শিরোনামঃ-

» বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডে নানান অনিয়ম

প্রকাশিত: ১৯. নভেম্বর. ২০২৪ | মঙ্গলবার

ডেস্ক নিউজঃ

বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের নির্বাচন পোস্টাল ভোটিং সিস্টেম না করে নির্বাচন বিধিমালা সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয় (স্মারক নং জনস্বাস্থ্য- ১/ইউ-১১/৯৩/৫৬;তাং ২৮/২/২০০০ইং) কিন্তু বিধিমালা পরিবর্তন না করে ২০০৯ সাল থেকে পোস্টাল ভোটিং চালু আছে। ফলে একজনের ভোট আরেকজনকে দিয়ে, মৃত ব্যক্তির ভোট, প্রবাসী ব্যক্তির ভোট, জাল ভোট ও অতিরিক্ত ব্যালেট পেপার ছাপিয়ে পছন্দের প্রার্থী সদস্য নির্বাচন করা চলে আসছে। একজন অতিরিক্ত সচিবকে চেয়ারম্যান এবং বিএনপির (আগড্যাব) নেতা মো. নুরুজ্জামান সরকার মিলনকে সরকার মনোনিত সদস্য করা হয়েছিল।

এতে বাঁধ সাধেন আওয়ামী সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক মুজিব (স্মারক নং-জনস্বাস্থ- ১/ইউআ-১১/৯৩ (অংশ)/২৮৫; তাং ১১/৮/২০০৯ইং)।

শেষ পর্যন্ত পরিবর্তন করে আওয়ামী এমপি মো. মুজিবুল হক মুজিব এবং চট্রগ্রামের কেরানীগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী নেতা এসএম আবুল কালামকে সম্পৃক্ত করে নতুন বোর্ড গঠন করতে বাধ্য হয় সরকার, বর্তমানে এসএম আবুল কালাম এখনো বোর্ড সদস্য হিসেবে বহাল তবিয়তে আছেন ( স্মারক নং-জনস্বাস্থ- ১/ইউআ-১১/৯৩ (অংশ)/১৯৮; তাং ০৬/৭/২০১০ইং)। এরপর থেকে শুরু হয় বোর্ডে একের পর এক অনিয়ম। ২০১৫ সালে আওয়ামী নেতা ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব, এসএম আবুল কালাম (চট্রগ্রাম) ও আওয়ামী নেতা এএফএম ফখরুল ইসলাম মুুন্সী (কুমিল্লা) এর চাপে সরকার আবার বোর্ড গঠন করে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন না করেই আবার বোর্ড গঠন করেন (স্মারক নং -জনস্বাস্থ- ১/ইউআ-১১/৯৩ (অংশ-১)/৩৬১; তাং ২২/১১/২০১৫ইং)।

২০২১ সালের নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম তুলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল (স্মারক নং- ৫৯.০০.০০০০.১১১.০৬.০০২.২০-১০৫; তাং ২৫/৫/২০২১ইং)। কিন্তু রহস্যজনক কারনে আজও এই দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। সাবেক সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক মুজিব, এসএম আবুল কালাম (কদুরখীল, বোয়ালখালী, চট্রগ্রাম) এবং ইসকন সদস্য শ্যামল প্রসাদ সেন গ্রপ্তদের চাপে সরকার বোর্ড গঠন করতে বাধ্য হয় (স্মারক নং ৫৯.০০০.০০০০.১১১.০৬.০০২.২১-২১৪; তাং ২৮/৯/২০২১ইং)।

এই বোর্ডের গঠনের প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয় (রীট পিটিশন নং- ৮৮১৬/২০২১ এবং সিভিল পিটিশন ফর লীভ টু আপিল নং ২৮৬৫/২০২১ইং)। ২০০৫ সালের ১৪/৩/২০০৫ তারিখে হাকীম আবু তৈয়ব (আহবায়ক), হাকীম আতাউর রহমান (সদস্য) এবং মিয়া ফয়েজ আহমদ এর সমন্বয়ে বোর্ডের নির্বাচন বিধিমালা-১৯৯৬ পরিবর্তনের লক্ষে একটি খসড়া প্রণয়ন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে দাখিল করেন ( সূত্র-বোর্ডের ৩৩তম প্রস্তাব এবং স্মারক নং বিইউএ/আরআর/২৪৩ (অংশ)/২০০৩/৬৭০;তাং ১৮/১০/২০০৩ইং)। ২০০৯ সালের পর থেকে অনিয়মগুলো বেশ সংগঠিত হয়।

