শিরোনামঃ-

» অনশনরত শিক্ষানবিশদের টাউট বাটপার বলে গালি দেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সেক্রেটারি কাজল

প্রকাশিত: ১৪. জুলাই. ২০২০ | মঙ্গলবার

আরিফুল ইসলামঃ

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই সনদের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুর থেকে শুরু হয়ে আজ অষ্টম দিনে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে শান্তি পূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন তাঁরা।

কিন্তু মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল ১০টায় আমরণ অনশনরত শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদেরকে টাউট বাটপার বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস (কাজল)।

এছাড়া তিনি অনশনরত সবাইকে দুপুর ১টার মধ্যে চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় তাদেরকে মেরে হাত পা ভেঙে তাড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি প্রদান করেন। সেই সময় আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার সাব-এডিটর আরিফুল ইসলাম ভিডিও ধারণ করলে তাঁর উপর আক্রমণ করেন এবং তাঁর কাছ থেকে ফুটেজ নষ্ট করেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস (কাজল)।

দুপুর ১টার সময় বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস (কাজল) এর সাথে আমরণ অনশনরত শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা দেখা করতে গেলে দীর্ঘ ১ ঘন্টা যাবৎ অপেক্ষা করার পরও তিনি দেখা না করে দুই মিনিটের মধ্যে স্থান ত্যাগের হুমকি দেন।

তিনি আরও বলেন যে, আপনাদের কাছে দুই মিনিট সময় আছে এখনি চলে যান না হলে আমি পুলিশ ডেকে আপনাদেরকে উচ্ছেদ করবো।

এমতাবস্থায় হুমকির মুখে পরে আমরণ অনশনরত শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে শান্তি পূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি ছেড়ে বোরাক টাওয়ারের নিচে অবস্থান নিয়েছে।

জানা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের লিখিত ও ভাইভা মওকুফ করে আইনজীবী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবিতে হাইকোর্ট চত্বরে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যহত থাকবে বলে সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এ কে মাহমুদ ঘোষণা দেন।

তিনি সাংবাদিক-কে বলেন যে, তাদের দাবী যৌক্তিক প্যারোলে শুধু ভাইবার মাধ্যমেই সনদ প্রদান করেছেন। বার কাউন্সিল তাদের ইচ্ছামত পরীক্ষা নেন কোন রুল মেইনটেইন করেন না।

চলতি বছর প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে ১২ হাজার ৮৪৮ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অপেক্ষায় আছেন।

এছাড়া প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরবর্তী এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য অপেক্ষমান রয়েছেন।

জানা গেছে, দীর্ঘ ৫ বছরে একটি মাত্র এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় এবং বর্তমান করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কারণে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

শিক্ষানবিশরা বলেন, আমরা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণ এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০১৭ সালের ২১ জুলাই এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তীর্ণ হই। দীর্ঘ প্রায় তিন বছর বার কাউন্সিল কর্তৃক এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।

তারা বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কোন পরীক্ষা হয়নি।

তবে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণ পরীক্ষার প্রিলিমিনারি সম্পন্ন হওয়ার পর বর্তমান করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারির কারণে লিখিত পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে যায়।

এমন অবস্থায় মানবিকভাবে বিবেচনা করে লিখিত পরীক্ষা মওকুফ করে অথবা লিখিত ও ভাইভা উভয় পরীক্ষা মওকুফ করে ২০১৭ ও ২০২০ সালে এমসিকিউ উত্তীর্ণদের গেজেট প্রকাশ করে সনদের প্রদানের জন্য দাবি জানাচ্ছি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৯৭৭ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930