শিরোনামঃ-

» সিলেটে জাতীয় ছাত্রদলের ৫১-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা

প্রকাশিত: ২৩. আগস্ট. ২০২৪ | শুক্রবার

নিউজ ডেস্কঃ

জাতীয় ছাত্রদলের ৫১-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ২৩ আগস্ট বিকেল ৪টায় সুরমা মার্কেটস্থ এনডিএফ কার্যালয়ে জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত’র সভাপতিত্বে এবং সোলেমান ইসলামের পরিচালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবুল ফজল, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া, এনডিএফ শাহপরাণ থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান আলী পটু, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, জাতীয় ছাত্রদল এমসি কলেজ শাখার অন্যতম নেতা বদরুল আজাদ, জেলা কমিটির আকাশ আহমদ, রুহুল আমিন সহ প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হলেও বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং তাঁর শোষণের এদেশীয় খুঁটি সামন্তীয় শোষণ ও স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং আমলা-দালাল পুঁজির রাহুগ্রাস থেকে এদেশের মানুষ মুক্ত হয়নি।

তাই এদেশে জাতীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই অসমাপ্ত থেকে যাওয়ায় ১৯৭৩ সালের ২০২৩ আগস্ট জাতীয় মুক্তি, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অগ্রসর করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে জাতীয় ছাত্রদল জন্মলাভ করে। নয়া-উপনিবেশিক পাকিস্তানে উগ্র-বাঙালি জাতীয়তাবাদকে কাজে লাগিয়ে নয়া-ঔপনিবেশিক বাংলাদেশ সৃষ্টি করা হয়। জনগণের তিন শত্রু- সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ ও আমলা-দালাল পুঁজি বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবের পরিণতিতে বাংলাদেশ জন্ম লাভ করেনি।

ফলে অর্জিত হয় না প্রকৃত স্বাধীনতা, জাতীয় মুক্তি ও গণতন্ত্র। অর্জিত হয়নি প্রকৃত জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার।

অতীতের স্বৈরাচারী সরকারদের মত স্বৈরাচারী আওয়ামলীগ সরকারের সময়েও দেশে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-যুবক-তরুণ বেকার হয়েছে। লক্ষ লক্ষ সরকারী শুণ্যপদ থাকলেও সেগুলোতে পর্যাপ্ত নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যেসব দপ্তরে সীমিত সংখ্যক নিয়োগ প্রদান করেছে সেগুলোতেও বেপরোয়া ঘুষ-দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা কোটার নামে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক-তরুণদের সাথে উপহাস করা হয়েছে।

দেশের মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করে দমন-পীড়ন ও নির্মম শোষণ-নির্যাতন চালানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ তাঁর সামগ্রিক সমস্যার আংশিক দাবি হিসেবে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু করলে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার ছাত্রদের উপর প্রচন্ড দমন-নিপীড়ন চালায়। এর বিরুদ্ধে ব্যাপক ছাত্রসমাজ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে নৃশংসভাবে গণহত্যা চালায় শেখ হাসিনা সরকার।

পরবর্তীতে ছাত্র-মধ্যবিত্ত-জনতার ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন হয়। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হয় সেটিও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির স্বার্থ রক্ষায় ভূমিকা নেয়া সহ সামন্তীয় শোষণ ও আমলা-দালাল পুঁজির শোষণ অব্যাহত রাখবে।

এতে ছাত্রসমাজের বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার যে আকাংখা তা বাস্তবায়ন না হয়ে বিদ্যমান স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ছাত্রসমাজ পূর্বের ন্যায় শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত-ই থাকবে।

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি নয়াঔপনিবেশিক আধা-সামন্তবাদী রাষ্ট্র। এ রাষ্ট্রে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে শহরের শ্রমিকশ্রেণীর সাথে গ্রামাঞ্চলের ব্যাপক কৃষক-জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। ছাত্রসমাজ জনগণের সন্তান। ছাত্রসমাজের আজকের আন্দোলন শ্রমিক-কৃষকের মুক্তির আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন নয়।

ছাত্র-গণহত্যার উপর দিয়ে এক স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পরিবর্তে আরেক স্বৈরতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসলে ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক-জনগণ কারোই মুক্তি আসবে না। তাই আমাদের দেশে অসমাপ্ত যে জাতীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম তা ঐতিহাসিকভাবে নির্ধারিত শ্রমিক শ্রেনীর নেতৃত্বে অগ্রসর করে নিতে ছাত্র সমাজকে অগ্রণী ও উদ্যোগী ভূমিকা পালনের জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি আহবান জানান।

নেতৃবৃন্দ ফারাক্কা-তিস্তাসহ অভিন্ন নদ-নদীর পানি প্রাপ্তি সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক জলধারা সনদ (২০১৪) অনুযায়ি ক্ষতিপূরণসহ উজানের অভিন্ন নদ-নদীর বাঁধ অপসারণ ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সরকারকে সোচ্চার ও যথাযথ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৪ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30