শিরোনামঃ-

» ১৩ নভেম্বর শ্রম উপদেষ্টা বরাবর হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচী সফলের লক্ষ্যে প্রচার মিছিল

প্রকাশিত: ২৯. অক্টোবর. ২০২৪ | মঙ্গলবার

ডেস্ক নিউজঃ

আগামী ১৩ নভেম্বর জেলা প্রশাসক সিলেট-এর মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং চট্ট-১৯৩৩)।

কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় সুরমা পয়েন্ট হতে শুরু হওয়া মিছিল জিন্দাবাজার পয়েন্টে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে ও ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুনু মিয়া সাগরের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক সুনু মিয়া, বন্দর বাাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, শাহপরান থানা কমিটির সহ-সভাপতি জালাল মিয়া, আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রাশেদ আহমদ, চন্ডিপুল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলামসহ প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগামহীন উর্দ্ধগতিতে হোটেল শ্রমিকদের জীবন আজ বিপর্যস্থ। জীবনযাত্রার অসহনীয় ব্যয় মিটাতে একজন শ্রমিক তার পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য নিম্নতম যে মজুরির প্রয়োজন তা থেকে হোটেল শ্রমিকরা আজও বঞ্চিত। যার ফলে শ্রমিক ও তার পরিবার আজ মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।

শ্রমিকরা যখন বেতন বৃদ্ধি করার কথা বলছে তখন মালিক বে-আইনিভাবে চাকুরিচ্যুত করছে। যার বিপরীতে বাংলাদেশ শ্রম আইনে বলা হয়েছে প্রতিবছর অন্তর শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। বাংলাদেশের শ্রম আইনে শ্রমিকদের জন্য যে সকল অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে তা শুধু কাগজে কলমে। বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন ঘটেনা।

এছাড়াও বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ৫ ধারায় নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র, ৬ ধারায় সার্ভিস বই, ২(১০) ধারায় প্রতিবছর চাকুরীর জন্য ১ মাসের গ্রাচ্যুয়েটি, ২৬ ধারায় চাকুরীচ্যূতি জনিত ৪ মাসের নোটিশ পে, ১০৩ ধারায় সপ্তাহে দেড়দিন সাপ্তাহিক ছুটি, ১০৮ ধারায় দৈনিক ৮ ঘন্টা সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা কাজ, অতিরিক্ত কাজের জন্য দ্বিগুণ মজুরি প্রদান, ১১৫ ধারায় বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ১১৬ ধারায় ১৪ দিন অসুস্থতাজনিত ছুটি, ১১৭ ধারায় প্রতি ১৮ দিন কাজের জন্য ১ দিন অর্জিত ছুটি, ১১৮ ধারায় ১১ দিন উৎসব ছুটি প্রদানের আইন থাকলেও শ্রমিকদেরকে এই সকল আইনগত অধিকার হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

৭১ পরবর্তী সকল সরকারের আমলেই হোটেল শ্রমিকরা শোষণ-নির্যাতন বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। একটি বৃহৎ শিল্প হওয়া সত্তে¡ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যথেষ্ট তদারকির অভাবে এ সেক্টরে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে। শ্রমিকদের আইনি পাওনা বাস্তবায়ন ও যথাযথ শ্রমিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে মজুরি বোর্ড গঠন করে বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়ে ১৩ নভেম্বর সকাল ১০টায়, ক্বীণ ব্রীজের উত্তর পার (জালালাবাদ পার্কের সামনে) জমায়েত হয়ে শ্রমিকদের গণস্বাক্ষর সহ মাননীয় জেলা প্রশাসক সিলেট এর মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩১ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930