- সাহায্য সংস্থা “হেল্প দ্য পুওর ফাউন্ডেশন ” এর কমিটি গঠন
- মুহিন খাঁন এর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- ইকরা ট্রাভেলস-সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
- ২৪ নভেম্বর রেজিষ্ট্রারি মাঠে জমিয়তের গণসমাবেশ সফল করুন মুফতি মুজিবুর রহমান
- বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী, সিলেট শাখার কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে র্যালি ও সভা
- ৩ শতাধিক মানুষের মাঝে খাবার ও শতাধিক মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করলো ক্লীন সিলেট
- আকবেটের ইউনিভার্সাল চিলড্রেনস্ ডে পালিত; শিশুদের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে কাজ করতে হবে
- হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে ‘হিজড়া যুব কল্যাণ সংস্থার’ উদ্যোগে স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- গোলাপগঞ্জের লক্ষীপাশা ইউনিয়নে বিএনপির জনসভা
- ২৪ নভেম্বর জনসভা ও গণমিছিল সফল করুন : বাসদ
» বাংলাদেশের আয়কর আইনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
প্রকাশিত: ০৯. ডিসেম্বর. ২০২৩ | শনিবার
প্রফেসর হৃষি কেশ ধরঃ
আয়কর সরকারি আইনের একটি অন্যতম প্রধান উৎস হিসাবে বিবেচিত। আইনের সাহায্যে এ উৎস থেকে আয় আদায়ের জন্য বঙ্গভারতে ১৮৬০ সালে সর্বপ্রথম আয়কর আইন প্রবর্তিত হয়েছিল। তৎকালীন বৃটিশ সরকার ইংল্যান্ডে প্রচলিত আয়কর আইন অনুসরণ করে সর্বপ্রথম এ আইন চালু করা হয় এবং এর নাম দেয়া হয় ‘আয়কর আইন ১৮৬০’। আয়কর আইনে প্রধান বিষয় হলো আয় কত? আর সেটি আয়করের আওতায় পড়ে কি-না?
পরবর্তীতে এই আইনের কিছুটা পরির্বতন করে আয়কর আইন ‘লাইসেন্স ট্যাক্স এ্যাক্ট ১৮৬৭’ নামকরণে প্রতিষ্ঠা করে ।
১৮৬৮ সালে উক্ত আইনের নাম পরির্বতন করে ‘সার্টিফিকেট এ্যাক্ট ১৮৬৮’ নামকরণ করা হয়। এ সময় করের হার হ্রাস, করমূক্ত আয় সীমা ও কৃষি আয়কে কর বর্হিভুত হিসেবে বিবেচিত করা হয়। ১৮৬৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ‘আয়কর আইন’ নামে একটি আইন পাস করা হয়। ১৮৭৩ সালে ১লা এপ্রিল এই আইন স্থগিত করা হয়। ১৮৭৭ সালে আয়কর আইনকে ‘লাইসেন্স এ্যাক্ট ১৮৭৭’ নামকরণে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮৬ সালে আয়কর আইন ১৮৮৬ প্রবর্তন করা হয়। এ আইনে কৃষি আয়ের সংজ্ঞা সহ এর নানাবিধ মওকুফগুলো ব্যাখ্যা করা ও জীবন বীমা প্রিমিয়ামের উপর সর্বোচ্চ অংশ পর্যন্ত কর মাফ করা হয় ।
১৯১৮ সালে ‘আয়কর আইন ১৯১৮’ আইনকে গুরুত্বপূর্ণ পরির্বতন করে সাজানো হয় এবং এই আইনে সর্বপ্রথম আয়করের হার নিরুপণের লক্ষ্যে সমস্ত আয়ের উৎস যোগফল বের করার প্রথা প্রবর্তিত হয় এবং করযোগ্য আয়ের উপর কর ধার্য প্রথা প্রচলন করা হয়। এখানে আয়কে ৬টি খাতে বিভক্তি করা হয়- ক) বেতন; খ) সিকিউরিটির উপর সুদ; গ) গৃহ-সম্পত্তি থেকে আয়; ঘ) ব্যবসা থেকে আয়; ঙ) পেশাগত উপার্জন থেকে আয়; চ) নানাবিধ।
পরবর্তীতে আয়কর আইনের সর্বাঙ্গীন সংশোধন, সংস্কার, পরিবর্তন এবং মান উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে সর্বভারতীয় কমিটির রির্পোটের ভিত্তিতে এবং সুপারিশে ১৯২২ সালে ‘আয়কর আইন ১৯২২’ প্রর্বতন করা হয়। ১৯২২ সালের আয়কর আইন ভারত বিভাগের পর ভারত এবং পাকিস্থান উভয়ই দেশে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে এ আইন গ্রহণ করা হয় এবং ১৯৮৪ আয়কর অধ্যাদেশ বলবৎ পূর্ব পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় ৬২ বছর এ আইন বাংলাদেশে বলবৎ ছিল।
