শিরোনামঃ-

» জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে ২৫% বরাদ্দ ও সিলেটের শিক্ষা সংকট নিরসনে ৮ দফা দাবিতে মিছিল-সমাবেশ

প্রকাশিত: ০১. জুন. ২০২২ | বুধবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ
জাতীয় বাজেটে  শিক্ষা খাতে ২৫% বরাদ্দ ও সিলেটের শিক্ষা সংকট নিরসনে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে নগরীতে  মিছিল ও সমাবেশ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখা। শহিদ মিনার থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সিটি পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সভাপতি সঞ্জয় কান্ত দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া নোশিন তাসনিমের পরিচালনায় আজ বুধবার (১ জুন) বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠন শাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর রহমান, এম.সি কলেজ শাখার সংগঠক সুমিত কান্তি দাস পিনাক, মদনমোহন কলেজ শাখার সংগঠক সাকিব রানা,দোয়েল রায় প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “সরকার বারবার উন্নয়নের বুলি আওড়ালেও শিক্ষাখাতের দিকে তাকালে চোখের সামনে ভেসে উঠে  করুণ চিত্র। আমাদের শিক্ষাখাতের বরাদ্দ মোট জিডিপির মাত্র ২.০৮ শতাংশ। যা পাশ্ববর্তী  শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভূটানের চেয়ে কম। তাই জাতীয় বাজেটের ২৫ভাগ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ খুবই জরুরি। এদিকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়ে প্রণয়ণ করা হয়েছে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২০’। এতে বিজ্ঞান শিক্ষাকে সংকোচিত করা হয়েছে,বাদ দেয়া হয়েছে উচ্চতর গনিত। প্রধান্য দেয়া হচ্ছে কারিগরি শিক্ষাকে।
বিভাগ তুলে দেয়ার কথা বলে বাস্তবে বিজ্ঞান শিক্ষাকে সংকোচিত ও কারিগরি ধারাকে প্রসারিত করা হয়েছে।
এ শিক্ষাক্রম শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্য ও বিভিন্ন ধারাকে দূর করার জন্য একটি শব্দও ব্যায় করেনি, বরং শিক্ষার সাধারণ ধারাকেই কারিগরি শিক্ষার দিকে ধাবিত করবে। আধুনিক মূল্যায়ন বা ধারাবাহিক মূল্যায়নের কথা বলে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেয়া ও শিক্ষকদের হাতে প্রচুর মার্কস দেয়া হয়েছে। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার অবকাঠামো, শিক্ষকদের দক্ষতার এভাব এসব কারণে এই প্রক্রিয়া কার্যকর তো হবেই না বরং বাড়বে স্বজন পোষন ও দূর্নীতি। তাই এটি বাতিল করতে হবে।
এদিকে সিলেট জেলায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় আছে মাত্র ৬টি। বিপরীতে বেসরকারি মাধ্যমিক ববিদ্যালয় আছে ৩৩৯টি।
ফলে এই সংকট  সমাধানে অতিদ্রুত  ‘দি এইডেড হাই স্কুল’,’রাজা জি সি হাই স্কুল’ ও ‘রসময় মেমোরিয়াল হাই স্কুল’সহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী স্কুলগুলোকে সরকারিকরণ করতে হবে।
এমনকি, সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। শুধু তাই নয় একই চিত্র সিলেটের চা বাগান গুলোর। তাই প্রতিটি চা বাগানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিনামুল্যে শিক্ষা উপকরণ ও তাদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা এবং  পিছিয়ে পড়া চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর সন্তানদের জন্য বিশেষ কৌটা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
সিলেটের অনার্স কলেজগুলিতে,পর্যাপ্ত শিক্ষক সংকট, আবাসন,পরিবহন সংকট প্রবল। নিয়মিত ক্লাস ও হয় না। এমসি কলেজে বাণিজ্য ও মদনমোহন কলেজে বিজ্ঞান অনুষদ চালুর দাবি দীর্ঘ দিনের। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান জরুরি। সাথে সাথে সিলেট শহরের দীর্ঘদিন ধরে দখলকৃত সকল খেলার  মাঠ উদ্ধার করে সেখানে খেলাধুলা পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও প্রকৃত শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে পাড়ায় পাড়ায় পাঠাগার নির্মাণ করতে হবে।
পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতির নিরিখে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিন্ন টিউশন ফী নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করতে হবে।”
বক্তারা এসব দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার দাবি জানান।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৯০ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930