শিরোনামঃ-

» বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজি বরাবরে স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ০৭. জুলাই. ২০২১ | বুধবার

ছাতকের বালুমহালে নৌ-পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ ও মামলা থেকে নিরীহদের অব্যাহতির দাবি

ছাতক প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নৌ-পুলিশ কর্তৃক নিরীহ শ্রমিকদের কাছে চাঁদা দাবি ও বালুমহাল ইজারাদারদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা দায়েরের ঘটনার প্রেক্ষিতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবারে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ছাতক উপজেলার মুক্তিরগাঁও গ্রামের এডভোকেট আলম উদ্দিন। তিনি চেলা নদী ও মরা চেলা নদী বালুমহালের ইজারাদারী প্রতিষ্ঠান ফয়েজ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী ফয়েজ আহমদের একজন নিকটাত্মীয়।

বুধবার (৭ জুলাই) পৃথক দুটি দফতরে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন তিনি।

স্মারকলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, সরকার কর্তৃক ইজারাকৃত চেলা নদী ও মরা চেলা নদীর বালুমহালে নৌ-পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানির ঘটনায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা। যথানিয়মে রয়্যালিটি প্রদানের পরও ছাতক নৌ-পুলিশকে দিতে হয় বড় অংকের চাঁদা।

তারই ধারাবাহিকতায় ৪ জুলাই রবিবার রাত আনুমানিক ৭টার দিকে ছাতক নৌ-পুলিশ ইউনিটের ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ৫টি স্টিলবডি নৌকায় উঠে শ্রমিকরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বলে দাবি করেন।

এতে শ্রমিকরা তাকে জানান, তারা বালুমহালের রয়্যালিটি প্রদান করে বৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। কিন্তু নৌ-পুলিশ ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘এখান থেকে বালু উত্তোলন করতে হলে নৌ-পুলিশকে টাকা দিতে হবে।’ এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা ইজারাদারকে রয়্যালিটি দিয়েই বৈধভাবে বালু উত্তোলন করছি। কাউকে চাঁদা দেওয়ায় প্রশ্নই উঠেনা।’ এ কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে মঞ্জুরুল আলমের নির্দেশে নৌ-পুলিশ সদস্যরা শ্রমিকদের উপর হামলা চালান। পরবর্তীতে খবর পেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসে পুলিশ ও শ্রমিকদের শান্ত করেন।

স্মারকলিপিতে এডভোকেট আলম আরো উল্লেখ করেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে এ ঘটনায় বালুমহালের ইজারাদারী প্রতিষ্ঠান ফয়েজ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী ফয়েজ আহমদ ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- ০৩, তারিখ- ০৬/০৭/২০২১। তিনি এই মামলা থেকে উপরোক্ত নিরপরাধ ব্যক্তিদের অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানান।

ইজারাদার পক্ষের লোকজনের অভিযোগ একটি কুচক্রি মহল দীর্ঘদিন ধরে উক্ত বালুমহাল জবর দখল করে নিতে নানা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ইজারাদারকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারই প্রেক্ষিতে তাদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে উক্ত মহল পুলিশের মামলায় নিরীহ ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভূক্ত করিয়েছে।

শুধু তাই নয় ইজারাদার পক্ষের লোকজনকে প্রায়ই রয়্যালিটি আদায়ে বাঁধা-বিপত্তি প্রদান করে থাকে পুলিশ। এতে করে মারাত্মক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ইজারাদার।

এডভোকেট আলম উদ্দিন নৌ-পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ইজারাদার পক্ষকে যথাযথ নিয়মে রয়্যালিটি আদায়ে পুলিশি হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট রেঞ্জের ডিআইজির সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৩৮ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930