শিরোনামঃ-

» আমরা স্বাবলম্বী হচ্ছি, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৫. এপ্রিল. ২০১৬ | সোমবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং আমরা তা পারবো। কারণ আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি কখনো মাথা নত করে না। আমরা ইতিমধ্যেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠছি। ভবিষ্যতে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো।
গতকাল রবিবার আগারগাঁওয়ে ডিপার্টমেন্ট অব ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ ২০১৬ এবং বিভাগীয় ও আঞ্চলিক ১০টি পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, অনেকে আমাদের একটু খুঁত পেলে অনেক বড় করে লেখে। টকশোতে বলে।
অথচ এমআরপির মতো এতো বড় কাজ করে ফেললাম, কেউ কোনো প্রশংসা করলো না। তারা কেবল খুঁত খোঁজে। অথচ আমরা ভালো কিছু করলে তার কথা বলতে কৃপণতা দেখায়।
যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের (এমআরপি) এবার আরও উন্নত প্রযুক্তির ‘ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট’ তৈরির পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার লক্ষ্যে এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বর্তমান সরকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট চালু হওয়ার পরে পাসপোর্ট ইস্যুতে প্রতারণার অবসান ঘটবে।
‘পাসপোর্ট নাগরিক অধিকার : নিঃস্বার্থ সেবাই অধিকার’— এই স্লোগান নিয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ পালিত হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান এবং ডিআইপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০টি নতুন পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন।
নতুন এই পাসপোর্ট অফিসগুলো হলো- ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসগুলো হলো কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, ফেনী, মুন্সীগঞ্জ, কুষ্টিয়া, পাবনা ও দিনাজপুর।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা নগর আদর্শ মহিলা কলেজের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী কলেজটির জন্য ৮ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণেরও ঘোষণা দেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায় পূর্ববর্তী সরকারগুলোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা এরকম পদক্ষেপই নেয়নি।
এমআরপি নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন যে আমরা করে ফেললাম, এটা নিয়ে আবার খুব বেশি লেখালেখি করতে দেখি না। যখন একটু খুঁত পায় তখন খুব বড় করে লেখে।
বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৬৫টি মিশনে পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস খোলা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩৩টি ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্ট এবং ৬৫টি পাসপোর্ট ও ভিসা উইং খোলা ছাড়াও তাঁর সরকার প্রত্যেক জেলায় একটি করে পাসপোর্ট অফিস স্থাপন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের সময় বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন তাদেরও কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা নিজেদের ভাগ্য গড়তে যতটা ব্যস্ত ছিল, মানুষের ভাগ্য গড়তে ততটা পদক্ষেপ নেয়নি।
পাকিস্তান আমলে পাসপোর্ট পাওয়ার ভোগান্তি ও বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন তিনি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫১০ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930