(১) একজন চিকিৎসককে দেয়া হয়েছে ২টি চিকিৎসক নিবন্ধন, বোর্ডের বর্তমান সদস্য মো. মিজানুর রহমান আয়ুর্বেদিক এ-ক্যাটাগরী চিকিৎসক নিবন্ধন নং -এ-৫৬০ এবং ইউনানী এ-ক্যাটাগরী চিকিৎসক নিবন্ধন নং -এ-৬৬৮ এবং বর্তমান বোর্ড সদস্য সালেহ মো. আব্দুর রহমানকে আয়ুর্বেদিক এ-ক্যাটাগরী চিকিৎসক নিবন্ধন নং -এ-৩১৯, ইউনানী এ-ক্যাটাগরী চিকিৎসক নিবন্ধন নং -এ-৩৩৭ এবং তাহমিনা হাফিজকে ইউনানী এ-ক্যাটাগরী চিকিৎসক নিবন্ধন নং এ-২৫৫৬ এবং ইউনানী এ-ক্যাটাগরী চিকিৎসক নিবন্ধন নং -এ-১৪৬৩ এবং মো. শাহ আলম সরকার আয়ুর্বেদিক এ-ক্যাটাগরী চিকিৎসক নিবন্ধন নং -এ-১০৬০ এবং ইউনানী বি-ক্যাটাগরী চিকিৎসক নিবন্ধন নং -বি-১৬৯৭ এবং মো. আমির হোসেন সরকার ইউনানী এ-ক্যাটাগরী চিকিৎসক নিবন্ধন নং -এ-২৯২৭ এবং ইউনানী এ-ক্যাটাগরী চিকিৎসক নিবন্ধন নং -বি-৩০০২ এবং দিনা আক্তারকে ইউনানী এ-ক্যাটাগরী চিকিৎসক নিবন্ধন নং এ-১২৩৬ এবং ইউনানী বি-ক্যাটাগরী চিকিৎসক নিবন্ধন নং- বি-১৩৪২ প্রদান করা হয়েছে। যাহা বিধিসম্মত নয়।

(২) ইউনানী বোর্ড থেকে এসএসসি পাশ নেই এরকম চিকিৎসক ও ছাত্রদের চিকিৎসক নিবন্ধন ও পেশাগত সনদ প্রদান করা হয়। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার মো. আশরাফ আলীর পুত্র মো. জাহেদুর রহমান জাহেদ এর এসএসসি/দাখিল পাশ সনদ নেই কিন্তু ইউনানী বোর্ডের ডিইউএমএস পাশ সনদ দেয়া হয়েছে। কানাইঘাট উপজেলার পাত্রমাটি গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে মো. অলিউর রহমানকে জাল দাখিল সনদ দিয়ে এ-ক্যাটাগরির চিকিৎসক নিবন্ধন এ-১০৩৪ দেয়া হয়েছে। চট্রগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার কোকদন্ডী গ্রামের বিজেন্দ্র লাল শীলের ছেলে আশীষ কুমার শীলকে ডিএএমএস পাশ সনদ দেয়া হয়েছে। অথচ আশীষ কুমারের এসএসসি পাশ সনদ নেই ,জাল সনদ তৈরি করে চিকিৎসক নিবন্ধন দেয়া হয়েছে (স্টুডেন্ট রেজিস্ট্রেশন নং ১৫৩৮৬, শিক্ষাবর্ষ ২০১৩-২০১৪)।

