শিরোনামঃ-

» বন্ধ কল-কারখানা চালু এবং বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে নিম্নতম মজুরি ঘোষণার দাবিতে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সমাবেশ

প্রকাশিত: ২০. সেপ্টেম্বর. ২০২৪ | শুক্রবার

নিউজ ডেস্কঃ

বন্ধ কল-কারখানা চালু এবং বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে নিম্নতম মজুরি ঘোষণার দাবিতে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় সিলেটের ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ করে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা।

সংগঠনের জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকারের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ন সম্পাদক রমজান আলী পটু’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলার আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন কোষাধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাগর আহমদ, ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রিপন মিয়া, শাহপরান থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল মিয়া।

বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের শাসনামলে কৃষিভিত্তিক ভারী শিল্প-কারখানা সহ চিনিকল-পাটকল সহ দেশের প্রায় অধিকাংস শিল্প কারখানা অবৈধভাবে বন্ধ করে একটি সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। করোনাকালে এবং তার পূর্ববর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে লুটপাটকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছিল।

সিলেটেও অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সাবেক আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার। দেশের পাট শিল্প, চিনি শিল্প, টেক্সটাইল মিল ও রেশম শিল্প সহ পর্যায়ক্রমে প্রায় সবগুলোই ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে বন্ধ কল-কারখানা চালু এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নতুন শিল্প-প্রতিষ্ঠান চালুর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিলসহ শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী সকল কালো আইন ও অধ্যাদেশ বাতিল করে, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রনয়ণ করা, সভা-সমাবেশ-ধর্মঘট এবং অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার নিশ্চিত করা, হোটেল-রেস্টুরন্ট শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করা এবং অনতিবিলম্বে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের গঠিত মজুরি বোর্ড বাতিল করে যথাযথ শ্রমিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে মজুরি বোর্ড গঠন করে বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিম্নতম মজুরি নির্ধারণের দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ চা শ্রমিকদের চলমান ন্যায়সংগত আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, চা শ্রমিকদের ৮ টাকা মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা শ্রমিকদের সাথে প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়। চা-শ্রমিকরা বংশ পরস্পরায় প্রায় ১৭০ বছর যাবত চা-বাগানে বসবাস করে বনের বাঘ-ভাল্লুক, সাপ-জোঁক সহ হিংস্র জীবজন্তুকে মোকাবিলা করতে গিয়ে অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে চা-শিল্পকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। অনাহার-অর্ধাহার ক্লিষ্ট চা-শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলশ্রতিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে রেকর্ড পরিমান চা-উৎপাদন সম্ভব হয়।

অথচ যাঁদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমে চায়ের উৎপাদন ও মুনাফা অব্যাহতভাবে বাড়ছে বর্তমান অগ্নিমূল্যের বাজারে সেই চা-শ্রমিকদের মজুরি দৈনিক ১৭০ টাকা বা আরও কম মজুরি দেওয়া হচ্ছে। অগ্নিমূল্যের এই বাজারে একজন মানুষের তিন বেলা খাবার খরচ ১৫০/২০০ টাকা লাগে। এই হিসেবে ৬ সদস্যের এক জন শ্রমিক পরিবারে শুধু খাওয়া খরচের জন্য ৮০০/১০০০ টাকার নিচে দিন চলে না। অথচ চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি চাওয়াকে উপেক্ষা করে ৮ টাকা মজুরি বৃদ্ধি করে দেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানীমুখী চা শিল্পের শ্রমিকদের সাথে প্রহসন বৈকি এ শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলছেন। নেতৃবৃন্দ চা শ্রমিকদের বাঁচার মতো ন্যূনতম মজুরি প্রদানের দাবি জানান।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫২ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930