শিরোনামঃ-

» মঙ্গলবার ঢাকায় শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের গেজেটের মাধ্যমে সনদ প্রদানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশিত: ০৬. জুলাই. ২০২০ | সোমবার

অবস্থান কর্মসূচি পরবর্তী আরো কঠোর কর্মসূচির ডাক আসতে পারে

সম্পাদকীয়ঃ

বাংলাদেশের প্রতিটি সফলতা অর্জন হয়েছে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, সংগ্রামের মাধ্যমে। তেমনি দেশব্যাপী শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের একটা বিরাট আন্দোলন চলছে। আর সেটি হচ্ছে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের সনদ প্রদানের আন্দোলন।

এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টায় শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের সমন্বয়ক সুমনা আক্তার লিলি, এ কে মাহমুদ ও আইনুল ইসলাম বিশালের নেতৃত্বে  রাষ্ট্র কর্তৃক নির্দেশিত সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্তমান অফিস (বোরাক টাওয়ার) এর সামনে শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে যতো আইনজীবী এনরোল হয়েছেন শুধুমাত্র ভাইবাভোসির মাধ্যমে। পরবর্তীতে বছরে দুটি পরীক্ষা নেয়া হয় এবং লিখিত ও ভাইবার মাধ্যমে আইনজীবী এনরোল হয়েছেন। ২০১১ সালের পর যোগ হয় এমসিকিউ পরীক্ষা।

অর্থাৎ, এমসিকিউ, লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষা সম্পন্ন করে একজন শিক্ষানবীশকে আইনজীবী হিসেবে এনরোল হতে হয়। সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয়, একেকটি পরীক্ষা সম্পন্ন হতে প্রায় ৩/৪ বছর সময় লেগে যায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের।

২০১৭ ও ২০২০ সালের এমসিকিউ উত্তীর্ণ হাজার হাজার পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকাবস্থায় চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণে একটি অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের ভবিষ্যত সম্ভাবনা নিশ্চিত হুুুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

এমতাবস্থায়, শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের নিতান্তই বাধ্য হয়ে এধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। মাননীয় রাষ্ট্রপতির একটি আদেশবলে এই প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবত প্রতি বছরে পরীক্ষা গ্রহণে বার কাউন্সিলের ব্যাপক উদাসীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যা দেশের সকল আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব দানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সঠিক কাজ নয়।

অথচ, মহামান্য হাইকোর্টের এক‌টি নির্দেশনা রয়েছে যে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে প্রতি ক্যালেন্ডার ইয়ারে একটি পরীক্ষা নিতে হবে।

এখানে একটা জিনিস স্পষ্টত দৃশ্যমান পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে কোন সমস্যা ছিলো না, বৈশ্বিক মহামারি করোনার দরুণ পরীক্ষা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা গ্রহণে ব্যর্থতার কারণেই এধরনের সমস্যার তৈরি হয়েছে। এরজন্য একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবীর ভবিষ্যত জীবন নষ্ট হতে পারে না।

তাই, অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের উচিত হবে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনাকে যথাযথ সম্মান দেখিয়ে অন্ততঃ মানবিক দিক বিবেচনা করে দেশের সকল শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে সবাইকে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তি করা।

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চলমান মুজিববর্ষে এ দাবি মেনে নিলে আইনের ছাত্রদের কাছে এটি হবে মুজিববর্ষের সেরা উপহার।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৮৮২ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930