শিরোনামঃ-

» কোম্পানীগঞ্জে চুরির ঘটনায় চেয়ারম্যান সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল

প্রকাশিত: ১১. নভেম্বর. ২০২৪ | সোমবার

ডেস্ক নিউজঃ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পিয়াইন নদীর (জুগনীর খাল হতে বুড়িডহর হাজী হাসন আলী স্কুলের আশপাশের) এলাকায় অভিযান চালান স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ স্থানীয় পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শিপলু কুমার দে।

এ সময় তাঁরা অভিযান চালিয়ে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ২০/২৫টি লিস্টার মেশিন আটক করেন। আটককৃত মেশিনগুলো স্থানীয় ১নং ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াদ আলী ও ইউপি সদস্য মো. জীবন মিয়ার জিম্মায় রেখে অন্যত্র আরেকটি স্থানে চলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

নির্ধারিত কাজ শেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি ১নং ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে জিম্মায় রেখে যাওয়া লিষ্টার মেশিন নিতে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অভিযানকারীদল দেখতে পান মাত্র ৪/৫টি লিষ্টার মেশিন পরিত্যক্ত জমিতে পড়ে আছে, বাকি মেশিনগুলো চুরি করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যার অনুমান মূল্য ৬০ লক্ষ টাকা।

এ ঘটনায় ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা শিপুল কুমার দে বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। যা থানার মামলা নং-২০ তারিখ (২৬-৩-২০২৪ ইং)। এ মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ৩০ শে জুন ৮ জনের বিরুদ্ধে চুরির ঘটনায় জড়িত হিসেবে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামলার আসামীরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৩নং পূর্বইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর আলম, কাঠাঁলবাড়ি গ্রামের সুমন মিয়া, আবুল বাশার, ইয়কুব আলী, জামাল উদ্দিন, গয়েছ মিয়া ও আলী হোসেন, লায়েক আহমদ।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরিফ আহমদ বলেন, তদন্তে মামলার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয় এবং আসামিদের আটক করা হয়।

বর্তমানে এই মামলায় ৮ জন আসামীর মধ্যে তিনজন আসামি কারাগারে আটক রয়েছেন। বাকি আসামীরা পালাতক রয়েছেন।

উল্লেখিত আসামীগণ নির্বাহী অফিসার সহ সরকারি অফিসারদের জব্দকৃত ২০/২৫ টি লিস্টার মেশিন চুরি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে পেনাল কোড- ১৮৬০ সালের ৩৭৯ ধারা অপরাধ করেছে।

উল্লেখিত আসামীগনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানার অভিযোগপত্র নং-১১৫ তারিখ-৩০/০৬/২৪ ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড- ১৮৬০ বিজ্ঞ আদালতে প্রকাশ্যে বিচারের নিমিত্তে দাখিল করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দাঙ্গাবাজ, ও চাঁদাবাজ। লিস্টার মেশিন চুরিতে এরা জড়িত ছিলো। যা মামলার তদন্তে প্রমানিত হয়েছে।

আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়। আর কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় হয়রানির করতো আসামীরা।

এছাড়াও আসামিরা পিয়াইন নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। অবৈধভাবে বালু বিক্রি করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গেছেন ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৭ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930