(৩) ইউনানী বোর্ড থেকে ইন্টার্নীশীপ ছাড়াই চিকিৎসক নিবন্ধন দেয়া হয়। সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার শেরপুর গ্রামের মো. আর্জমন্দ আলীর পুত্র মো. লায়েক আহমদকে ভূয়া ইন্টার্নীশীপ দেখিয়ে পেশাগত চিকিৎসক নিবন্ধন দেয়া হয়েছে (ইউনানী এ-ক্যাটাগরির চিকিৎসক নিবন্ধন নং- এ-১৬৮৯)। অথচ মো. লায়েক আহমদ সরকারি তিব্বিয়া কলেজ থেকে ইন্টার্নীশীপ সম্পন্ন করেন নি। হাকীম মো. নুরুল হক এবং ডা. মো. মাসুকুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া ইন্টার্নীশীপ সনদ দেখিয়ে চিকিৎসক নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। তিব্বিয়া কলেজের ইন্টার্নীশীপ রেজিস্টারে মো. লায়েক আহমদের নাম নেই। কানাইঘাট উপজেলার পাত্রমাটি গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র অলিউর রহমানের নাম তিব্বিয়া কলেজের ইন্টার্নী রেজিন্টারে নেই এবং ফুলবাড়ি আজিরিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করেন নি। তারপরও অলিউর রহমানকে ইউনানী বোর্ড থেকে ডিইউএমএস পাশ সনদ দেয়া হয়েছে (সনদের সিরিয়াল নং ৮৬৬; তাং ৩০/১২/২০০৪ ইং) এবং ইউনানী এ-ক্যাটাগরির চিকি]ৎসক নিবন্ধন নং এ-১০৩৪; তাং ১৭/০২/২০১৮ ইং।

(৪) বোর্ডের ইউনানী বিভাগে পড়ালেখা করে কিন্তু বোর্ডের সনদ ইস্যু হয় আয়ুর্বেদিক বিভাগ থেকে। সিলেট জেলার সদর উপজেলার খিত্তারগাঁও গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র কাউছার আহমদ সরকারি তিবিবয়া কলেজে ইউনানী বিভাগে ডিইউএমএস পাশ করলেও বোর্ড থেকে সনদ ইস্যু করা হয়েছে আয়ুর্বেদিক (ডিএএমএস) সনদের সিরিয়াল নং ১১৪৬; তাং ৩১/৫/২০০৬ইং) এবং পেশাগত চিকিৎসক নিবন্ধন দেয়া হয়েছে ইউনানী বিভাগ থেকে ( ইউনানী এ-ক্যাটাগরির চিকিৎসক নিবন্ধন নং এ-১৩৩৪; তাং ২০/১২/২০১০ইং)। সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মো. আব্দুল আজিজের মেয়ে দিনা আক্তার সরকারী তিব্বিয়া কলেজে ইউনানী বিভাগে ডিইউএমএস পাশ করলেও বোর্ড সনদ ইস্যু করেছে আয়ুর্বেদিক থেকে (ডিএএমএস)। এবং পেশাগত চিকিৎসক নিবন্ধন দেয়া হয়েছে ইউনানী বিভাগ থেকে (ইউনানী বি-ক্যাটাগরি চিকিৎসক নিবন্ধন নং বি-১৩৪২; তাং ১৪/৯/২০০৮ ইং এবং ইউনানী এ-ক্যাটাগরি নিবন্ধন এ-১২৩৬)।

(৫) ভোটের সদস্য নির্বাচনে মৃত ব্যক্তিদের ভোটার এবং চিকিৎসক নিবন্ধন দেয়া হয় (সূত্র: ইউনানী বি-ক্যাটাগরি চিকিৎসক নিবন্ধন ভোটার নং- ১৬৯৬, ৩০১০, ৩০৬৩, ৩৮৭৬, ৪০৬৬, ৩০৩৩, ৩৮৬৭, ৪২৯০)। (৬) প্রবাসে ভোটার থাকলেও ভোট কাস্টিং হয়ে যায় বোর্ডেন নির্বাচনে। সূত্র: ইউনানী এ-ক্যাটাগরি চিকিৎসক নিবন্ধন নং- এ-১৩২৪, ইউনানী বি-ক্যাটাগরি চিকিৎসক নিবন্ধন নং বি-৩১৯০)। মোঃ কাউছার আহমদ সৌদি আরবে এবং মোহাম্মদ নুরুল মুত্তাকিন আমেরিকায় থাকলেও ভোট কাস্টিং হয়েছে।

(৭) বোর্ডের পোষ্টাল ভোটিং সিস্টেমে ভোটার ব্যালট পেপার পায় না অথবা পেতে দেরী হয় (সূত্রঃ হাফিজা আক্তার রুহির ভোটার নং এ-২৭৫৩, মোঃ মুহিউদ্দিন জামিল ভোটার নং বি-৩৫৬০, মোঃ ইমাদ উদ্দিন জামিল ভোটার নং বি-৩৫৬২)।
(৮) পোস্টাল ভোটার সিস্টেমে একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দেয়ার সুযোগ রয়েছে (সূত্রঃ শাহিনা আক্তার রিমা, ভোটার নং এ-২৯২৬, মোঃ ওয়াহিদুর রহমান ভোটার নং এ-২৪৪৭, মোহাম্মদ তানাজ রহমান ভোটার নং এ-৯৪১)। তাদের ভোট মিনহাজুর রশিদ মুন্না নামের এক ব্যক্তি ভোট কাস্টিং করেছে।

