শিরোনামঃ-

» জাতীয় শোক দিবসে সিলেট সওজের মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা

প্রকাশিত: ১৫. আগস্ট. ২০২৩ | মঙ্গলবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর সিলেট জোন।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে সিলেট নগরীর তোপখানাস্থ সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর সিলেট জোন এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় সভাকক্ষে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সড়ক ও জনপদের সিলেট জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও সওজের সিলেট জোনের সহকারী প্রকৌশলী খন্দকার আনিসুল হক এর পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সড়ক ও জনপদের সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ফজলে রব্বে।

বিশেষ অতিধির বক্তব্য রাখেন, সড়ক ও জনপদের সিলেট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ সড়ক ও জনপদ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি রোস্তম খাঁন, সড়ক ও জনপদের উপ সকারী প্রকৌশলী খালেদুর রহমান, বিশ্বনাথ সড়ক উপ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান।

মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, গোলাপগঞ্জ সড়কের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ইকবাল আহমদ, বাংলাদেশ সড়ক ও জনপদ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মুমিনুল হক ইলিয়াস, সিলেট সড়ক উপ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রকৌশলী মো. ফজলে রব্বে বলেন, ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করা হয়। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের সূচনা হতো না। যেখানে পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে মারতে পারেনি সেখানে দেশের কিছু দুষ্কৃতির হাতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ভাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। যদি ১৫ আগস্ট তাকে হত্যা করা না হতো তবে বর্তমান দেশ আজ উন্নত বিশ্বের কাতারে থাকতো। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতির নেতা না, তিনি একজন বিশ্বনেতাও ছিলেন। তিনি জাতিসংঘের ভাষণে বাংলাদেশের কথা শুধু বলেন নি, সারা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের কথাও বলেছেন।

লেখক এমদাদুল হক মিলনের অপ্রকাশিত বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধান অতিথি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে লেখক বিশাল আকাশে ন্যায় তুলনা করেন। সরকারি বেসরকারি খ্যাতে দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে কথা বলে গেছেন জাতির জনক। বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অসহায় মানুষের পাশা সকলকে দাঁড়াতে তিনি আহবান জানান।

মিলাদ মাহফিলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া রক্তের উত্তরাধিকার ও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা, তাঁদের পরিবারবর্গের দীর্ঘজীবন ও সুস্থতা কামনাসহ বিশ্ব শান্তি কামনায় দোয়া প্রার্থনা করা হয়।

মিলাদ মাহফিল ও দোয়া পরিচালনা করেন তোপখানা জামে মসজিদের পেশ ঈমাম হাফেজ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ। পরে অসহায়, দুঃস্থ ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৭৮ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30