বাংলাদেশে রাষ্টপতির আদেশ ১৯৮৪ সালে (রাষ্টপতির অধ্যাদেশ নং-৩৬) বলে INCOME TAX ORDINANCE 1984 যা ১৯৮৪ সালের ১লা জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়। ১৯৮৪ সালের অধ্যাদেশটি ২৩ অধ্যায় ও ১৮৭টি ধারা ছিল। প্রয়োজনে অধ্যাদেশটি সময় সময় এসআরও (SRO) এর মাধ্যেেম পরির্বতন, পরিবর্তন, সংশোধন ও সংযোজন করা হতো।
পরবর্তীতে ৩৯ বছর পর ২০২৩ সালে ‘আয়কর আইন ২০২৩’ প্রবর্তন করা হয়। সংসদ কর্তৃক গৃহীত আইনটি ০৮ আষাঢ়, ১৪৩০ মোতাবেক ২২ জুন, ২০২৩ এ আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা হয় এবং আইনটি ১লা জুলাই ২০২৩ থেকে বলবৎ হয়েছে। এ আইন সাংসদরা সংসদে বসে বিভিন্ন বিষয়/ধারা আলোচনা করে সংযোজন, পরির্বতন এবং জনমতের ভিত্তিতে সর্ব সম্মতিক্রমে আইনটি পাস করা হয়। তবে প্রশ্ল আসে আইনটিকে যুগোপযোগী করণের কাজ কেন আইন কমিশনের কাছে না দিয়ে এনবিআর (NBR) এর কাছে থেকে যায় । আইনটির প্রয়োগকারী এনবিআরকেই আইনটির খসড়া করতে দেয়ায় মূল সমালোচনা আসে এই বিষয়ে। এ আইনটিতে ২৫টি অংশ ৩৪৫টি ধারা ও ৮টি তফসিল রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৩৪৩৪ জন কর্তকর্তা ও ১০১৯৫ জন কর্মচারী এ আইনটি বাস্তবায়নে নিয়েজিত।
নতুন আয়কর আইন, ২০২৩ বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরির্বতন ও সংশোধন আনা হয়েছে। এই আইনে কর আদায় পদ্ধতি সহজীকরণ, বিনিযোগ ও ব্যবসায়ীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ, করদাতাবান্ধব কর ব্যবস্থা, আইনের শাসন প্রতিষ্টাকরণ, ডিজিটাল অডিট ব্যবস্থা প্রনয়ন, ব্যবসা পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিধানযুক্তকরণ, কর ফেরত ব্যবস্থা প্রণয়ন এবং আর্ন্তজাতিক মান অনুসরণ, একটি ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত কর ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
জাতীয় সংসদে ৮ জুন প্রস্তাব করে, পরীক্ষা পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটিকে মাত্র ৫ কার্যদিবস সময় দিয়ে, ৭ দিনে মাথায় সংসদে কন্ঠভোটে পাস করে বাষ্ট্রপতির সম্মতি নিয়ে ২২ জুন তারিখে ২০২৩ সালের ১২নং আইন হিসেবে ‘অবিলম্বে কার্যকর হবে’ গেজেট জারি করা হয়। এ আইনটি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত হয়।
আয়কর আইন সমূহের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য:
বিষয় |
আইন ১৯২২ |
অধ্যাদেশ ১৯৮৪ |
আইন ২০২৩ |
বলবৎ/প্রর্বতন |
৫ মার্চ ১৯২২ |
জুলাই ১৯৮৪ |
জুলাই ২০২৩ |
ধারা |
৬৮ |
১৮৭, বিধি ৩৭৪ |
৩৪৫ |
তফসিল |
০১ |
০৮ |
০৮ |
অধ্যাদেশ |
১০ |
২৭ |
২৫ (অংশ) |
নীতি |
– |
(রুলস)-৭৫, সাব সেকশন ১৩৭ |
– |
Key Points of Financial year 2023-2024
১) সরকারি কর্মচারী : বেতন খাতে আয় : ১২ মূল বেতন + ২ বোনাস
২) বেসরকারি কর্মচারী : বেতন সংক্রান্ত সম্পূর্ণ আয় – (চাকুরি হতে আয় হতে আয়ের এক তৃতীয়াংশ বা ৪,৫০,০০০/- এর মধ্যে যে কম) = বেতন হতে আয় ।
৩) বিনিয়োগ হতে আয়: ১) মোট বিনিয়োগের ১৫%; ২) মোট আয়ের .০৩%; ৩) ১০ লক্ষ টাকা যেটি কম ।
