শিরোনামঃ-

» সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লাল পতাকা র‌্যালি

প্রকাশিত: ৩১. আগস্ট. ২০২৪ | শনিবার

ডেস্ক নিউজঃ

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় সংগঠনের পূর্বঘোষিত লাল পতাকা র‌্যালি সুরমা পয়েন্ট হতে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে সংগঠনের জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাগর আহমদ এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা আহবায়ক শুভ আজাদ (শান্ত), সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি শাহিন মিয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন রাজু, শাহপরান থানা কমিটির সহ-সভাপতি জালাল মিয়া, বন্দর বাাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রাশেদ আহমদ, জালালাবাদ থানা কমিটির সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম রবিনসহ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও দেশের শ্রমিক-কৃষক মেহণতি জনতার মুক্তি আসেনি। যে শ্রমিকের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের ফলে মালিকেরা মুনাফার পাহাড় গড়ে তোলেন সেই শ্রমিককের জীবনের ন্যূনতম মূল্য দেন না মালিকরা।

হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের দীর্ঘ ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের ফলে শ্রমিকদের উপর শারীরিক নির্যাতন কিছুটা কম হলেও শোষণ এবং মানসিক অত্যাচার বন্ধ হয়নি। এখনও অধিকাংশ হোটেলে নামমাত্র মজুরিতে গ্যাস বয় ও ওয়েটার পদে শ্রমিকদের কাজ করতে হচ্ছে। শ্রমিকদের কাজ করতে হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। রান্নাঘরে পর্যাপ্ত আলোবাতাসের অভাবে ঘিঞ্জি পরিসরে বাবুর্চি, কারিগর ও তাদের হেলপাররা কাজ করতে বাধ্য হন।

এতো কষ্ট করে কাজ করে শ্রমিকরা যে বেতন পায় তা দিয়ে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে মাসের ১০ দিন চলাই কষ্টসাধ্য। শ্রমিকদের সুরক্ষার কোনো আইন নেই। কাগজে কলমে যা আছে তাও কার্যকরী নেই। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ি নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, চাকরির নিশ্চয়তা, স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ, বাসস্থানের ব্যবস্থাসহ শ্রম আইনের সুযোগ সুবিধা শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র না থাকায় শ্রমিকদের নানান সময় বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। অথচ মালিকরা পরিচয়পত্র দিতে বাধ্য।

এ ব্যাপারে সরকারের সংশিষ্ট দপ্তর সমূহকে একাধিকবার অবগত করলেও কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। শ্রমআইনে প্রতি ৫ বছর পর পর নিম্নতম মজুরিহার ঘোষণার আইন থাকলেও হোটেল সেক্টরে সর্বশেষ ০১ মার্চ ২০১৭ নিম্নতম মজুরি হার ঘোষণার ৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ সাবেক আওয়ামী সরকার শ্রমিক প্রতিনিধি না রেখে দলীয় বিবেচনায় মজুরি বোর্ড গঠন করে শ্রমিকদের অধিকার হরণ করে চলেছে।

বক্তারা বলেন, বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি নির্ধারণ না হওয়ার কারণে শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে দুঃখ কষ্টে জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে, শ্রমিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে মজুরি বোর্ড গঠন করে বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিম্নতম মজুরি নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তাঁরা বলেন, শ্রমিক কৃষক জনগণের সাম্রাজ্যবাদ সামন্তবাদ বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে অগ্রসর করা ছাড়া হোটেল শ্রমিক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি সহ সকল অধিকার অর্জিত হবেনা, শোষণমূলক সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে শ্রমিক শ্রেণির শ্রেণি সচেতন নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল প্রকার শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানান এবং অত্যবশ্যকীয় পরিষেবা বিলসহ শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান করেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৬ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930