শিরোনামঃ-

» আলিয়া মাঠে খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলনে বক্তারা

প্রকাশিত: ১৩. নভেম্বর. ২০২৪ | বুধবার

“কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবী”

ডেস্ক নিউজঃ

খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি সিলেট কর্তৃক আয়োজিত বহুল আলোচিত “খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন ও সীরাত মাহফিল” এ বক্তারা বলেন, নিশ্চয়ই ইসলাম মহান আল্লাহর মনোনীত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা।

সর্বশেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে রয়েছে আমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। ইসলামের মৌলিক আকিদা-বিশ্বাসের অন্যতম হচ্ছে হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে রিসালাত সম্পর্কে নির্ভেজাল বিশ্বাস স্থাপন করা। সে বিশ্বাসের চাহিদা হলো, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হিসেবে মেনে নেওয়া। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নামের এক লোক এবং তার অনুসারীরা আখেরী নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে “নবী” জানলেও “সর্বশেষ নবী” মানেন না তারা মুসলমান নয়।

সর্বশেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মদ সা. কে যারা বিশ্বাস করেন না তারা কাফের।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সিলেট জেলা সভাপতি ও সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক শায়খুল হাদীস মাওলানা শফিকুল হক শায়খে সুরইঘাটীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা সৈয়দ সালিম কাসিমী, হাফিজ শরিফ উদ্দিন ও প্রচার সচিব হাফিজ মাওলানা শাহিদ হাতিমীর যৌথ পরিচালনায় মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য পেশ করেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির কেন্দ্রীয় আমীর, মুজাহিদে মিল্লাত শায়খুল হাদীস আল্লামা আব্দুল হামিদ পীরসাহেব মধুপুর। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম, বিশ্ববরেণ্য আলেম মাওলানা মুফতি ইলিয়াস গুম্মান।

সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হাজার হাজার তৌহিদী জনতার উপস্থিতিতে উক্ত মহাসম্মেলন ও সীরাত মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা নুরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী, আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তা’লিম বাংলাদেশের মহাসচিব শায়খ মাওলানা আব্দুল বছির, মুফতি আবদুল মজিদ, মুফতি নূরুল আবছার আজহারী, খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শায়খুল হাদীস মাওলানা ফয়জ্ল্লুাহ আশরাফী, মাওলানা খুবাইব আহমদ, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা হাবিবুল্লাহ আরমানী প্রমুখ। মহা সম্মেলন থেকে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করা হয় বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রতি।

ঘোষণাপত্রের ১০ দফা দাবিতে উল্লেখ করা হয় আহমদিয়া মুসলিম জামাত তথা কাদিয়ানীরা মুসলমান নয়; বরং ভিন্ন ধর্মের অনুসারী। তারা নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয়স্থান ও পরিভাষা ব্যবহার করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে নিয়মিত। আর কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা, ফৌজদারী দণ্ডবিধি আইনের ২৯৫-২৯৮ ধারায় সংবিধান পরিপন্থী। সরকারের কর্তব্য হল, অনতিবিলম্বে” আহমদিয়া মুসলিম জামাত “তথা কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করা।

তাই, আজকের এই মহাসম্মেলন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বশেষ নবী ও রাসূল অস্বীকারকারী “আহমদিয়া মুসলিম জামাত” (ছদ্মনামধারী) তথা কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার জোর দাবী জানাচ্ছে ।

মহাসম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দরগাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাশুক উদ্দিন, রেঙা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা শায়খ মহিউল ইসলাম বুরহান, আঙ্গুর মুহাম্মদ মাদরাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, সাবেক এমপি মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী, শাহজালাল দরগাহ মসজিদের ইমাম ও খতীব মাওলানা আসজাদ দিনারপুরী, অধ্যক্ষ হাফিজ মাওলানা আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব হাফিজ মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, মাওলানা হুসাইন আহমদ, মাওলানা ইসমত উল্লাহ সিদ্দিকী, মাওলানা শিব্বীর আহমদ বিশ্বনাথী, মাওলানা জুনায়েদ কিয়ামপুরী, মাওলানা আবির হোসেন, মুফতি শামসুল ইসলাম, মাওলানা মাহফুজ আহমদ, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা নোমান আহমদ সালেহ, মাওলানা রেজাউল করিম দরবস্তী, মাওলানা তোফায়েল আহমদ উসমান প্রমুখ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৯ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930