৪) প্রদেয় কর:
ক্রম |
বিবরণ |
টাকা |
১ |
মোট আয়ের উপর আরোপযোগ্য কর ,, .. | |
২ |
বাদ (-) কর রেয়াত ( বিনিযোগ ইত্যাদি) | |
৩ |
রেয়াত পরবর্তী প্রদেয় কর (১-২) | |
৪ |
নূন্যতম কর | |
৫ |
প্রদেয় কর (৪ নং ও ৫ এর মধ্যে যাহা অধিক | |
৬ |
ক) নিট পরিসম্পদ ৪,০০,০০,০০০ টাকার অধিক হলে ৩০% হারে সারচার্জ ।
খ) পরিবেশ সারচার্জ |
|
৭ |
বিলম্ব সুদ, জরিমানা অথবা আয়কর আইনের অধীন প্রদেয় অন্য কোন অংক | |
৮ |
মোট প্রদেয় কর (৫+৬+৭) |
৬) ক) আয় ৬. ক) আয় পরিগনণা: স্বাভাবিক ব্যক্তি কতদাতাদের উপর
ক্রম |
মোট আয় |
হার |
১ |
প্রথম ৩,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর |
শূণ্য |
২ |
পরবর্তী ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর |
৫% |
৩ |
পরবর্তী ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর |
১০% |
৪ |
পরবর্তী ৪,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর |
১৫% |
৫ |
পরবর্তী ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর |
২০% |
৬ |
অবশিষ্ট মোট আয়ের উপর |
২৫% |
খ) আয় পরিগনণা: ১) মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বৎসর বা তদুর্ধ্ব বয়সের করমূক্ত আয়ের সীমা ৪,০০,০০০ টাকা;
২) তৃতীয় লিঙ্গেও করদাতা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতার করমূক্তসীমা ৪,৭৫,০০০ টাকা;
৩) গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ৫,০০,০০০ টাকা;
৭. কর রেয়াতযোগ্য বিনিয়োগের খাত সমূহ:
ক্রম |
বিবরণ |
টাকা |
১ |
জীবন বীমার প্রিমিয়াম | |
২ |
ডিপোজিট পেনশন/মাসিক সঞ্জয় স্কিমে জমা | |
৩ |
সরকারি সিকিউরিটি, ইউনিট সার্টিফিকেট, মিউচুুয়াল ফান্ড, ইটিএফ অথবা যৌথ বিনিয়োগে | |
৪ |
অনুমোদিত স্টক এক্সচেঞ্চের এ সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ | |
৫ |
ভবিষ্যৎ তহবিলে জমা (আইন ১৯২৫) | |
৬ |
অনুমোদিত ভবিষ্যৎ তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা | |
৭ |
অনুমোদিত বার্ধক্য তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা | |
৮ |
কল্যাণ তহবিল ও যোথ গোষ্ঠী বীমার প্রদত্ত চাঁদা | |
৯ |
যাকাত তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা | |
১০ |
অন্যান্য | |
১১ |
মোট বিনিয়োগ | |
১২ |
কর রেয়াতের পরিমাণ মোট বিনিয়োগ ১৫%/ মোট করযোগ্য আয়ের ০৩%/ ১০ লক্ষ যেটি কম |
৮. জীবন যাপন ব্যয়ের খাত সমূহ:
ক্রম |
বিবরণ |
মন্তব্য |
১ |
ব্যক্তিগত ও পরিবারের ভরণপোষণ | |
২ |
আবাসন সংক্রান্ত | |
৩ |
ব্যক্তিগত যানবাহন সংক্রান্ত | |
৪ |
বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ফোন, মোবাইল, ইন্টারনেট ইত্যদি ব্যয় | |
৫ |
শিক্ষা ব্যয় | |
৬ |
নিজ খরচে দেশ অথবা বিদেম ভ্রমণ | |
৭ |
উৎসব ও অন্যন্য অনুষ্ঠানে ব্যয় | |
৮ |
উৎসে কর্তিত/সংগ্রহীত কর (সঞ্চয় ইত্যাদির মুনাফা) | |
৯ |
সুদ পরিশোধ ইত্যাদি |
৯. ভাড়া হইতে আয় পরিগণনা ও অনুমোদন যোগ্য রেয়াত:
ক্রম |
সম্পত্তি ধরণ |
(বিয়োগনযোগ্য খরচ মোট ভাড়া মূল্যের শতকরা হারে) |
১ |
বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত গৃহসম্পত্তি |
৩০% |
২ |
অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত গৃহসম্পত্তি |
২৫% |
৩ |
অন্যান্য সম্পত্তি |