(৯) এক বিভাগের ভোটার হলেও আরেক বিভাগের প্রার্থী হওয়ার জটিলতা তৈরী হয়। সিলেট জেলার সদর উপজেলার জৈনকারকান্দি গ্রামের ডাঃ মুজিবুর রহমান খানের পুত্র মোহাম্মদ জাফর হোসেন খান ভোটার তালিকায় ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ১০০/- টাকার পে-অর্ডার সমেত আবেদন করে বোর্ডে ঠিকানা পরিবর্তন করে নমিনেশন সিলেট বিভাগের ক্রয় করেন। কিন্তু ভোটার ব্যালটে গ্রাম- চরনগর্দী, পোঃ গয়েসপুর, থানাঃ পলাশ এবং জেলা নরসিংদী রয়েছে অথচ মোহাম্মদ জাফর হোসেন খানের ভোটার লিস্টে গ্রাম- জৈনকারকান্দি, পোঃ সোনাতলা, থানাঃ জালালাবাদ, উপজেলাঃ সদর, জেলা- সিলেট রয়েছে। এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোস্তফা নওশাদ জাকী, মোঃ রেজাউল করিম, মিয়া ফয়েজ আহমদ, মোঃ ওয়ালী উল্লাহ প্রামানিক, মোঃ আব্দুস সামাদ, মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও আক্তার হোসেন মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন নং ৮৮১৬/২০২১ দায়ের করেন।

বোর্ডের সব অনিয়মের হোতা চুক্তিভিত্তিক রেকর্ড কিপার এ.কে.এম হারুনুর রশিদ বারবার চুক্তিভিত্তিক রেজিস্টার নিয়োগ হয়ে অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। এ.কে.এম হারুনুর রশিদ সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিবের প্ররোচনায় বারবার রেজিস্ট্রার পদ দখল করে অনিয়ম সংগঠিত করেছে। জানা যায়- একেএম হারুন অর রশিদ হারুন উক্ত বোর্ডে গত ০১/০৮/১৯৮১ইং সালে সামান্য বেতনে চুক্তিভিত্তিক রেকর্ড কিপার ৫০০টাকা বেতনে কর্মচারী হিসাবে কাজে যোগদান করে। ২-৩ বছর পরে কোন পদ না থাকায় স্টোর কিপার হিসাবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।

বিভাগীয় কোন পরীক্ষা ব্যতীত বোর্ডের সহজ-সরল সদস্যদেরকে বিভিন্ন সময়ে বুঝাইয়া স্টোর কীপার পরবর্তীতে নিজে নিজে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদ সৃষ্টি করে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়। বোর্ডের স্টেনোটাইপিস্ট পদটি (এনাম কমিটির) অবলুপ্ত করে হারুনুর রশিদ সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাম দিয়ে নিজের সুবিধার জন্য করে কাজ করেছে। পরে অর্গানোগ্রাম পরিবর্তন করে স্টেনোটাইপিস্ট পদ উঠিয়ে দিয়েছে যাহা এনাম কমিটির পদ ছিল। বোর্ডের এনাম কমিটির পদগুলো হলো- রেজিস্ট্রার, উচ্চমান সহকারী/ প্রধান সহকারী, হিসাব রক্ষক/ক্যাশিয়ার/স্টোর কীপার/ টাইপিস্ট- কাম -ক্লার্ক ২টি, এম.এল.এস.এস ৪টি, গবেষণা কর্মকর্তা ইউনানী ১টি, গবেষণা কর্মকর্তা আয়ূর্বেদিক ১টি, ল্যাবরেটরি এসিসটেন্ট ইউনানী ১টি, ল্যাবরেটরি এসিসটেন্ট আয়ুর্বেদিক ১টি, ফার্মেসী এটেনডেন্ট ১টি। বোর্ডের সার্টিফিকেট কোর্স ইউনানী/আয়ুর্বেদিক (২৪ ধারা) পরীক্ষার নামে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছে। বিশেষ করে নোয়াখালী সেনবাগ বসন্তপুর গ্রামে বি-ক্যাটাগরী হাকীম সেকান্দর আলম ও তার ভাই নাজিরকে ১৯৮৮ইং সালে বি-ক্যাটাগরীর পরীক্ষার পাস করাইয়ার ২৫০০০/- টাকা নিয়েছে। তৎকালীন ফার্মগেটস্থ হোটেল সুরমায় রাতে পরীক্ষার খাতা হোষ্টেল কক্ষে অবস্থান করে লেখিয়ে নিয়ে তাদেরকে পাস করিয়েছে হারুনুর রশিদ। এভাবে বসন্তপুর গ্রামের প্রায় শতাধিক হাকীম-কবিরাজকে পাস করাইয়া লক্ষ লক্ষ টাকা বোর্ড হাতিয়ে নিয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিবের সহায়তায়।

