শিরোনামঃ-

» উপশহরে রাতের আঁধারে পার্শ্ববর্তী ময়নুল হকের নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করল সিটি কর্পোরেশন

প্রকাশিত: ২৬. আগস্ট. ২০২১ | বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিল্ডিং কোড অমান্য করে রাতের আঁধারে জনৈক ময়নুল হকের নির্মিত অবৈধ স্থাপনা অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করল সিলেট সিটি কর্পোরেশন।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকালে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে শাহজালাল উপশহরের ডি ব্লকের ৩৪নং রোডের (উপকন্ঠ) বাসিন্দা মইনুল হক বিল্ডিং কোড অমান্য করে অবৈধ ভাবে পার্শ্ববর্তী বাসার যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ আবুল বাশারের অংশ বরাবর বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করেন। পরে মূল ঘরের ছাদ বাউন্ডারীর সাথে সংযুক্ত করে ঘর নির্মাণ করেন।

এতে ১২নং বাসার মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ আবুল বাশারের পক্ষে তার ভাইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সিটি কর্পোরেশন নোটিশ দিলেও ময়নুল হক তাতে কোন কর্নপাত না করায় আজ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অবৈধ অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়। ১২নং বাসার যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবুল বাসারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশন এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আলী আকবরের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ১২নং বাসার মালিক সৈয়দ আবুল বাশারের পক্ষে তাঁর ছোট ভাই সৈয়দ আবুল হাসনাত মিঠু সিলেট সিটি কর্পোরেশনে নিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীকে সিটি কর্পোরেশন থেকে অবৈধ অংশ উচ্ছেদের নোটিশ প্রদান করা হয়। তিনি অবৈধ অংশ অপসারণ না করায় সিটি কর্পোরেশন আইনানুগভাবে আজ উক্ত অভিযান পরিচালনা করেন।

উক্ত বিষয়ে ১২নং বাসার মালিক সৈয়দ আবুল বাশার ও তিনির ছোট ভাই সৈয়দ আবুল হাসনাত মিঠুর সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সিটি কর্পোরেশনের অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এর আগে সিলেটের শাহজালাল উপশহরের ডি-ব্লকের জনৈক ময়নুল ইসলাম সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম অমান্য করে রাতের আঁধারে সীমানা বাউন্ডারী ওয়ালের সাথে মূল ঘরের ছাদ ঢালাই দিয়ে বিল্ডিং নির্মাণের প্রতিবাদে গত ১৯/০৭/২০২১ইং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ আবুল বাসারের পক্ষে তাঁর ছোট ভাই সৈয়দ আবুল হাসনাত লিখিত আবেদন দেন।

এতে ময়নুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে সৈয়দ আবুল হাসনাত কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী সৈয়দ আবুল হাসনাত শাহপরাণ (র.) থানায় সাধারণ ডায়রী করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে শাহপরাণ থানা পুলিশ সেদিন রাতেই কাজ বন্ধ করেন। পুলিশ চলে যাওয়ার পরে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারী ময়নুল রাতের আঁধারে পুণরায় ছাদ ঢালাই কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ আবার ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ করে দেন।

জানা যায়, নগরীর শাহজালাল উপশহরের ডি-ব্লকের ৩৪নং রোডের ১২নং বাসা যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ আবুল বাসারের মালিকানাধীন। পাশের বাসার ময়নুল হক বাসার সীমানা প্রাচীরসহ সৈয়দ আবুল বাশারের বাসার কিঞ্চিত জায়গা দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করেন। যা সিটি কর্পোরেশনের বিল্ডিং নির্মাণ আইনের লংঘন। সৈয়দ আবুল বাসার প্রবাসে থাকায় তাহার ভাই সৈয়দ আবুল হাসনাত বাদী হয়ে সোমবার পুলিশ কমিশনার বরাবর আবেদন করেন।

এতে ময়নুল হক আবুল হাসনাতকে গালিগালাজ ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়, পরে তিনি শাহপরাণ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমি সৈয়দ আবুল হাসনাত যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ আবুল বাসার এর পক্ষে এই মর্মে আবেদন করিতেছি যে, বিবাদী ময়নুল হক আমার প্রতিবেশী।

তিনি একজন আইন অমান্যকারী লোক। আমার প্রতিবেশী ময়নুল হক আমার বাসার সীমানার ভিতর কিঞ্চিত অতিক্রম করে মূল ভবনের সাথে যুক্ত করে মূল ঘরের দেয়াল নির্মাণ করে ঢালাই দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের বিল্ডিং আইন অমাণ্য করে বিল্ডিং নির্মাণ করিতেছেন। তাহাকে বার বার আমি টেলিফোনে ও আমার ভাইকে দিয়ে বাঁধা দিলেও তিনি কোন বাধাঁ না মেনে ক্ষমতা দেখিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে আমার বাসার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

তিনি এর আগেও এ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের হীণ প্রচেষ্টা করেন। যা নিয়ে আমি ১৭/০৩/২০০৮ইং সিলেট সিটি কর্পোরেশন বরাবরে লিখিত আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সরেজমিনে তদন্ত স্বাপেক্ষে বিধি বহির্ভূত ভাবে নির্মাণাধীন ভবনের অবৈধ অংশ অপসারনের জন্য ৭ (সাত) দিনের সময় দিয়ে ০১/০৪/২০০৮ইং সিলেট সিটি কর্পোরেশন তাহার বিরুদ্ধে প্রথম নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু ময়নুল হক তাতে কোন কর্ণপাত করেননি।

এমতাবস্থায় সিটি কর্পোরেশন ৩ (তিন) দিনের সময় দিয়ে ২৩/০৬/২০০৮ইং দ্বিতীয় নোটিশ প্রদান করে। তাতেও ময়নুল হক নোটিশের বা আইনের তোয়াক্কা করেন নি। এতে সিটি কর্পোরেশন হতে ১৬/০৯/২০০৮ইং ২ (দুই) দিনের সময় দিয়ে চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করেন।

কিন্তু ময়নুল হক কোন নোটিশ বা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে আইনের প্রদি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধ স্থাপনার কাজ করতেই থাকেন।

সর্বশেষ সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক অবৈধ স্থাপনা আংশিক ভেঙ্গে ফেলেন। সম্প্রতি আবার সেই আগের জায়গায় অবৈধ ভাবে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁকে বারবার নিষেধ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি তার কর্নপাত না করে অবৈধভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২৬৯ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930