১০% |
১০. করদাতার অবস্থানভেদে নূন্যতম কর প্রদেয়:
ক্রম |
এলাকার বিবরণ |
হার (টাকা) |
১ |
ঢাকা, চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন |
৫,০০০ |
২ |
অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকা |
৪,০০০ |
৩ |
সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য এলাকা |
৩,০০০ |
১১. অডিট: ধারা ১৮০, আয়কর আইন ২০২৩, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৮২ ধারা:
অডিট আয়কর আইনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একটি আয়কর নথি বিভিন্ন কারণে অডিটে পড়তে পারে । আয়কর আইন অনুযায়ী ইউনিভারসাল সেলফ অ্যাসেসমেন্টর ক্ষেত্রে সাধারণত যে সমস্ত কারণে করদাতার আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পর আয়কর মামলা বা অডিটের আওতায় পড়তে পারে তার সম্ভাব্য কারণগুলো হলো:-
১. ব্যবসায়র ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী কর বর্ষে প্রদর্শিত আয়ের চেয়ে পরবর্তী বছর কম আয় প্রদর্শন করলে।
২. কর অব্যাহতি পাওয়া যায় এমন আয় প্রদর্শন করেছেন কিন্তু কাগজপত্র জমা না দিলে।
৩. কোন ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছেন । তার স্বপক্ষে যথাযথ কাগজ যেমন-যে ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়েছেন তার প্রমাণ বা হিসাব বিবরণী যথাযথভাবে দাখিল না করা হলে।
৪. কোন কিছু উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন, কিন্তু তার স্বপক্ষে যথাযথ কোন প্রমাণপত্র দাখিল না করলে।
৫. এমন কোন আয় প্রদর্শন করিয়াছেন, যা আয় হিসেবের কর অব্যাহতি প্রাপ্ত কিংবা হ্রাসকৃত হারে ট্যাক্স প্রযোজ্য।
৬. নতুন রির্টানের ক্ষেত্রে ব্যবসায়র আয়ের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মূলধন গ্রহণের পরিমাণের ২০% কম আয় প্রদর্শন করলে।
৭. ব্যবসায় প্রারম্ভিক মূলধন হিসেবে যে পরিমাণ অর্থ উল্লেখ করা হয়েছিল তা পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে স্থানান্তর করলে।
৮. অকৃষি সম্পত্তিতে নতুন কোন বিনিয়োগ থাকলে। যেমন-বাড়ি নির্মাণ; কৃষি সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও কৃষি আয় প্রদর্শন না করা ইত্যাদি কারণে একটি আয়কর রিটার্ন অডিটের জন্য নির্বাচিত হতে পারে।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও অন্যান্য করণে রিটার্ন অডিটে পড়তে পারে। তাই সবার উচিৎ জেনে বুঝে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া।
অডিটে আপত্তির বিষয়ে আইনে যা আছে।
কোন আয়কর রিটার্নে অডিট আপত্তি হলে প্রথমে করদাতাকে অবহিত করে নোটিশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে করদাতাকে শুনানির জন্য সুযোগ দেওয়া হয়। করদাতা বা তাঁর প্রতিনিধি শুনানিতে হাজির হলে উপ-কর কমিশনার নির্দিষ্ট ধারায় মামলা নিষ্পত্তি করেন। করদাতা গুনানিতে উপস্থিত না হলে উপকর কমিশনার আইন অনুযায়ী একতরফা নিষ্পত্তি করে থাকেন।
১২. আয়কর রিটার্ন জমার সময় যে সমস্ত কাগজপত্র জমা/সংযুক্ত থাকা জরুরীঃ
১) বেতন খাতে আয়: বাৎসরিক বেতন আয়ের বিবরণী (যা আইবাস থেকে ডাউন লোড করা যায়)
২) গৃহসম্পত্তি খাতে আয়: ক) গৃহের তলাভিত্তিক ফ্লোর স্পেস ও ভাড়া (ভাড়ার চুক্তিপত্র); খ) পৌর করের পরিমাণ (রসিদ সহ); গ) বন্ধকি ঋণের উপর সুদ (ব্যাংকের ইস্যুকৃত বিবরনী বা সার্টিফিকেট); বাসস্থান খালি থাকলে তা সময় (উপ-কর কমিশনারকে অবহিতপত্র)।
