শিরোনামঃ-

» সিরাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমিতে জোরপূর্বক ‘পদত্যাগ পত্র’ নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০২. সেপ্টেম্বর. ২০২৪ | সোমবার

দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধিঃ

সিলেট নগরীর ৪২নং ওয়ার্ডের শ্রীরামপুরস্থ সিরাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমির প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমদ এর কাছ থেকে জোরপূর্বক ‘পদত্যাগ পত্র’ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ২৮ আগষ্ট বুধবার দুপুরে সিরাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমিতে এই ‘পদত্যাগ পত্র’ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সিরাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমির প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমদ অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপপরিচালক শিক্ষা বরাবরে পত্র প্রেরণ সূত্রে জানা যায়, অত্র প্রতিষ্টান পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট শামিম আহমদ বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। এই অবস্থায় বিগত ২০ আগষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ বাতিলের চিঠি আসে।

আদেশে মহানগর এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার বা কমিশনারের মনোনীত ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। পুনঃআদেশ না দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাবেন। এই অবস্থায় সভাপতির পদ শূন্য রয়েছে। পরে বিভাগীয় কমিশনার নগরীর অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্টানের ন্যায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ বর্তমানে একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২৮শে আগষ্ট বুধবার বেলা ২টার দিকে হঠাৎ করে একদল বহিরাগত লোক ও কিছু উশৃংখল শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিছিল সহকারে সিরাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমিতে প্রবেশ করে ভেতরে ও বাইরে মিছিল করতে থাকে এবং একপর্যায়ে বিভিন্ন ফ্লোরে ভাংচুর চালায়। প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমদ মোগলাবাজার থানায় ও সেনাবাহিনীর কাছে বার বার যোগাযোগ করে সহযোগিতা চেয়েও পাননি। ভাংচুরের এক পর্যায়ে তাঁরা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে একাডেমির প্যাডে জোরপূর্বক ‘পদত্যাগ পত্র’ লিখিয়ে নেয়। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি বলে এই অবৈধ পদত্যাগ বাতিল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এই বিশৃঙ্খলা, ভাংচুর ও জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্র লিখিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান ফয়েজ, ৪২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান,জামায়াত নেতা রাবু আহমদ এই জোরপূর্বক ‘পদত্যাগ’ ঘটনা সৃষ্টি করেন।

ঘটনার সময় পদত্যাগ পত্রে উপস্থিত ছিলেন বলে সাক্ষর করেন, মো. বজলুর রহমান ফয়েজ, কাউন্সিলর মতিউর রহমান, মোবাস্বির আহমদ, জামাল আহমদ, বিএনপি নেতা আছাদ মিয়া রুকন, সাহাব উদ্দিন, এম এ গাফফার।

ঘটনার পর থেকে সিরাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমির সকল শিক্ষকরা কর্মবিরতীতে ছিলেন বলে একাডেমি সূত্র নিশ্চিত করে। পরে একাডেমির সাবেক ছাত্রবৃন্দ, এলাকাবাসী ও একাডেমীর সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করেন। সাবেক ছাত্ররা বৃহস্পতিবার ও এলাকাবাসী গত শুক্রবার ও শনিবার বিষয়টি সমাধানের জন্য সভা আহবান মীমাংসার জন্য চেষ্টা বিফলে যান।

এ বিষয়ে সিরাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমি পরিচালনা কমিটির সাথে জড়িত এক সদস্য নাম প্রকাশ না শর্তে বলেন, বহিরাগত কিছু লোক ও উশৃংখল কিছু ছাত্র এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি। আমাদের এই একাডেমির সভাপতির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

সিরাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমির প্রধান শিক্ষক নিয়ে জটিলতার বিষয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ এর সাথে যোগাযোগ করা তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে অবগত। প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমদ এর একটি পত্র ও উনার বিরুদ্ধে প্যাডে লেখা একটি একটা পদত্যাগ পত্র পেয়েছি এবং এ বিষয়ে দ্রুত প্রতিষ্টানের সাথে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা আহবান করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ বিষয়ে সরেজমিনে সিরাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমিতে গেলে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন।

আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে শিক্ষকরা ক্লাসে যোগ দিয়েছেন এবং এর আগে ২৮ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মবিরতীতে শিক্ষকরা ছিলেন বলে এক শিক্ষক নিশ্চিত করেছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৭ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930