শিরোনামঃ-

» নগরীতে সিলেট মহানগর জামায়াতের লিফলেট বিতরণ

প্রকাশিত: ২২. মে. ২০২৪ | বুধবার

অস্বাভাবিক হারে বর্ধিত গণবিরোধী অযৌক্তিক হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিল করুন : মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজঃ
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতিতে এমনিতেই জনজীবন অতিষ্ঠ।
এরমধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক কাল্পনিক এসেসম্যান্ট-রিএসেসম্যান্টের নামে ৫শ গুণ পর্যন্ত অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স নগরবাসীর জন্য মরার উপর খাড়ার ঘাঁ-এর মতো।
সিসিকের এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত শুধু গণবিরোধী নয় নগরবাসীর প্রতি সীমাহিন জুলুম।
সিটি কর্পোরেশনের এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নগরবাসী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে। অবিলম্বে অস্বাভাবিক হারে বর্ধিত গণবিরোধী অযৌক্তি হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিল করতে হবে।

তিনি বুধবার (২২ মে) বিকেলে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালী পশ্চিম থানা জামায়াতের উদ্যোগে জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ কালে উপরোক্ত কথা বলেন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক অস্বাভাবিক হারে বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিলের দাবীতে অনুষ্ঠিত লিফলেট বিতরণকালে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, কোতোয়ালী পশ্চিম থানা আমীর মু. আজিজুল ইসলাম ও সেক্রেটারী পারভেজ আহমদ।

এদিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক অস্বাভাবিক হারে বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিলের দাবীতে কোতোয়ালী পূর্ব থানার উদ্যোগে নগরীর মিরাবাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন থানা আমীর রফিকুল ইসলাম ও সেক্রেটারী মুহিব আলী।

শাহপরান পূর্ব থানার উদ্যোগে নগরীর মেজরটিলা এলাকায় লিফলেট বিতরণ কালে থানা আমীর শামীম আহমদসহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বুধবার বিভিন্ন থানার উদ্যোগে নগরীর পৃথক স্থানে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

লিফলেট বিতরণকালে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিগত সময়ে সিলেট নগরীর সীমানা বাড়ানো হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সিটি কর্পোরেশন এখনো পুরনো ওয়ার্ড সমূহে নাগরিক সেবার মান বাড়াতে পারেনি। নগরজুড়ে এখনো নানা দুর্ভোগ বিদ্যমান রয়েছে।

এটা সত্য যে ট্যাক্স ছাড়া কোন নগর চলতে পারেনা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও হোল্ডিং ট্যাক্সের পক্ষে। তবে তা হতে হবে সহনীয় মাত্রায়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি আগে যেখানে বছরে ৩০০ টাকা ট্যাক্স দিতেন এবার তার হোল্ডিং ট্যাক্স করা হয়েছে ৩৬ হাজার টাকা।
যা সুষ্পষ্ট শোষন ও জুলুম। এভাবে অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অমানবিক ও গণবিরোধী। শুধু তাই নয়, এর ফলে নগর ভবনে একশ্রেণীর মধ্যস্বত্তভোগি দালালের সৃষ্টি হবে। হোল্ডিং ট্যাক্স কমিয়ে দেয়ার নামে তাঁরা গ্রাহকের পকেট কাটার সুযোগ নিবে। জনদাবীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অযৌক্তিক গণবিরোধী বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৬৪ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30