৩) কৃষি আয়: ক) কৃষিজমির পরিমাণ; খ) ফলনকৃত শস্যের পরিমাণ; গ) বাজারমূল্য।
৪) ব্যবসা বা পেশা খাতে আয়: (স্থিতিপত্র ও আয়-ব্যয়ের বিবরণী)।
৫) মূলধনি লাভ: ক) মূলধনি সম্পদের বিক্রয়মূল্য (বিক্রীত চুক্তিপত্র ও বিক্রয়ের রসিদ বা দলিল); খ) বিক্রিত সম্পদির ক্রয়মূল্য (ক্রয়ের দলিল অথবা প্রমাণপত্র); গ) আনুষঙ্গিক মূলধনি ব্যয় (ক্রয় ও আনুষঙ্গিক মূলধনি ব্যয়ের প্রমাণপত্র)।
৬. আর্থিক পরিসম্পদ থেকে আয়: ক) লভ্যাংশ (প্রমাণ) খ) ব্যাংকের সুদ বা মুনাফা; গ) এফডিআর বা মেয়াদি স্থায়ী আমানত।
৭. অন্যান্য উৎস খাতে আয়: ক) অন্যান্য উৎসের আয়ের সপক্ষে প্রমাণপত্র; থ) কর রেয়াতের জন্য বিনিয়োগ; গ) জীবনবিমার প্রদত্ত কিস্তি (রসিদ); ঘ) ভবিষ্যতে প্রাপ্য বার্ষিক ভাতা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে চাঁদা (প্রমাণ সহ); ঙ) ভবষ্যি তহবিল আইন, ১৯২৫ অনুযায়ী প্রযোজ্য ভবিষ্য তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা (সনদের ফটোকপি); চ) স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে স্বীয় ও নিয়োগকর্তার প্রদত্ত চাঁদা (সনদ সহ); ছ)ডিপোজিট পেনশন স্কিমে প্রদত্ত চাঁদা (ব্যাংকের সনদ সর্বোচ্চ ১.২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগযোগ্য; জ) কল্যাণ তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা এবং গোষ্টি বীমা কর্তনের প্রমাণ; ঝ) জাকাত তহবিলের প্রদত্ত চাঁদা (প্রমাণ সহ) ইত্যাদি। রির্টানের সাথে জমাকৃত কাগজপত্রের ফটোকপি পরবর্তী রির্টানের জন্য সংরক্ষণ থাকা প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র:
১) ভারতীয় আয়কর আইন ১৯২২
২) আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৯৪
৩) আয়কর আইন ২০২৩
৪) Taxation in Bangladesh (Honours 2nd year course)
৫) সংগৃহিত ম্যাগাজিন/প্রবন্ধ।
আয়কর আইনজীবি, সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতি ।
(সাবেক অধ্যক্ষ, বিসিএস ক্যাডার)
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১১২ বার
সর্বশেষ খবর
- সাহায্য সংস্থা “হেল্প দ্য পুওর ফাউন্ডেশন ” এর কমিটি গঠন
- মুহিন খাঁন এর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- ইকরা ট্রাভেলস-সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
- ২৪ নভেম্বর রেজিষ্ট্রারি মাঠে জমিয়তের গণসমাবেশ সফল করুন মুফতি মুজিবুর রহমান
- বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী, সিলেট শাখার কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে র্যালি ও সভা
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক
এই বিভাগের আরো খবর
- মুক্তাক্ষর আয়োজিত সংবর্ধনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পদক প্রদান অনুষ্ঠিত
- ওসমানী মেডিকেল কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সদস্য বিদায় ও নবীন বরণ
- কানাইঘাট গাছবাড়ীতে জিডিএ হসপিটালের কনস্ট্রাকশন কাজের শুভ সূচনা
- ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতাকর্মীরা হচ্ছে বিএনপির প্রাণ : ইমদাদ চৌধুরী
- সিলেটে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা