শিরোনামঃ-

» সিলেট ওসমানী হাসপাতালে শুরু হচ্ছে’কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস স্থাপন

প্রকাশিত: ২১. মে. ২০২২ | শনিবার

জন্মবধির শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে সহযোগীতার আহবান : অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো ময়নুল হক

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথমবারের মতো আগামী ২৪মে ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস স্থাপন অপারেশন শুরু হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম’ প্রথম ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয় এবং তা জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চালু আছে।

সিলেটে এ কার্যক্রম শুরু নিঃসন্দেহে সিলেটবাসীর জন্য অনেক বড় অর্জন। যেসব শিশুরা জন্মবধির তারা কানে না শুনতে পারার দরুণ কথাবলাও শিখতে পারেনা এবং ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে পরবর্তীকালে নানা বঞ্চনার ও অসুবিধার সম্মুখীন হয়। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট তাদের সে অন্ধকার দশা থেকে মুক্তি লাভের এক আলোকবর্তিকা।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রমের আওতায় ১০ জন জন্মবধির তথা শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে ২১শে মে শনিবার ডিভাইস বিতরণ করা হয়।

শনিবার (২১ মে) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রমের ডিভাইস বিতরণ অনুষ্ঠান’ অনুষ্ঠিত হয়।

নাক কান গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা.মনিলাল আইচ লিটু এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো ময়নুল হক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক  ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা.মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা.শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী, সিলেট বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো.আব্দুর রফিক।

আবাসিক সার্জন ডা. এম. নূরুল ইসলাম এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রমের বৈঞ্জানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম সিওমেকহা এর কর্মসূচী পরিচালক ডা.নূরুল হুদা নাঈম।

উক্ত বিভাগের এমএস কোর্সের রেসিডেন্ট চিকিৎসক ডা.অরূপ রাউৎ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নাক-কান-গলা বিভাগ সহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো ময়নুল হক বলেন, জন্মবধির শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু আমাদের সমাজের অংশ তাদের সমাজের মূল্যশ্রোতে ফিরিয়ে আনতে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের ডাক্তার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী ও ডিভাইস গ্রহিতা ও অভিভাবকদের যার যার অবস্থান থেকে সর্বাত্বক সহযোগীতা করার আহবান জানান।

‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস স্থাপন অপারেশন শুরু উপলক্ষে ইতোমধ্যে নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসহ কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট অপারেশনের জন্য একটি পৃথক অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত করা হয়েছে।

বিতরণকৃত প্রতিটি ডিভাইস এর মূল্য প্রায় সাড়ে পাঁচলক্ষ টাকা যা অপারেশনের মাধ্যমে তাদের কানে স্থাপন করা হবে। উল্লেখ্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এ ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম’ প্রথম ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয় এবং তা জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চালু আছে।

সিলেটে প্রথমবারের মতো এ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে যা নিঃসন্দেহে সিলেটবাসীর জন্য অনেক বড় অর্জন।

তবে শুধু অপারেশন এর উপর এই অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সফলতা নিভরশীল নয়,অপারেশন এর একটি অংশ মাত্র।অপারেশনের উপযোগী সঠিক রোগী নির্বাচন,পরীক্ষা-নিরীক্ষা,অডিওথেরাপী, স্পীচ থেরাপী, অডিওভার্বাল থেরাপী, রিহ্যাবিলিটেশন এবং আজীবন ফলোআপ করা এসবের উপর এর সাফল্যের অনেকটাই নির্ভর করে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২০১ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930