একেএম হারুনুর রশিদ আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালানী মামলার আসামী হয়েও ১৯৮৯ সালে ৬ মাস এবং ১৯৯০ সালে ৬ মাস মোট ১ বৎসর জেল খেটেছে। তারপরও বোর্ডের সর্বোচ্চ চেয়ার দখল করেছিল বোর্ড চেয়ারম্যানের সহায়তায়। জেলে থাকাকালীন সময়ে হারুনুর রশিদকে সাসপেনশন করা হয়েছিল এবং উক্ত ব্যাপারে দুনীতি দমন কমিশনে মামলাও হয়েছিল। সে অত্র দফতরে রেজিষ্ট্রার হওয়ার পর হইতে বিবিধ খরচের জন্য প্রতি মাসে, ২০.০০০ টাকা উত্তোলন করে সে নিজে ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে যায়, অফিসের জন্য কোন খরচ করে না। ভূয়া বিল ভাউচার নিয়ে সমন্বয় করে অত্র বোর্ডের রেজিস্ট্রার ও হিসাব রক্ষক মো. সাদ উল্লাহ মজুমদার এবং হিসাব রক্ষক শ্রী জগদীস চন্দ্র পান্ডেকে মামলায় জড়িয়ে তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দেয়। বিদ্যুত বিল ৫১,০৫৩.৭০/= (একান্ন হাজার তিপ্পান্ন টাকা সত্তর পয়সা) হিসাব রক্ষকের যোগ-সাজসে তাদেরকে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দেয় (সূত্র: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পত্র সংখ্যা ২৩.০৪.০১.০১২০০০/২৯৮ তারিখ ০৪/০৫-২০০০ইং মতিঝিল থানার অভিযোগপত্র নং ৪৭১ তারিখ ১৯-০৬-২০০০ইং এবং ২৫/০৭/২০০০ ইং মতিঝিল থানার মামলার অভিযোগ পত্র দাখিলের প্রেক্ষিতে সুত্র মামলা নং ১৯/১০/১৯৯৬ইং)

দন্ডবিধীর ৪০৯/৪৬৭/৪, ৪৬৮/৪৭১, ৪৭১(ক)/১০৯/১৯৪ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় ছাদ উল্লাহ মজুমদার এবং জগদীশ চন্দ্র পান্ডেকে মামলায় জড়িয়ে রেজিস্ট্রার পদটি দখল নেয় একেএম হারুনুর রশিদ। উক্ত মামলার সাথে হারুনুর রশিদ ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে আসামীদের অবর্তমানে রায় করেছে। যে দিন থেকে আসামী ধরা পড়বে ঐ তারিখ হইতে ২০ বছর কারাভোগ করতে হইবে। তারা আসামীদের একজন আমেরিকা রেজিস্ট্রার (সাদ উল্লাহ মজুমদার) এবং আরেকজন হিসাব রক্ষক শ্রী জগদীস চন্দ্র পান্ডে। ২০০৪ সালে ৫ জন লোক নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ডিপার্টমেন্টের কর্মচারীদের সকল যোগ্যতা থাকা সত্বেও তাদের নেয়া হয় নাই। মোটা অংকের টাকা খেয়ে ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গবেষনা কর্মকর্তা হাবিব উল্লাহকে নিয়োগ দিয়েছে। ২০১৮ সালে ১১ জন বিভিন্ন পদে সহকারী রেজিস্ট্রার ১জন, শাখা কর্মকর্তা ১ জন, প্রধান সহকারী ১জন, এম এল এস এস ২ জন, কম্পিউটার অপারেটার ২জন, গোপনীয় সহকারী ২ জন, ক্যাশিয়ার ১ জন, হিসাবরক্ষক ১ জন নিয়োগ দেয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৬ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930