধুরী দীপুঃ

আমেরিকায় একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজারের উপরে। এটি এ যাবত রেকর্ডসংখ্যক সুস্থ হওয়ার খবর। তবে আবারো আমেরিকার রাজ্যে রাজ্যে মৃত্যুর মিছিল। ৬ লাখ অতিক্রম করে আমেরিকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ স্পর্শ করতে যাচ্ছে।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) আক্রান্ত ৬ লাখ ৪৪ হাজারের উপরে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৮ হাজার ৫২৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ২ হাজার ৪৭৯ জনের। এ পর্যন্ত আরোগ্য ৪৮ হাজারের উপরে। সুস্থ হওয়া এবং মৃত্যু বাদ দিলে আমেরিকার ৫০ রাজ্যে বাসা-বাড়িসহ শত শত হাসপাতালে ৫ লাখ ৭০ হাজার রোগী আর স্বজনের আহাজারী। বুুধবার একদিনে এখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজারের উপরে।

চিকিৎসকরা মনে করেন এই রোগ একটা অংশকে আক্রান্ত করবে, আরেকটি অংশকে মানসিক করোনা রোগীতে পরিণত করবে।

আমেরিকায় আবারো বেড়েছে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে নিউইয়র্কে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের উপরে, মারা গেছেন ৭৫২ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৮ জন।

এ পর্যন্ত মৃত্যু ১১ হাজার ৫৮৬ জন। এই সপ্তাহ এবং আগামী সপ্তাহে মৃত্যু বেশী হলেও আক্রান্তের হার কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। লকডাউন উঠে যাবে অথবা উঠে যেতে পারে এমন গুঞ্জনে পাল্টে গেছে নিউইয়র্ক রাস্তার দৃশ্যপট।

প্রচুর গাড়ি রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে, রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। এদিকে নিউইয়র্ক এর গভর্নর কুমো এক সংবাদ সম্মেলন করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে জেল, জরিমানার হুমকী দিয়েছেন এবং কঠোরভাবে বলেছেন এসব মেনে চলতে হবে। করোনার প্রতিষেধক এর জন্য ১৮ মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে এমন তথ্য দিয়ে কুমো স্ব স্ব অবস্থানে সাবধানতা এবং সতর্কতার সাথে চলাচলের অনুরোধ জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর করোনা মহামারীতে নাগরিকদের জীবন যাপনের নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আমেরিকার ৪৬টি রাজ্যে আজো মারা যাওয়ার চিত্র উদ্বেগজনক। এ পর্যন্ত আমেরিকাজুড়ে ৪৮ হাজার ৭০১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এদিকে করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশীদের মৃত্যুর মিছিল, প্রতিদিন সকাল শুরু হয় কারো মৃত্যু সংবাদ শুনে। তালিকা দীর্ঘতর হচ্ছে।

বাংলাদেশী একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন নিউইয়র্কে ভারতীয় কিংবা পাকিস্তানী অভিবাসীদের চেয়ে বাংলাদেশীদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশী।

এদিকে নিউইয়র্কের পর উদ্বেগজনক অবস্থা নিউজার্সীতে। আক্রান্ত প্রায় ৭১ হাজারের উপরে, মারা গেছেন ৩ হাজার ১৫৬ জন।

অবনতি হয়েছে মিশিগানের করোনা পরিস্থিতি, এখানে মৃত্যু ১ হাজার ৯২১ জনের, নতুন করে মৃত্যু ১৫৩ জনের, মোট আক্রান্ত রোগী ২৮ হাজারের উপরে।

আক্রান্ত রোগী বিবেচনায় শীর্ষ রাজ্য সমূহঃ
আক্রান্ত রোগী বেশী যেসব রাজ্যে সে তালিকায় রয়েছে, কেলিফোর্নিয়া ২৬ হাজারের উপরে, মেসাজুসেট ৩০ হাজারের উপরে, ইলিনইস প্রায় ২৪ হাজার, পেনসেলভেনিয়া ২৭ হাজারের উপরে, ফ্লোরিডা ২২ হাজারের উপরে, লুসিয়ানা প্রায় ২২ হাজার, জর্জিয়া ১ হাজার, টেক্সাস ১৫ হাজারের উপরে, কানেকটিকা ১৫ হাজার, ওয়াশিংটন আক্রান্ত ১০ হাজারের উপরে, নতুন করে আক্রান্ত কিংবা মৃত্যু নাই। ইন্ডিয়ানা এবং মেরিল্যান্ডে আক্রান্ত ১০ হাজার প্রতিটিতে।

উল্লেখযোগ্য নতুন মৃত্যুঃ

আলোচিত শীর্ষ রাজ্যগুলোঃ
ওয়াশিংটন ০ জন, কেলিফোর্নিয়া ৮২ জন, মেসাজুসেট ১৫১ জন, ইলিনইস ৮০জন, পেনসেলভেনিয়া ৮৩ জন, মিশিগান, ১৫৩ জন, ফ্লোরিডা ৪৩ জন, লুসিয়ানা ৯০ জন, জর্জিয়ায় ২৮ জন, টেক্সাস ১৯ জন, কানেকটিকায় ১৯৭ জন, ইন্ডিয়ানায় ৪৯ জন, মেরিল্যান্ডে ৪৭ জন।

আলোচিত রাজ্যে মোট মৃত্যুঃ
কানেকটিকা ৮৬৮ জন, কেলিফোর্নিয়া ৮৬০ জন, মেসাজুসেট ১ হাজার ১০৮ জন, ইলিনইস ৯৪৮ জন।পেনসেলভেনিয়া, ৭৭৯ জন, মিশিগান ১ হাজার ৯২১ জন, ফ্লোরিডা ৬১৪ জন, লুসিয়ানা ১ হাজার ১০৩ জন, জর্জিয়া ৫৫২ জন, টেক্সাস ৩৬৪ জন, ওয়াশিংটন ৫৪৭ জন।

আমেরিকাজুড়ে এখন শোকের ছায়া। লাশ গণকবর দেয়া হচ্ছে। ফিউনারেল, ট্রাক, লাশঘর, অস্থায়ী বিভিন্ন স্থানে পড়ে আছে মানুষের মরদেহ। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, আর্তনাদ আহাজারী। হাসপাতালে বাড়তি চাপ। নেই লাশ রাখার জায়গা। করোনা রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত পৃথক ব্যবস্থা না থাকায় রোগী এবং স্বজনদের অভিযোগ বাড়ছে, বাড়ছে হতাশা-ক্ষোভ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৭৩ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930